সেটা ছিল এক আশ্চর্য তুষাররাত্রি। অজস্র অসংখ্য অগণ্য তুষারকণা ঝাঁপিয়ে নামছিল মেঘেভরা আকাশ থেকে, সাদা ধবধবে ঝুরো তুষারে ঢেকে যাচ্ছিল মাটি, পাথর, পথ, ঘাট, মাঠ, বাগান-সব কিছু। ঐ ঝরে পড়তে থাকা, বাতাসে উড়তে থাকা তুষারকণাদের দিকে চেয়ে থাকলে মনে হয় বাস্তব দুনিয়া নয়, চলে গেছি কোনো স্বপ্নের দেশে, অণু পরমাণুর জগতে, যেখানে কোটি কোটি অর্বুদ অর্বুদ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা অক্লান্ত নৃত্য করে চলছে অনন্তকাল।
ফ্রান্সের শার্লি এঁবদো পত্রিকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড নিয়ে ফেইসবুকে আর বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে । এই ঘটনার বদৌলতে আরো একবার টের পেলাম আমাদের দেশে কি পরিমাণ মৌলবাদী গোঁড়া চিন্তাভাবনার প্রসার বাড়ছে । সরাসরি এই খুনকে সমর্থন করা ভয়ংকর চিন্তাভাবনার লোকজনের সংখ্যা দেখে দেখে আঁতকে উঠেছি । কিন্তু এরা ছাড়াও ফেইসবুকে আরেক শ্রেনী আছে, যাদের বক্তব্য আমার মনে হয়েছে আরও বেশী ভয়ংকর !
আমি একজন পুলিশ অফিসারের সন্তান !
ছোটবেলা থেকে দেখতে দেখতে বড় হয়েছি একজন পুলিশের জীবন কি। এমনও হয়েছে বাবার সাথে দেখা হয়েছে একমাস পর, যদিও একই বাসায় থাকি আমরা। আমি বারোটায় ঘুমিয়ে যাই, তিনি ফেরেন রাত দুইটায় ! আবার ভোরে চলে যান। যখন বাসায় থাকেন ও দীর্ঘ ক্লান্তি আর অবসাদের পরে গভীর ঘুমে অচেতন থাকেন। ঘরে বোম ফাটালেও আব্বার ঘুম ভাঙ্গতো না তখন। আমরা এই নিয়ে হাসাহাসি করতাম।
টানা এক সপ্তাহ, কি তার চেয়ে একটু বেশী? একনাগাড়ে নাইট ডিউটি করে গেলে তুমি। সকালবেলা বাড়ী ফিরতে, গোসল করে, খেয়ে, দূপুরের একটু পরেই আবার ছুট। তোমার কাছে সেটা কোনো কষ্টই না! তুমি কাছে থাকলে নানুর একটুখানি সুবিধা হয়, এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা অর্থময় কাজ সেই সময়ে আর কিছুই কী হতে পারতো?
তারপর? তারপর একদিন আর ধরে রাখতে পারলে না তাকে, ছেড়ে দিতেই হলো, হাসপাতালে তখন তুমি একা। সেদিনও তোমার কাছে থা...
রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭৩)
তোমার দীর্ঘ জীবন আমি চাই নি কখনো অবচেতনেও
মৃত্যু ভেতরের খবরাদি জেনেছে আগেই
পৃথিবীতে করণীয় শেষ হলে চলে যাওয়া ভালো
যে তুমি হরণ কর (১৯৭৪)
এত প্রেম কোথায় ধরেছ এই দেহ ঝরনায়-- এত স্ফূর্তি
ক্ষতের বেদনাঘন মনীষ...