বেশ কিছুদিনের পত্রিকা দেখা হয়নি। একগাদা নিয়ে বসেছিলাম। তারিখ টুকে রাখিনি, হয়তো কিছু কিছু চোখ এড়িয়েও গিয়েছে; তারপরেও যেগুলো চোখে পড়ল তারমধ্যে কয়েকটা ছিল এরকম -
১) বিএসএফ মাঝরাতে বর্ডার পার হয়ে এসে এক গ্রামে হামলা চালায়। রীতিমত ঘরের দরজা ভেঙ্গে মহিলা ও শিশুদের মারধোর করে এবং পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সবার মিলিত বাঁধায় শুধু পিটিয়ে আহত করে রেখে যায়।
একদিকে আমাদের চামড়া মোটা, আমাদের ভেতরে খুব সহজে কিছু ঢোকে না। আবার ঢুকলেও কীভাবে যেন আমরা খুব দ্রুত ভুলে যাই, আমরা খুব দ্রুত ভুলে যেতে ভালবাসি। আমাদের চাই প্রতিদিন ব্র্যান্ড নিউ খবর, তাও ছাপার অক্ষরে হালকা বা ঝাপসা খবরে আমাদের চলে না, আমাদের চাই একেবারে ভিডিও। সেই কবেকার কথা! জানুয়ারীর প্রথম দিকের কথা! তিনমাস হয়ে গেল। এত আগের কথা কি আমাদের মনে আছে? মনে থাকে?
বিডিনিউজের খবর অনুযায়ী, বিএসএফ আজ পিটিয়ে হত্যা করেছে মো. শাহাদাত নামে এক গরুচালানীকে।
বিজিবির স্থানীয় ক্যাম্প কমাণ্ডারের দেয়া তথ্যানুযায়ী,
মার্চের এক তারিখে আমরা ঘোষণা দিয়ে ভারত বনধ পালন করেছি। অনেকেই এর সাথে মতৈক্যে আসেননি, আবার অনেকেই তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন। সচেতনতা তৈরী করেছেন। ভারত বনধ পালনের কারণ, সীমান্তে বিএসএফ এর বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা এবং এই ব্যাপারে ভারতীয় সরকারের রহস্যজনক নীরবতা- প্রচার করেছেন।
আবারও ভারত বনধ, ১৫ মার্চ - পোস্টার
বিডিনিউজের খবর বলছে,
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। নির্যাতনে আহত হয়েছে আরো এক বাংলাদেশি।
ভারত বনধ কর্মসূচির নামটি সম্ভবত এই পোস্টের পাঠকের কাছে ইতিমধ্যে পরিচিত। পরিচিত হয়ে না থাকলে, অনুগ্রহ করে লিঙ্কটিতে ক্লিক করে আমাদের পূর্ববর্তী আলোচনা দেখে আসতে পারেন।
হাবিবুরের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের। সেই যে, যাকে উলঙ্গ করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোয়ানরা উষ্ণ চায়ে সুড়ুৎ সুড়ুৎ চুমুক দিতে দিতে পিটিয়ে ছিলো একটা পশুর মতোন। সেই হাবিবুর, যার সাথে 'ম্যানেজ'-এ বনিবনা না হওয়ায় যার জননাঙ্গে পেট্রোল ঢেলে দিয়েছিলো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী'র জোয়ানেরা। সেই হাবিবুরের কথাই জিজ্ঞেস করছি। আমি জানি আপনারা জানেন এই হাবিবুরের কথা।
সচলায়তনে এর আগে ভারত বনধ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন অনেকে। সংক্ষেপে এই কর্মসূচি সম্পর্কে আবার সবাইকে জানাতে চাই।
১। এই কর্মসূচি সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচার হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ হিসেবে পালিত হচ্ছে।