ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফিরে চেয়ারে বসে আছি। ভাবছি কি করা যায়। না, ওষুধ তো খাচ্ছি, খেয়েই যাচ্ছি। নিজেকে 'চলতি ফিরতি মেডিসিন শপ' বলতে হয় এখন। আসলে অনেক কিছু ঘিরে ধরেছে যেন মনে হয়। আবার কখনো কখনো মনে হয় কই কিচ্ছু না তো, সব ওকে আছে বস। দু'টানায় জীবনছন্দ। একহাতে স্রেফ থেকে যায় অযাচিত বিস্ময় অন্যহাতে লটকে থাকে ঘুনে ধরা ফেরারি একাকীত্ব
ছুটির দিন ঘুম ভেঙে মনে হয় ঢাকা শহরেই আছি। শুয়ে আছি আমার ছোট চিপা রুমে চিকন খাটে, জাহাজের দোকান থেকে কেনা বক্স খাট। ঐসব দোকানে নাকি জাহাজের ফার্নিচার থেকে চেয়ার টেবিল তৈরি হত, দাম ভারি সস্তা। আমাদের তিন ভাইয়ের জন্য তিনসেট করে খাট আর পড়ার চেয়ার টেবিল কেনা হয়েছিল পান্থপথের জাহাজের দোকান থেকে। সেই খাটে শুয়েই ঘুম ভাঙল এইমাত্র, উপরে ঘটঘট শব্দে ফ্যান ঘুরছে। চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল শুক্রবার সকাল। দশটা মত বাজে। উঠতে হচ্ছে, বাজারে যেতে হবে আব্বার সাথে।
মিশরের শ্বেতমরুতে যাওয়ার পথে আমার ডিউন-ব্যাশিং এর সাথে পরিচয়। ফোর-হুইলারে চেপে বুনো বাইসনের মত বালিয়াড়িগুলিকে চার্জ করা - আবার তার মাথায় চড়ে প্রায় শুন্যে ঝাপ দেয়ার মত দুরন্ত গতিতে নীচে নেমে আসার মধ্যে যে এ্যাড্রিনালিনের তুফান আর অনির্বচনীয় ইউফোরিয়া সঞ্চিত থাকে.....
এটা অনেক অনেক দিন আগের কথা । লঙ্কার রাজা রাবণের মত রাক্ষস- দৈত্য- দানোও তখনো জন্মায়নি, রাম-লক্ষণ বা ঈসা-মুসারও কোনও খবর ছিল না । হাজার হাজার বছর আগের কথাও না এটা । ডাইনোসররা দাপিয়ে বেড়াতো যখন তার চেয়েও আগের, কোটি কোটি বছর আগের উপাখ্যান ।
মাস তিনেক আগের কথা। অফিসে ভয়ংকর চাপ, একটা রিপোর্ট পুরা ভুল জমা দিবার মাসুল গুনছিলাম সকাল থেকে। আমার বস খুব হাসিখুশি মধ্যবয়সী মহিলা, তিনি সকালেই গম্ভীর মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন ফিক্স দিস, আই নিড ইট বাই ফাইভ। সাগর সেঁচার কাম, রিপোর্টের ডাটা ঠিকমত ফিট করিনাই। আট ঘন্টার কাজ নয়, মিনিমাম লাগবে দুই দিন। পাগলের মত খেটেখুটে রিপোর্ট দাঁড় করিয়ে যখন অফিস থেকে বেরুলাম তখন রাত এগারোটা।
[justify]আমার কিচ্ছু হৈত না…… এইডা কি হুদাই আবেগের বশে বলা ? উঁহুঁ। আমি জানি যে আমার কিছুই হৈত না। বলা নাই কওয়া না এই ছোট্ট জীবনডাতেই যত ভুল সিদ্ধান্ত নিয়া ফেলছি এগুলি শোধ্রাইতেই বাকি জীবন শ্যাষ হয়া যাইব।