যে কোন বিজ্ঞানের ছাত্র যখন প্রথমবার কোয়ান্টাম মেকানিক্স পড়ে তার চিন্তাভাবনার জগতে বেশ বড়সড় একটা ধাক্কা লাগে। এটা আমার মত অভাগা গ্রাজুয়েট ছাত্রের কথা না, স্বয়ং নেইলস বোর বলেছেন, “কেউ যদি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রথম দেখায় ধাক্কা না খায়, তাহলে খুব সম্ভবত সে এটা বুঝতেই পারেনি!” কিন্তু আমাদের পদার্থ যে কোয়ান্টাম কণা দিয়েই তৈরি, তাই পদার্থের স্বরূপ বুঝতে হলে আমাদের কোয়ান্টাম জগতেই যেতে হবে।
সর্বপ্রথমে মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আমার এই নিদিষ্ট বিষয়ে কেন আগ্রহ তার ভূমিকা পাঠকের সুবিধার জন্য দেওয়া দরকার বলে মনে করছি ৷ হুমায়ুন আজাদের 'পার্বত্য চট্টগ্রাম:সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝর্ণাধারা' নামক ছোট্ট বইটি সম্ভবত অবশ্যপাঠ্য ও প্রিয় বই বিশেষত তাদের কাছে-যারা ব্লগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন- অফলাইন মাধ্যমে হিল ট্র্যাকসের পাহাড়ী/আদিবাসীদের (সরকার ও অনেক বাংগালীর মতে উপজাতি/ক্ষুদ্র ন
(এই পোস্টে উদ্ধৃত সকল তথ্য, উপাত্ত ও বিশ্লেষণ 'Institute for Energy Economics and Financial Analysis' থেকে প্রকাশিত 'Risky and Over-Subsidised: A Financial Analysis of the Rampal Power Plant' নিবন্ধটি থেকে নেওয়া। এই লেখাটি মূলত ঐ নিবন্ধটির কিছু উল্লেখযোগ্য অংশের অনুবাদ। আগ্রহী পাঠক যারা আরও বিস্তারিত জানতে এবং মূল নিবন্ধটি পেতে আগ্রহী তারা এই লিঙ্ক থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারেনঃ
সিটে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখজোড়া ঘুমের ভারে প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। এমন সময় সামনের সিটে রাখা হাতের দিকে নজরটা যায়। বিশেষ করে ঘড়ির দিকে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, সেটা নষ্ট।
[কারো রুদ্রানুভূতি আহত হলে লেখক দায়ী নন]
বাংলাদেশে জনপ্রিয় না হলেও আন্তর্জাতিক সোশাল মিডিয়াতে টুইটার খুব প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। জামাতে ইসলামি প্রোপাগান্ডাতে প্রো৭১দের থেকে সবসময়ই এগিয়ে থেকেছে। ফেসবুকে জামাতে ইসলামির বাঁশেরকেল্লা পেজ সম্ভবত সদস্যসংখ্যা বিচারে বাংলাদেশের সবচাইতে বড় রাজনৈতিক পেজ। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের টুইটার তৎপরতা বাংলাদেশ বিষয়ে প্রোপাকিস্তানি আন্তর্জাতিক প্রোপাগান্ডার ইতিহাসে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যুদ্ধাপ
গত পর্বে বলেছিলাম ব্যাটারি বাইক নিষিদ্ধকরণের কথা ও সরকারী নীতির দ্বিমুখীতা। আজকে জানাবো, সরকারের পক্ষ থেকেই আবার কি কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ব্যাটারি বাইক বা ইজি বাইকগুলোকে নানা সুবিধা দেয়ার জন্যে!
সরকার সেই ২০১৪ সালেই সিদ্ধান্ত নেয় ৬টি বিভাগীয় শহরে (ঢাকা বাদে) সোলার-পাওয়ার্ড চার্জিং স্টেশন স্থাপনের। এর পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিলো জাতীয় গ্রিডের উপর চাপ কমানো ও বিদ্যুৎ চুরি রোধ। সে সময় বলা হয়েছিলো, একটি পাইলট প্রকল্পের অধীনে ঢাকাকে বাদ রেখে বাকি বিভাগীয় শহরগুলোতে ছয়টি চার্জিং স্টেশন স্থাপনে খরচ পড়বে মোট সাড়ে দশ কোটি টাকা। ১২৫ কিলোওয়াটসম্পন্ন সোলার প্যানেলসহ প্রতিটি স্টেশন স্থাপনে খরচ দেড় কোটি টাকা (অতিরিক্ত দেড় কোটি কেন খরচ হবে, বোধগম্য নয়!)। প্রতিটি স্টেশন দিনে ১২০ সেট ব্যাটারি চার্জ করে দিতে পারবে (১২০ সেট ব্যাটারি মানে কি ৪৮০ বা ৬০০ টি ব্যাটারি? এখানে পরিষ্কার করে বলা ছিলো না, পরে বিপিডিবির ব্যাখাটি দেয়া হলো)।
একবারে চার্জের খরচ পড়বে ৫০ টাকা, সে দিক থেকে হিসেব করে বের করা হয়েছিলো, প্রতিদিনের আয় হবে ৬,০০০ টাকা, এক বছরের আয় ২২ লাখ টাকা। সে সময় একবার এক সেট ব্যাটারি চার্জ করতে মালিক বা অন্যান্যরা নিতো ৬০-৭০ টাকা।
গত পর্বে লিখেছিলাম ব্যাটারি বা ইজি বাইকের নিবন্ধণ বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। আজকে বলবো কেন, কিভাবে ও কারা এদের নিবন্ধন, উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ করেছিলো। একটা কথা আগেই বলে রাখি, ব্যাটারি বাইক কিন্তু এখনো নিষিদ্ধ একটি যান, আইনত!
২০১০ সালে ন্যাশনাল রোড সেফটি কাউন্সিলে ('জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল' হবে কি?) সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে ব্যাটারি বাইকগুলোকে আর নিবন্ধন করা হবে না। ইতোমধ্যে কিন্তু প্রচুর পরিমানে ইজিবাইক রাস্তায় নেমে গেছে এবং নিবন্ধন করে তারা বৈধতাও নিয়ে ফেলেছে। যাকগে, সে সময় (২০১০) এদের আমদানি নিষেধের প্রস্তাবনা দিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১০ সালের ২২শে নভেম্বর সকল বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেয়, সব জেলার রাস্তা ও মহাসড়ক(হাইওয়ে)গুলো থেকে ইজি বাইক চলাচল বন্ধ করতে।