প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
চামেলী বাগে একটি নিরিবিলি বাড়ির বড় ছেলেটি পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে। তখন সারা দেশটিতে পাকিস্তানীরা বাঙালী নিধন করছে। ঢাকা অবরুদ্ধ। ঢাকা থেকে এই ছেলেটিকে ১৯৭১ সালের ১১ অক্টোবর তার বাবা একটি চিঠিতে লিখেছেন,
স্নেহের শামীম,
একজন মানুষের ছবি শৈশব থেকেই আমার মানসপটে খোদাই হয়ে আছে-পাতলা ধরনের মানুষটির মুখে এক চিলতে হাসি, নাকের নিচে সরু গোঁফ, মুখে বিনয়ী ভাব কিন্তু চোখ দুটো যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। মানুষটির হাত ভর্তি পুরস্কারের ট্রফি, সেগুলোর সংখ্যা এটি বেশী যে দুই হাতে আগলাতে যেন হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। মলিন নিউজপ্রিন্টে ছাপা খবরের কাগজটি যেন প্রাণোচ্ছলতায় ভরে উঠেছে কেবল তার হাসিময় চোখ দুটোর জন্য। কে তিনি?
[লেখাটি ইতিপূর্বে জার্মানী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক "অরিত্র"র জানুয়ারী-মার্চ ২০০৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল]
শহীদুল ইসলাম একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসীকতার জন্য তাঁকে 'বীরবিক্রম' উপাধিত...