আগের পর্ব, অসুন্দরের সুন্দরবন
৪.
আমি রাজু ডাকাতের সাথে হাত মেলালাম। লম্বা, শক্ত, কড় পড়া হাত, ধরে থাকলাম কিছুক্ষণ। পুরো ঘরটায় কবরের অদ্ভুত নীরবতা কিছু সময়ের জন্য। নিরবতা ভেঙে ডানা ঝাপটিয়ে একটা পেঁচা উড়ে গেলো উপর দিয়ে, ঘরের পেছনে কাঠের মাচায় টহল দেয়া ডাকাতদের কারো হেঁটে যাবার মচমচ শব্দ শোনা গেলো, একই সময় কোনো কারণে ভয় পাওয়া একপাল হরিণের ছুটে চলার শব্দ বাম দিক থেকে এসে ডানে মিলিয়ে যেতেই রাজু ডাকাতের সহকারী কথা বলে উঠে “আপনার কেমন লাগছে?” তার দিকে তাকালাম, রাজস্থানি পাগড়িতে দারুণ দেখাচ্ছে, তাকে দেখে ছোটবেলায় দেখা নওয়াব সলিমুল্লার ছবির কথা মনে পড়ে গেলো, ডাকাত দলের ভেতরেও তাহলে রাজা প্রজার ভেদাভেদ থাকে, মানসিক শক্তির অভাব থাকলে পোশাকের মাধ্যমে নিজের তফাৎটা অন্যদের বুঝিয়ে দেয়। হাসি পেলো আমার, ওর কথার সরাসরি জবাব না দিয়ে পরিস্থিতি আমার অনুকূলে রাখার জন্য উলটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলাম “হঠাৎ করে বাইরের জগতের কারো সাথে পরিচিত হয়ে আপনাদের কেমন লাগছে?”