এখন আমার সময় হল, যখন সবাই চলে গেলো.........
আজকাল আমি মুখবই এর বুকে সময় মতো আসতে পারিনা। কারণটা হল আমার কর্মক্ষেত্র। আমার সাধারণ অকেজো কাজে হালকা পাতলা পদোন্নতি হওয়াতে আমার তেরোটা বেজেছে। বলতে গেলে দৌড়ের উপর আছি। কথা বলতে পারিনা তোমার সাথেও। কখনো কখনো আমার আকাঙ্খা ছাপিয়ে যেতে চায় সমস্ত সীমাহীন প্রান্তর। কিন্তু মন একটা জায়গায় এসে থেমে যায় বারবার।
শেষ পর্যন্ত এই মেয়েটাই ঝুলে গেলো আমার গলায়। আর প্রথমদিন থেকে বয়ে চলছে আমার শবদেহ...
আমি তোমার কে হই।
- জানিনা।
- কেন জানলেনা।
- আমার লজ্জা করে...
রাত্রি বোধ হয় শেষ হবার পথে। ঠিক কটা বাজে তা বোঝা না গেলেও টিনের চালের ফাঁক দিয়ে পৌষের হিমেল হাওয়া সাংঘাতিক ভাবে ঢুকছিল। দু দিন ধরেই ঘুম নাই অসিতের। নিজের ঘর থেকে এত দূরের এই চিলেকোঠায় গত দশ বছরের সবচেয়ে অস্থির রাত্রি আজ। কারণ বলতে দুইটা আছে, এক পায়ের ঘা’টাতে প্রচণ্ড ব্যাথা করছে। আর দ্বিতীয়র প্রচণ্ড মানসিক দোটানায় আছে সে। দুদিন আগের সেই ঘটনা তার সমাজ দেখার ভূগোল পাল্টে দিয়েছে। সে ভাবে রঙ নিয়ে। কোন
হ্যালো, সুমন কি করছিস?
- এইতো আছি একরকম। তোর কি খবর?
- ভালো। পরশুতো ঈদ। আমি বাসায় ফিরছি। খুব আড্ডা হবে।
- হা হা হা। ওকে, বস। তাহলে পরশু দেখা হচ্ছে।
- তোকে আবার দাওয়াত দিতে হবে নাকি।
- না না। কি যে বলিস। ওকে ব্রাদার মঙ্গলবার কনফার্ম।
- পাক্কা। ভাবিকে নিয়ে আসবি কিন্তু।
- শিওর।
অনেক দিন হল এভাবেই আছি। বসে বসে খাচ্ছি, বিছানায় শুয়ে আছি, অনেক রাতে বিছানায় ঘুমহীনতায় কাটাই। আবার খুব দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। চলে যাচ্ছে। কি জানি ওষুধ এবং অসুখ আমার জীবনে পালা করে আসছে আর যাচ্ছে। আমার ঘরটা একটু আবছায়া থাকে দিনের বেলাতেও। জানলা গুলোও বিশেষ একটা খোলা হয়না। ইচ্ছে করে যে খুলিনা তা নয়, প্রখর আলো আমার সহ্য হয়না। যদিও ঘরের মধ্যে সাইনাসের প্রবলেম হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তবুও আমি আলোহীনতাকেই আজক
টিকটিকিটা টিকটিক করে উঠলো।
আজকাল কেমন যেন নির্লিপ্ত হয়ে গেছে অরুণ। চুপচাপ থাকে। আর ভাবে।
কে এই অরুণ ? আমি। অরুণ সেনগুপ্ত, আমার নাম। যদিও আজকাল লোকে পাগল বলেও ডাকে।
শব্দ কাঁধে নিয়ে চলে যাই হেঁটে হেঁটে। যতদূর সম্ভব সীমানা মেলেনা। আদি অন্ত দিগন্ত মিশে যায়।
[justify]হেমন্তের আকাশে রঙ লেগেছে। সে রঙ গায়ে মেখে হরিপদ দাপিয়ে বেড়ায় সামন্তপুরের বাতাসে। মা ডাকে। দুপুর গড়িয়ে গেল হরি ভাত খেয়ে যা। হরি শুনেও শুনেনা।
বিকেলে আবারও খেলতে চলে যায় হরিপদ। সন্ধ্যা হয়, প্রত্যেক দিনের রুটিন মতো মা আবারও ডাকে, হরি। হরিপদ শুনেও শুনেনা। সে বসে থাকে। বাবা আসবে। কাঁটাতারের ওপারে হরিদের ধানের জমি। বাবার হাত ধরে বাসায় ফিরবে হরিপদ। রোজ যেভাবে ফিরে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি : এটা একটা মৃত স্ট্যাটাস
অপ্রতিমের ডেস্ক
ফোনটা তৃতীয়বার রিং করে কেটে গেলো। আরেকবার। দ্যা ডায়াল্ড নাম্বার ডাস’নট অ্যাকজিস্ট প্লিজ চেক দ্যা নাম্বার এন্ড ডায়াল এগেন। তিন মিনিট কেটে গেলে।
হ্যালো। সালাম ওয়ালেকুম।
কেমন আছো।
জি। কে ? চিনতে পারলাম না?
ও, আচ্ছা। ঠিক আছে। ভালো থেকো।
আগরতলার রাজপথে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত নগরে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছেলেটি।
***********
[b]