[justify]
[justify]পরীক্ষার হল পৃথিবীর একটি ভীতিকর স্থান। এ স্থানটি এড়িয়ে যেতে পারলে মনুষ্য প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রী নামক উপ-প্রজাতিভুক্ত প্রাণীগুলো বেজায় খুশি হতো এটা অনুমান করার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। অমুক বিষয়টি বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না- এই প্রবচনটি কে প্রথম লিখেছিলেন? সে যাগগে। আচ্ছা, ব্লগাঞ্চলের জন্য কিছু প্রবাদ-প্রবচন দাঁড় করালে কেমন হয়?
[justify]-আদর আলী-ই-ই-ই।
-ইয়েস স্যার।
-এদিকে আসো। দেখি তুমার জামাকাপড় ঠিক আছে কিনা। ইউনিফর্ম পইরা আইছো তো?
-জ্বি স্যার।
-জুতায় ময়লা ক্যান? হালচাষ করছো নাকি ক্লাসে আসনের আগে? প্যারেডে যাওয়া বাদ দিয়া?
-না, স্যার। প্যারেডে লেফট-রাইট করার সময় ধূলো উড়ে ময়লা হয়ে গেছে বোধহয়।
_ও, আচ্ছা। কিন্তু প্যারেডে পা না নাড়াইয়া লাত্থি দেওনের লাহান ঝাকাইলে তো ধূলা উড়বোই। অন্য কারও পায়ে তো তুমার লাহান ময়লা দেহি না। তা শরীল কীরম আছে? রাইতে ভালা ঘুম হইছে?
-জ্বি স্যার, হয়েছে।
-আর লেহাপড়া? নাকি জুতমতো ঘুমাইতে গিয়া ভুইলা গেছো?
-না, স্যার। পড়াশুনাও করেছি।
-হুম, তা দেহি কী পড়লা। যাও বই নিয়া আইসা শুরু করো কাইল যেইহানে শ্যাষ হইছিলো ঐহান থাইকা।
‘বই’ নামক জিনিশটিকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়? বিজ্ঞজনের বক্তব্য আর সমস্ত অভিধান এক পাশে সরিয়ে রাখি। এখন নাকি ডিজিটাল যুগ। তাই ‘বই’কে ব্যাখ্যা করতে গেলেও এর মাঝে ‘ডিজিটালত্বে’র ছোঁয়া ত অবশ্যই থাকতে হবে। তবে আমার ধারণা, বইয়ের সংজ্ঞা একেক জনের কাছে একেক রকম। প্রতিটি মানুষই বইকে তার নিজের মতো করে অনুভব করে। কারো কারো কাছে কিছু বই সাক্ষাৎ যমের মতো, যাদেরকে পরীক্ষার আগে দেখলেই শরীরের তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হয়; কারো কারো কাছে কিছু বই আবার বউয়ের মতো যাদেরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমায়!
[justify]জড়োতা বলে যে জটবাঁধানো জবড়জং ব্যাপারস্যাপার আছে বস্তুর ক্ষেত্রে তা আমরা কম বেশি সবাই জানি। পদার্থের জন্মদোষে দুষ্ট এই গুণটা হলো, বস্তু অত্যন্ত বস্তুনিষ্ঠ হয়ে যে অবস্থায় আছে, নিতান্ত বাধ্য বা বাধাপ্রাপ্ত না হলে সেই সুব্যবস্থার কোনো দুরবস্থা করতে চায় না নিজে থেকে। অর্থাৎ যা স্থির আছে সে খামাখা কখনো অস্থির হবে না। যে ঘোরার উপরে আছে, বলপ্রয়োগ সাপেক্ষে ঘোর না কাটানো পর্যন্ত সে বেঘোরেই ঘুরতে থাকবে। এরকম সুলিখিত সংবিধান পড়েছিলাম বিজ্ঞান বিষয়ে স্কুল-কলেজ-এমনকি ভার্সিটিতেও। কিন্তু এই জড়োতার উল্টোপিঠেও আর এক জড়োতা আছে, যাকে বলে কোনো কিছু না করার বা আলসেমির জড়োতা। আর এইটা এখন আমার দৈনন্দিন জীবনজুড়ে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পরম শূন্য উষ্ণতার মতো যদি পরম শূন্য জড়োতা বলে কিছু থেকে থাকে তবে আমি নিশ্চিত, তা এখন আমকে জাপটিয়ে জড়িয়ে রেখেছে। আমার এই লেখাতেও অবধারিতভাবে সবাই বৈচিত্র্যহীন জড়োতার বিচিত্র সব উপকরণ রয়েছে যা বিষম বিরক্তির উদ্রেক কোনোরূপ জড়োতা ছাড়াই করতে পারে।
টার্ম ফাইনালের ছুটিতে 'প্রিজন ব্রেক' খতম দেবার পর হঠাৎ করেই মনে হল-এই যা, ছুটিতে তো কোন ইংরাজি ফিল্মই দেখা হইলো না। দু-দশটে ফিল্ম না দেখলে ছুটি অন্তে বন্ধুমহলে মুখ দেখানো দায় হয়ে যাবে। বন্ধুরা যখন জিজ্ঞেস করবে, এই ছুটিতে কী কী করলি- তখন "শুয়েবসেসঙ্গমবিরহে কাটিয়েছি" এমন উত্তর দিলে ধোলাই খাবার প্রবল সম্ভাবনা আছে। এদিকে, খুচরা-খাচরা ফিল্ম দেখতে ইচ্ছা করে না। ব্যবসা যখন করবোই, তখন পাইকারী ব্যবসাই করি-
[justify]
'বেলজিয়াম গ্লাস'
মেহগনি রঙ ফ্রেমের বাঁ ধারে খোদাই করে লেখা। আয়নাটা ঝুলছে পশ্চিমের দেয়ালে, অনেকগুলো বছর ধরে.. শাহানা এ বাড়িতে আসা অবধিই তো দেখছেন। দিন গড়িয়ে দেয়ালের রঙ বদলেছে, বদল এসেছে বাসিন্দাদের অবয়বে, আচরণে। নিরেট পাথরের মতো একই রকম রয়ে গেছে ঐ আয়না কেবল।
(ডিসক্লেইমারঃ প্রবলভাবে জেনারেলাইজ করা পোস্ট! মুড়ি-মুড়কি-চিনি-সয়াবিন তেল-ছোলা সবই একদর। বেশি দামী জিনিসের প্রবেশ নিষেধ!)
[justify]মেঘলা আকাশ, সাগর জল
মেঘলা দিনে মেঘের ঢল।
মেঘলা জমিন, বাঁশের ঝাড়
মেঘে ভাসছে নদীর পাড়।
মেঘলা দুপুর, ছায়ার রঙ
মেঘবরণে ধরছে সঙ।
মেঘলা পাহাড়, ঝরণা ধারা
মেঘে নাচছে বাঁধনহারা।
[justify]
ছেলেবেলায় ছোড়দার নেশা ছিল ডাক টিকেটে।
বড়মামা তখন বিলেতে থাকতেন। কী যেন পড়তেন সেখানে, আফিসিফিয়াস--বলতে গিয়ে আমি গুলিয়ে ফেলতাম।