আমি অর্ক। ক্লাস ফাইভে পড়ি। ফাইনাল পরীক্ষার পর লম্বা ছুটি। আমি আর মা গ্রামে এসেছি। এবার মামা বাড়ি। প্রতিবার এই সময়টা দারুণ কাটে। বাবা আসলে আরও মজা হতো।
আমাকে সবাই কাব্য বলে ডাকে। নামটা আমার ছোটমামার দেওয়া। মামা ছড়া-কবিতা লেখে। আমাকে নিয়েও লিখেছে কয়েকটা। সবাই বলে, আমিও নাকি মামার মতো হয়েছি।
পাকা রাস্তার পাশেই স্কুল। বাজার থেকে একটু দূরে। দোতলা বিল্ডিং। সামনে বিশাল মাঠ। মাঠে অবশ্য খেলা হয় না। ভাড়া দেওয়া। সপ্তাহে দুইদিন হাট বসে। স্কুলে মোট চারজন শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক খুব একটা ক্লাস নিতে পারেন না। যেদিন ঢোকেন, সারা স্কুলে খবর হয়ে যায়। বের হওয়ার সময় বলেন, একটু ওষুধ দিয়ে গেলাম। যখন লাগবে আবার আসব।
বাকি রাতটা ব্যথায় ছটফট করেছে দিব্য। বাড়ির কেউ আর ঘুমাতে পারেনি। সকাল হতেই তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ল। এক পা নিজের কাছে। আরেক পা মায়ের কোলে। মেসির সাথে ফুটবল খেলতে গিয়ে গোড়ালি এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন ইজিবাইকে করে ছুটছে ডাক্তারখানায়।