মিথ্যে কথা বলব না। স্বীকার করছি আমিও একসময় নিজেকে হিন্দু মনে করতাম! এবং হিন্দুধর্মাচার পালনও করতাম! সেই সময়ের কথা বলছি যখন আমি সদ্য কিশোর। এগুলি পরিবারতন্ত্রের দ্বারাই আমাদের মাঝে গেঁথে দেওয়া হয়। আজ জীবনের কিছু বছর পেছনে ফেলে এসে একটা জিনিষ বারবার ধাক্কা দেয় – যে সংস্কৃতি নিজের আচরণে সভ্যতাকে পর্যন্ত কলঙ্কিত করতে পারে তাকে ধারণ করা কী অমানবিকতার নামান্তর নয়?
আমার এক বন্ধুবর এর সাথে কথা বলার মধ্যে দিয়েই এই নাটকের আইডিয়ার সুত্রপাত। সেই প্রসঙ্গে দুইখান কথা।
আমার এক বন্ধু একদিন বললঃ বন্ধু আমি তো ভীষণ ধার্মিক মানুষ। তোর সাথে আমার বন্ধুত্ব হবে কি করে বল?
[justify]তারপর.........
তারপর আর কি! আমার মতো কিছু গোরু হাম্বা হাম্বা করে যায়। আর আলোর চোখে ঠুলি দিয়ে বসে থাকে বিবর্ণ সমাজ। তবুও হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া জীবন বন্ধনে পথের ধারে লুকিয়ে থাকে কিছু হোতাদের কথকতা। যাদের দেখলে মনে হয় অন্তত মৌলকুত্তারা তাদের পোষ মানাতে পারেনি।
[justify]তারপর ..................
“যদিও আকাশ ধোঁয়াশায় ম্রিয়মান/ তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান”
[justify]ফ্ল্যাশব্যাক :
“কোথায় থেকে যে বুদ্ধি মাথায় এলো আমি ওর আঙুলটা নিয়ে নিজের মুখে ঢুকিয়ে দিলাম। তারপর...”
…………………………………………………………….. :
তারপর... আর কি, এভাবেই আমার প্রথম বারের মতো ধর্ম ধর্ষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।
[justify]ছেলেবেলায় একবার আমার এক বন্ধুকে নিয়ে ক্লাস শেষে তার হাত ধরে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। স্কুলে সে ছিল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমরা একসাথে খেলতাম, কাদায় গড়াগড়ি খেতাম, এমনকি বেঞ্চে বসা নিয়ে মারামারি অবধি করতাম। তারপরও প্রতিদিন নিজেদের টিফিন শেয়ার করতাম। সেই আমার বন্ধুকে যেদিন বাড়িতে নিয়ে আসলাম, ঠিক কি বলব বুঝতে পারছিনা একেবারে, বলতে গেলে দক্ষযজ্ঞ বেধে গেলো।