[justify]
রুমার মনটা আজ বেশ ভালো। গুনগুনিয়ে যখন গান গাচ্ছিলো তখন পেটের বাবুটাও খানিক নেচেছে ওর সাথে। নাচবেই না বা কেন? ও ভালো গায় না নাকি? বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন তখন হুট করে গেয়ে ফেলতো দু চার লাইন, তারপরে সবার মাঝে হুড়োহুড়ি পরে গেলেও আর একটুও গাওয়ানো যেতো না ওকে দিয়ে! জামশেদও ওর প্রেমে পরে টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানে ওর গান শুনেই। ওর এক বন্ধুর সাথে এসেছিলো অনুষ্ঠানে, পরে খুঁজেপেতে বের করে রুমার বাসায় একেবারে বিয়ের প্রস্তাব। ভালো পাত্র পেয়ে ওর বাবা মাও না করেনি।
সেই বিয়ের আজ দুবছর হলো, আর রুমার পেটে এখন ওদের সন্তান। আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরে তুলতুলে একটা জ্যান্ত পুতুল ওর সমস্ত একাকীত্ব ভুলিয়ে দেবেই দেবে, রুমা সেটা খুব করে জানে!
[justify] দুষ্টুর অনেক আফসোসের মাঝে একটা বড় আফসোস তার নানাভাই। নানু মারা গেছেন সেই ছোট্টবেলায়, আবছা একটা ফটোগ্রাফ ছাড়া নানুর আর কোনও স্মৃতি নেই দুষ্টুর। তার আছে শুধু নানাভাই। ওর অনেক বন্ধুর নানুকেও দেখেছে ও, কিন্তু কেউই ওর নিজের নানাভাই এর মতো না। পাড়ার বন্ধুদের কথাই ধরি, মারুফের নানা থাকেন দেশের বাড়ি, প্রতিবার মেয়ের বাড়ি আসার সময় শুধু মারুফ না, দুষ্টুদের সকলের জন্যেই কতশত মজার জিনিস নিয়ে আসেন! রুপার নানা মারা গেছেন, ওর আছে নানী, নানীমনি কী সুন্দর গল্প বলেন! দুষ্টুর মাথায় বিলি কেটে কেটে কতদিন ওদের সবাইকে ঘুমকুমারির গল্প শুনিয়েছেন। দিনার নানাভাই এর মাথাভরা টাক আর গালভরা দাড়ি, ইংরেজি ছবি সান্তা ক্লজের মতো, দুষ্টুকে দেখলেই ছড়া কেটে বলেন, ‘দুষ্টের শিরোমণি, নামটাও তাই/ সারাদিন হেসে খেলে তাই তাই তাই! রিফাতের নানু একটু রাগী রাগী চেহারার, দেখলেই বানান জিজ্ঞেস করবেন, আর উৎরে গেলেই লজেন্স বা বাবলগাম দুষ্টু পাবেই!