Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কথা ও কবিতা

পূর্ব-মাতৃকা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ২২/০৩/২০১৩ - ৮:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিঃশব্দ নীল স্বপ্নের ভিতরে ঝরছিল কান্না, মোহনা-নিকটের নদীর মতন শান্ত। সন্ধ্যাবেলার তারা ফুটতে থাকা আকাশের মতন নীরব, গহীন রহস্যময়। সন্ধ্যাতারার ছায়া যখন নদীর শান্ত ঘুমেলা স্রোতের ভিতর কাঁপে, সেইরকম। সেই নীলস্বপ্নের মধ্যে ঘাই দিয়ে উঠলো একটা মাছ, একটা অদ্ভুত দ্রুতগতির মাছ, রুপোলী রঙ ঝলকাচ্ছে তার গায়ে। সে সাঁতরে চলেছে পাশে পাশে তার চঞ্চল ছায়াটিকে নিয়ে।


মেঘডানা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ১৭/০৩/২০১৩ - ৬:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যা আসে আশ্চর্য লাল আর কমলা মেঘের ডানা মেলে, কিন্তু সে রঙ থাকে না, সব রঙ হারিয়ে ধূসর হয়ে যায় মেঘডানা। কী যেন একটা কথা আমার শোনার ছিল কার কাছে? কিছুতেই মনে পড়ে না তার মুখ, তার চোখ, তার নাম। সেই বা কেন বলে নি সেই কথাটা? এমনই এক সন্ধ্যেবেলা ছিল কি সেটা? বলি-বলি করেও যখন সে না বলে চলে গেল?


আকাশের ওপারে আকাশ

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০১/০২/২০১৩ - ৯:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিকেলে ছায়া পড়ে আসে। দেখতে দেখতে ছায়ারা বেড়ে যায় সংখ্যায় ও আকারে, তারপরে মিলেমিশে যায়। একাকার অখন্ড ছায়ার উপরে ভেসে আসে অদ্ভুত নীলচে সাদা কুয়াশা। কুয়াশা আর কুয়াশা, চরাচরে ব্যাপ্ত ধোঁয়ান্ধকার। মিমারা আর নিশিতা কিন্তু জানে এই কুয়াশা পার হয়ে উড়ে যেতে পারলেই আছে আকাশভর্তি ঝমঝমে তারা আর একফালি উজ্জ্বল চাঁদ। আজ যেন কোন তিথি? শুক্লা তৃতীয়া নাকি শুক্লা পঞ্চমী?


অলৌকিক বৃষ্টিকণা

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ২৬/০১/২০১৩ - ৯:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীল একটা বৃষ্টিকণা, আকাশ থেকে তাকে দিঘিতে পড়তে দেখেই আমিও ঝাঁপ দিই। আস্তে আস্তে ডুব দিতে থাকি দিঘির ভিতরে, টুপটুপে নীল বৃষ্টিকণাটার সঙ্গে ডুবতে থাকি, ওটা মিলিয়ে যায় নি, অদ্ভুত একটা নীল রত্নের মতন আমার সামনে সামনে ঝিলিক দিতে দিতে ডুবছে, কোথা থেকে আলো পড়ছে ওর উপরে যে এত ঝিকমিক?


রাত-যাদুকর

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২৩/০১/২০১৩ - ৯:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটুকরো কাগজ উড়ে যাচ্ছে,
তাতে ছিলো না জন্মানো কবিতার কয়েকটা পংক্তি,
সেই মৃত ভ্রূণটিকে বুকে নিয়ে চলে
যাচ্ছে ধাত্রী, ওদের পিছনে সূর্যাস্তের লাল আকাশ।
সেদিকে চেয়ে থাকি জ্বরঝাপসা চোখে,
অন্য এক পৃথিবীর স্বাদ লাগে জিভে।


রক্তহৃদয়

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ১৯/০১/২০১৩ - ৪:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তোর চোখে চোখ রাখি,
দৃষ্টি মেলে দিই ভিতরে, আরো ভিতরে-
যেখানে তোর রক্তিম হৃদয় দপদপ করছে।.....


স্পন্দন

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০১/২০১৩ - ৯:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনে করো তুমি চলেছ নদীর উপর দিয়ে, তোমার নৌকা আস্তে আস্তে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলেছে। তুমি দেখছ নদীর পাড়ে বসে আছে একটা অদ্ভুতদর্শন দীর্ঘচঞ্চু পাখি, চুপ করে দেখছে তোমায়। তুমি এগিয়ে চলেছ দু'পাড়ে সবুজ দেখতে দেখতে, এ নদীতে জোয়ার ভাঁটা খেলে, মোহনার খুব কাছে কিনা! তুমি শুনছ বাতাসের শব্দ, এখন শান্ত, কিন্তু কেজানে কখন ঝড় আসে? তুমি চলেছ সমুদ্রের দিকে।


বর্ণমালাহীন

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১১/২০১২ - ৯:০৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লিখনের ভাষা চুপ করে গেছে, সমস্ত বর্ণমালা মিলিয়ে গেছে তৃণে তৃণে। মিলিয়ে গেছে নিভে আসা দিনের আলোয়, মেঘাবৃত আকাশে। বৃষ্টির প্রতিটি বিন্দু এখন বাঙ্ময়, ঝড়ের মেঘে সমুদ্রের উড়ন্ত নাভি।এখানে মুক্তির খোঁজে কোন্‌দিকে যাবো? দিকদিশাহারা দিগন্তবিসারী মৃত্যুর দিকেই? নাকি তমিশ্রা পার হয়ে পুনর্জন্মের দিকে?


অনেক দূরে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ২৩/০৯/২০১২ - ১১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক দূরে আমার দেশে এখন প্রথম শরৎ, মেঘের ভিতর থেকে হঠাৎ হঠাৎ এখন সেখানে উঁকি দেয় আশ্বিনের নীলখুশী দিন। বৃষ্টিধোয়া নীলকান্তমণির মতন নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় কাশফুলের মতন শুভ্র মেঘের দল। হয়তো শিউলিরা একটু একটু করে মেলছে চোখ, হয়তো কাশফুল নদীতীরে লাজুক ডানা মেলেছে কোথাও। এবারও আমার সেইসব সঙ্গীতময় শিউলিভোর দেখা হবে না, সেইসব উৎসবময়ী সপ্তমীসন্ধ্যা অষ্টমীরাত্রি আর "নবমী নিশি গো পোহায়ো না ধরি পায়, তুই চলে গেল


নদীর ঢেউ রে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: সোম, ১৬/০৭/২০১২ - ৪:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিগন্ত থেকে ছুটে আসে ঢেউয়ের পর ঢেউ, তার চূড়ায় চূড়ায় সুর বসাই, কথা বসাই। বসিয়ে যাই হাসিকান্না, চুম্বন-অশ্রু, গরমভাত ও ক্ষুধার গল্প। বসিয়ে দিই জলপাই বনের হাওয়া, জ্বরের ঘোর, ঘুম, স্বপ্ন। যত্ন করে বসাই বৃষ্টিবিন্দুদের, বসাই চিকমিকে বিদ্যুৎ ও বাজের হুঙ্কার। অসীম একখানি গানের মধ্যে মিশে থাকা কথা সুর ছন্দ তাল লয়ের মতন ওরা থাকে, ওদের শুরু নেই, শেষ নেই কোনো। কেজানে কোথা থেকে আসে অবাক হাওয়া-তারারা দপদপ করে,