[justify]সময় বদলে যায়। ইতিহাস বয়ে চলে তার আপন গতি এবং বিস্তার নিয়ে। হয়তো কোনো কিছু আমরা চাই, পেয়ে যাই। আবার কালের জন্য আঁকড়ে ধরে রাখতে চাই স্রোত।
জীবনে আমার চাওয়া পাওয়া বলতে বিশেষ কিছু নেই। হয়তো মহান কথা বলে ফেললাম। কিন্তু সত্যি করে বলছি আজ অবধি যত টুকু দরকার তার চেয়ে বেশী চাইনি, চাইনি জীবন থেকে। হয়তো তাই বারবার প্রতারণার শিকার হতে হয়।
[justify]ভালোবাসা পেয়ে কোনো কোন সময় আমরা হারিয়ে ফেলি। হারিয়ে যায় স্বপ্ন সুখ। মিশে থাকে বহুদিনের বিবর্ণতা। ডুম্বুরভ্যালীতে এসে আমি যেন দুটোই খোঁজে পেয়েছি। ভালোবাসা এবং বিবর্ণতা। বিবর্ণতা পেয়েছি মানুষের দুঃখে, হতাশায়। তাদের নিত্যদিনের দিন যাপনে। কি করে যে মানুষ গুলো বেঁচে আছে?
[justify]জল পথে ভেসে যাচ্ছি। আধ ঘণ্টা শুটিং সারলাম। ঝিরঝির বৃষ্টির মধ্যেই। বোটের ভেতর থেকে কিছু শট নিলাম। বৃষ্টির গতি ধীরে ধীরে কমে আসছিল। ডুম্বুর ভ্যালীর সব আজব কাণ্ডকারখানাই বটে। হঠাত সব কিছু বন্ধ। আকাশ উজ্জ্বল হয়ে উঠল, সাথে রৌদ্র। মনটা ভালো হয়ে গেলো। বৃষ্টি মনের আনন্দ দিলেও আমার শুটিং এবং কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। যাই হোক আমি শুটিং এর কাজে মন দিলাম। এর আগে দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ডকুমেন
[justify]ডুম্বুরভ্যালীতে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা খুবই সুখকর হয়নি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি চরম বৃষ্টি। এমনিতেই হাতে মাত্র একদিন সময় আছে। খুব ভয় করছিল, আসলে তিন দিনের সময় নিয়ে এসেছি এখানে। এর মধ্যে আমার যে প্রধান কাজ তাই করা হয়নি। মানে ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাকে কাজ দেওয়া হয়েছে এখানকার জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের উপর একটা রিপোর্ট করার জন্য। আর আমি ব্যস্ত আছি আমার ডকুমেন্ট্রি এবং অন্যান্য কাজ নিয়ে। সকালে কোন
[justify]হাতে টাকা ছিলনা। ডুম্বুরভ্যালীতে গিয়ে থাকা এবং শুটিং এর কাজ সারতে যে পরিমাণে টাকা দরকার তার চার ভাগের একভাগও আমার কাছে ছিলনা। কি করা যায় তাই ভাবছিলাম। যদিও শুটিং এর ক্যামেরাম্যান থেকে শুরু করে স্পটবয় সব আমি নিজে, তবুও অনেক খরচ আছে। আর আমার পকেটে টাকা নেই। বাড়িতে টাকা চাইতে লজ্জা করে। কয়েকজন বন্ধুর কাছে চাইলাম। একেবারেই যে নিরাশ হলাম তা নয়। কিন্তু..., আচ্ছা একটা ঘটনা বলি তাহলেই বোঝা যাবে।
গত পরশুদিন (রবিবার) চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। আবারও। এই নিয়ে চারবার, চাকরি জীবনে। তবে আগের চাকরি গুলো ছাড়বার পেছনে কারণ গুলি ভিন্ন রকম ছিল। এইবার চাকরি ছাড়ার কারণটা টোটাল আলাদা। আজ এই লেখাটা আমি আমার হোম সিটিতে বসে লিখছি। আজ আমি আগরতলা ছেড়ে বাসায় চলে এলাম। কারণ আমার পরিবার। এই মুহূর্তে আর বাইরে জীবন কাটানো আমার পক্ষে অসম্ভব। মা এবং বাবা আর ছোট ভাইকে নিয়ে আমার পরিবার। বাবা ও মা অসুস্থতার এমন একটা জায়গায়
এই একটা নতুন পর্ব শুরু করলাম। জীবনের অভিজ্ঞতা খুবই সংক্ষিপ্ত। তবু এই সীমিত ভান্ডারের মধ্যে থেকে যাই পারি তুলে ধরার চেষ্টা করব কিছু ভাল লাগার কথা আর কিছু খারাপ লাগার কথকতা। তবে এই সীমিত সময়ে যা দেখেছি তা দিয়েই কিছু বলার চেষ্টা করব। জানিনা কোথায় বা কোন পোস্টে কোন ধরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।