আজকাল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা চমকপ্রদ সব কাজ করতে পারেন। ধরুন কেউ যদি চাঁদে যেয়েও ম্যাচের কাঠি জ্বালায়, সেই আলোক শিখাও তারা নির্ণয় করতে পারবেন। অনেক দূরের নক্ষত্রদের সামান্যতম চঞ্চলতা আর টলোমলো গতিবিধি থেকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাদের আকৃতি, প্রকৃতি এমনকি আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূরে অবস্থিত গ্রহেরও সম্ভাব্য বসবাস যোগ্যতা নির্ণয় করতে পারেন। এই গ্রহগুলা এতই দুরে যে সেখানে যেতে নভোযানে করে আমাদের ৫ লক্ষ বছর লেগে যাবে। রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে তারা এত অসম্ভব রকমের মৃদু বিকিরণ গুচ্ছ ধরতে পারেন যে সেই প্রথম থেকে শুরু থেকে(১৯৫১ সাল থেকে) এ পর্যন্ত যত বর্হিঃ সৌরজগতীয় শক্তি তারা সংগ্রহ করেছেন তার মোট পরিমাণ কার্ল সেগান এর ভাষায় "একটা তুষার কণা যে শক্তিতে মাটিতে আঘাত করে তার থেকেও কম"।