[justify]বাবার কোনো স্মৃতি নেই আমার। ছোট্ট বাচ্চাদের খেলনা রোবট কিংবা বহুমুখী ট্যাবলেট থাকে, আমার সেইসব-ও ছিলো না, আমি বড় হয়েছি কেবল সংখ্যার শূন্যতার ভেতরে, শ্রোডিঙ্গারের বেড়ালের অস্তিত্ব-অনস্তিত্বকে সঙ্গী করে! মা আমাকে খুব সূক্ষ্মভাবে পরিচালিত করে বড় করেছে, আমি এখন ভেবে ভেবে বের করতে পারি।
“বাবা, এইবার কিছু দায়িত্ব নে না তুই, বোঝাটা একটু হালকা কর আমার?”
মেজাজটা সপ্তমে চড়ে গেল। এমন করে কেন এই লোকটা! প্রতিটা দিন এই একই কথা! সেই সাত-সকালে বেরিয়েছি, সারাদিন ক্লাস-ল্যাব-প্রাইভেট ঘুরে এই কিছুক্ষণ আগে মাত্র ফিরেছি। আর উনি শুরু করে দিলেন।
[justify]খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার ধাদুয়া গ্রামের এক কৃষক পরিবার। অর্থবিত্তের মাপকাঠিতে ওদের বড়োজোর নিম্নবিত্ত বলা যেতে পারে, তার থেকে বেশি কিছু না। বাপটা বুড়ো তবে একেবারে পোড়ো না। টুকিটাকি কাজকাম করার শক্তি-সামর্থ আছে, আর তা করেও বুড়ো। তার ছেলেটা জোয়ান, মোষের মতো খাটতে পারে। তার’ও আবার ছোট্ট একটা এক বছরের ছেলে আছে।
বাবা-কে নিয়ে দীর্ঘ একটা লেখা লিখবার ভাবনা মাথায় ঘুরছে অনেক দিন থেকেই। ভেবেছিলাম হয়তো লিখবো কি করে বাবার কাঁধটাকে পেয়ারা গাছ বানাতাম, বাবার হাঁটুতে বসে সুরেলা কন্ঠের তিল-ওয়াত শুনতাম সেই অবুঝ সময় গুলিতে, আর বাবা গা-ভর্তি পাউডার দিয়ে ঘর থেকে বের হবার পর সেই পাউডারে স্লিম কাটতাম, কিংবা বাবার পাঞ্জাবির পকেট থেকে কিভাবে 'চিজ' আবিষ্কার করতাম । কিন্তু একবারও পেরে উঠছিনা। আমার দুর্বলতাটা কাটিয়ে উঠত
- মাইনুল এইচ সিরাজী
আমাদের ৫ বছরের মেয়ে কুশিয়ারা। একটু বড় হওয়ার পর যখন সে খাতা-পেনসিলে আঁকিবুকি করতে শিখল, তখন থেকেই সে স্কুলের স্বপ্ন দেখতে থাকল। টিভিতে যখন সে স্কুল-ড্রেস পরা বাচ্চাদের দেখে, কিংবা যখন কোনো স্কুলের সামনে দিয়ে যায়- বলে, মা আমি কখন স্কুলে যাব? বলে, বাবা আমাকে স্কুল-ড্রেস কিনে দাও না কেন?
তার সঙ্গে আমরাও স্বপ্ন দেখি, চার-পাঁচ বছর হলেই তাকে স্কুলে দেবো। শাদা-মেরুন কিং ...
ব্যাপারটা কেমন যেনো দুঃস্বপ্নের মতো, বারেবারে ফিরে আসে।কতদিন হয়ে গেল তবু ভোলা যায়না একটি বারের জন্য ও।কবছর হলো বাবার সাথে কথা বলেনা মিতিন, মনে করতে পারছেনা।আশেপাশের মানুষ বাবার জন্মদিন পালন করে, বাবাদিবসে আনন্দ উল্লাস করে, এসব ওর কাছে যেন অর্থহীন লাগে,যন্ত্রনার মত মনে হয়।মায়ের লজ্জায় কুঁকড়ে যাওয়া সেই মুখ মিতিন কেমন করে ভুলে যাবে।মনে মনে ভেবেছিল বাবার উপর প্রতিশোধ নেবে।কিন্ত...
“আব্বু উইঠা পড়, সাড়ে ছয়টা বেজে গেছে ।”
“হুমমম...”
“আব্বু ক্লাস মিস কইরা ফেলবা।”
“হুমমম...”
“উঠে পড়... ”।
গাঁইগুঁই করতে করতে আমি বাথরুমে যাই। বেসিনের পাশেই রাখা গরম পানির কেতলি। সকালে ঠান্ডা পানি লাগলে আমার আবার হাঁচি হয়। বাথরুম টাথরুম সেরে খাওয়ার টেবিলে গেলেই নাস্তা রেডি। ভাবছেন আমি স্কুলে যাচ্ছি? উহুঁ হলো না, আমি রীতিমত দামড়া ছেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। সকালে যুদ্ধ করে আমাকে উঠাচ...
[justify]
..............রাশেদের বাবার সবকিছুই খুব বিরক্তিকর। তিনি যখন ফোনে কথা বলেন, এতোই জোরে বলেন যে, যদি কেউ তাঁর কোনও ফোন দরকার নেই ভেবে বসেন, তাহলে তাকে দোষ দেয়া যাবে না আদৌ। একবার তো রাশেদের ছোট খালা ফোনে রাশেদের বাবার হ্যালো শুনে ভয় পেয়ে হাত থেকে ফোনটাই ফেলে দিয়েছিলেন। পরে সেটা নিয়ে খুব হাসাহাসি হয়েছিলো। তবে রাশেদের বাবার সামনে কেউ ভুলেও হাসাহাসি করে না, বা মজা করে না। তাঁকে সবাই খ...
১১. যখন কেউ আমাকে পাগল বলে
[justify]
গেল সিমেস্টারে ক’দিন বাক্স থেকে খাওয়া-দাওয়া করেছি। ভোর ১১টা নাগাদ ঘর থেকে বের হওয়ার পথে বাক্সে কিছু খাবার নিয়ে যেতাম। দুপুর ৪টা নাগাদ তা দিয়ে লাঞ্চ করতাম, রাতে ঘরে ফিরেও সম্ভব হলে বাক্স থেকেই খেতাম। প্লেট-গ্লাস ছেড়ে এই অচেনা পথে বিচরণের শুরুটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং-এর ক্যান্টিনে। কিছু প্রফেসর লাঞ্চ করছিলেন বাসা থেকে কৌটায় করে আনা খাবার দিয়ে। সেই ...
[বাবাকে নিয়ে আবেগী কবিতা। না না, কবিতা বললে ভুল হবে। কবিতার ধার দিয়ে ও যায় নি এটা। বলা যায়, কিছু ছড়ানো-ছিটানো এলোমেলো শব্দগুলোকে একটি প্লাটফরমে নিয়ে আসার ক্ষীন চেষ্টা। আমার বাবা এখন আমার থেকে হাজার মাইল দুরে। এটা লিখার সময় বাবাকে খুব অনুভব করেছি, মনে হয়েছিল বাবা আমার সামনে বসা। অনেকদিন পর বাবার সাথে সামনাসামনি কথা বললাম। সেই ভাল লাগার অনুভুতি থেকেই লিখলাম। প্লিজ খারাপ লাগলে গাল...