এখানে আগের পর্ব ৫। আমি আর আরেনুশ কিছু কিছু সকালের ক্লাস একসঙ্গে করি, প্রধানত চিত্রকলার ক্লাস৷ দুপুরে একসঙ্গে দু'জনে টিফিন খাই, তারপরেই আরেনুশ চলে যায় এক দূর প্রান্তরে যেখানে অনেক ছোটো বড়ো মিনার আর প্রার্থনালয় তৈরী হচ্ছে, সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও ভাস্কর্যের কাজ করে৷
এখানে প্রথম অংশ ৩। মজবুত জাহাজে অনেকের সঙ্গে ভেসে পড়লাম আমি আর আরেনুশও৷ অনেক তদবির তদারকের পর অনুমতি পাওয়া গেছে সাংগ্রিলার৷ না না, যোগের ইস্কুলে নয়, অত যোগ্যতা আমাদের কোথায়?
১। গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টির মধ্যে ডুবে যেতে থাকে বাড়ীঘর মাঠ পাহাড় নদীতীরের পাথর, বালি ক্যাকটাস, আমি তুলি ঝেড়ে জল ফেলি আরো আরো আরো৷ ফোঁটা ফোঁটা জল৷ ওয়াশ ছবি বলে একে, এ ছবির অনেক অনেক ডিমান্ড আজকাল৷ ঐ যে যখন ঠিকানাহীনেরা দৌড়ে যেতো বৃষ্টি আসা মাঠের উপর দিয়ে নৌকার দিকে, ছইয়ের উষ্ণ করতলে আশ্রয়ের আশায়, পিছনে বৃষ্টিকে মনে হতো জাপানী ছবি--সেই সময় থেকে এতদূরে আমরা, এখন দূরবীণ কষেও সেসব আর দেখা যায়