মোগল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ প্রতাপশালী বাদশা আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি এক্সপোর্ট কোয়ালিটি শয়তানের লাকড়ি। গদিতে বসার জন্য তিনি তার প্রতিটি ভাইকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হত্যা করেন, পিতা শাজাহানকে জেলের ভাত খাইয়ে মারেন। গদিতে বসে তিনি গণহারে হিন্দুদের খৎনা করে মুসলমান বানাতে থাকেন, ধর্মীয় বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর পুনরায় চালু করেন, হাজার বছরের পুরোন মন্দির প্যাগোডা ধুলোয় মিশিয়ে দেয়া হয়। তিনি ভন্ডামীরও বাদশা ছিলেন, সকাল বিকাল কুরান শরীফ মাথায় ঠেকিয়ে জিহাদি জোশ দেখালেও রাতে নিজেরই বিয়ে করা হিন্দু বউয়ের কোমল বুকের খাঁজে নাক ডুবিয়ে ঘুমাতে তার আটকাতো না। প্রখর বুদ্ধিমান, প্রতারকশিরোমণি ও চরম ধুরন্ধর মহীউদ্দিন মুহম্মদ আওরঙ্গজেব ছিলেন একটি ক্রিমিনাল মাস্টারমাইন্ড।
আকবর বাদশার বিয়ের বাতিক ছিল, তার বউয়ের সংখ্যা কোন বইয়ে ৩৬ কোন বইয়ে ৩০০ দেখতে পাই। বউ ছাড়াও হেরেমে ঢলাঢলি করার জন্য দুনিয়া চষে হাজার পাঁচেক মেয়ে মজুত ছিল তার। বীর্য বিলিয়ে বেড়াতে আকবর তুলনাহীন ছিলেন, সব জাতের সব ধর্মের মেয়ে চেখে দেখার স্বভাব ছিল তার। মিরিয়াম ছিল আকবরের খ্রিস্টান বউ। গোয়ার পর্তুগীজ যাজক সম্প্রদায়ের লোকের চোখ চকচক করে ওঠে আকবর মিরিয়ামের বিবাহে, মোগল বাদশাকে খ্রিস্টান কর
হেরেম আর হারাম একই জিনিষ, নিষিদ্ধ মাল। হেরেম একটি আন্তর্জাতিক শব্দ, যেমন পুলিশ...যে ভাষাতেই বলেন পাবলিক বুঝবে। মুচকি একটা হাসিও দিতে পারে। তুর্কী সাম্রাজ্যের আমলে শুরু হওয়া হেরেম প্রতিষ্ঠানটিকে আমাদের ভারতীয় মোগল সম্রাটেরা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। শাজাহানের হেরেম জীবনের খানিকটা বর্ণনা পাওয়া যায় জেমস হুইলার লিখিত “The History of India from the Earliest Ages: pt. 1.