বাংলাদেশের মোবাইল ফোন পেনিট্রেশন এখন ৭৫%, বিশ্বব্যাপী ৯৩.৫% । আমাদের মধ্যে অনেকেই এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করি। দিনে দিনে এটি আরও সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোনের নানা সেবা, নানা অ্যাপ, আমাদের জীবনে অনেক সুবিধা এনে দিচ্ছে। আমাদের ফোন এখন জীবনের মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেবার, বিবিধমুখী যোগাযোগের মাধ্যম, পথ দেখানোর সাথী এবং নানা কিছু।
তবে আমরা এসব নানা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার ভিড়ে নিজেকে উজাড় করে দেবার মধ্যে কিছু ব্যাপার ভুলে যাচ্ছি। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনটা খুব উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে আমাদের অজান্তেই। এসব স্মার্টফোন তাদের নানা সেবার জন্যে লোকেশন সেবা ব্যবহার করে যা আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা রেকর্ড করে।
(বছর দুয়েক আগে গুগল কথন সিরিজে অনেকগুলো পোস্ট লিখেছিলাম, আমার গুগলে ৩ মাস কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে। আজ নতুন করে সিরিজটা পড়তে গিয়ে দেখলাম, অনেক কাহিনীই বাদ পড়ে গেছে। তাই এই বোনাস পোস্ট। আগের পোস্টগুলোর লিংক পাবেন এই পোস্টের শেষে।)
---
টেস্টিং অন দ্য টয়লেট
গুগলের অনেক কিছুই বেশ ইন্টারেস্টিং, সাধারণ কোম্পানি যেভাবে কাজ করে, তার পুরা উলটা দিকে অনেক কাজ করত...
গুগলের বাংলা ইন্টারফেইসে অদ্ভুত বাংলা শব্দের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। "নীড়পাতা", "ডকিউমেন্টস", "রঙায়ন", "পরিষেবা", "আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি", "গুলি গুলি গুলি" (ধারণাগুলি, ডেমোগুলি, পরীক্ষণগুলি...), "শ্রেণিবদ্ধ", "ব্রাইজার", "সরঞ্জাম দণ্ড", -- এহেন অদ্ভুত খাপছাড়া শব্দ উপহার দিয়েছে গুগল, যা পড়ে মাথা ঘোরায়, কিংবা ধুলো পড়া "চলন্তিকা পুরাতন বাঙ্...
ভূমিকা:
মিথ্যা কথা নাকি তিন ধরনের হয়: হুদা মিছা, ডাহা মিছা আর পরিসংখ্যান। কয়েকদিন আগে দেখলাম একজন লিখেছেন ৯৮.৩২% পরিসংখ্যান অন-দি-স্পট মনগড়া। বলাই বাহুল্য এই ৯৮.৩২%এর কথাটাও মনগড়া হতে বাধ্য তাহলে। সে যাই হোক, সত্য মিথ্যার বিচার পরে, তবে পরিসংখ্যানের উপর আমরা কমবেশী সবাই নির্ভর করি। নির্ভর করি এই বিশ্বাসে যে পরিসংখ্যান বাস্তব অবস্থার একটা সহজ সাংখ্যিক ছবি দেয়। যেমন, আমাদের দেশের শ...
কদিন ধরে ওয়েবে ঘুরাঘুরি করার সুযোগই পাচ্ছিলাম না সংসার ও জীবনের ব্যক্তিগত ব্যস্ততায়। অনলাইনে কোথাও এমন কি কোনো ব্লগেই সক্রিয়ভাবে ঢুকা হচ্ছিল না। শুধ...
বেশ কিছুদিন ধরেই গুগল বই এর সাইটটি (books.google.com) আমার নজরে এসেছিল । প্রথমে একটু নিরাশই হয়েছিলাম কেননা এতে কোনো বইয়ের পুরোটা দেখা যাচ্ছিল না কেবল অংশবিশেষ দেখা যাচ্ছিল । তারপর একটু ভাল করে নজর করে দেখলাম যে ফুল ভিউ লিংকে গেলে যে বইগুলি ...
গুগলপ্লেক্সের প্রধান ক্যাফেতে প্রতিদিন দুপুরে বা বিকেলে যেতাম ... ওখানকার ৫ রকমের বিভিন্নদেশী খাবারের স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। এই ক্যাফেটার নাম "চার্লি'স ক্যাফে" ... জানতে চেয়েছিলাম একদিন, ...
গুগলের কর্মীদের সাথে কাজ করতে করতে অল্প দিন পরেই যেটা লক্ষ্য করি, সবাই প্রচন্ড কাজ পাগল। দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করার জন্য গুগল পয়সা দেয়। কিন্তু গুগলের কর্মীরা অফিসে থাকে আরও অনেক বেশি সময়। কা...
সের্গেই ব্রিন আর ল্যারি পেইজ গুগলের প্রতিষ্ঠাতা দুই টগবগে তরুণ। তাঁদের পরিচয় হয় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পিএইচডি করার সময়, আর ঐ সময়েই দুজনে মিলে পেইজর্যাংক নামের একটি অ্যালগরিদম লিখেন। পেইজর্যাংকে...
ইন্টার্নশীপের প্রথম দিনেই হাজির হলাম গুগলের সদর দপ্তরে। এতো বিখ্যাত কোম্পানি, কিন্তু নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি নেই। প্রথম দিনে লবিতে আমার ইন্টার্নশীপের কাগজপত্র আর আইডি দেখানোর পরে ছবি সহ ...