প্রকৃতী বড় হেয়ালী আর খেয়ালী, এখানে ঘটে যায় কতো কিছু! কখনও বা সেটা আনন্দের, কখনও কষ্টের আবার কখনও বড়ই অদ্ভুত। প্রকৃতী আমাদের শুধু 'মানুষ' হয়েই চলতে শিখিয়েছে। তাই পাখির মতো উড়তে গেলে, মাছের মতো পানির নীচে চলতে গেলে আমাদের 'টেকনোলজি'র সহায়তা নিতে হয়। তো যাই হোক, ব্যাপার সেটা না। ব্যাপার হলো প্রকৃতীতে ক্যামোফ্লেজ করে পরিবেশের সাথে মিশে থাকার পাশাপাশি আরো একটা মজার ঘটনা আছে আর তা হলো ডিসগাইজ বা ছদ্মবেশ ধারণ। এন্ট মিমিকিং জাম্পিং স্পাইডার হলো এমনই একটি ছদ্মবেশী মাকড়শা যে দৃশ্যত পিপড়ার মতো বেশ ধারন করে তার শিকারকে বোকা বানায় এবং সেই সাথে নিজেও শিকার করে।
অভিজিৎ রায় হত্যার অভিযোগে অতি সম্প্রতি ফারাবী নামের এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ফারাবী প্রথমে আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে রাজিব হায়দার হত্যাকাণ্ডের সময়। তখন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনের মাধ্যমে ফারাবী মুক্তি পান। সেই মামলার সুরাহা এখনও হয়নি। জামিনে ছাড়া পাবার পর সংশ্লিষ্ট ধর্মান্ধ দলটির তৈরী করা তালিকার প্রথমে থাকা অভিজিৎ রায়কে নিয়ে ফারাবী নিয়মিত উস্কানীমূলক এবং প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেন ফেইসবুকে। অভিজিৎ হত্যার পর এজন্য প্রথমেই ফারাবীর নাম উচ্চারিত হতে থাকে।
ফারাবী গ্রেফতারের কাছাকাছি সময় জানা যায় আনসার বাংলা সেভেন নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে হত্যার প্রায়-দায় স্বীকার করা হয়েছে। তাছাড়া পরে আরো অন্যান্য গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা সর্ম্পকেও গুজব ছড়ায়।
একারনে কেউ কেউ প্রথমতঃ ধরে নেন এই হত্যাকাণ্ডে ফারাবীর সংশ্লিষ্টতা নেই এবং দ্বিতীয়তঃ প্রশ্ন তোলেন শুধুমাত্র ফেইসবুকের মন্তব্যের কারনে ফারাবীকে কি আদৌ গ্রেফতার করা বা শাস্তি দেয়া যায় কিনা। তাছাড়া অনেকে প্রশ্ন তোলেন অভিজিৎের লেখা ধর্মানুভূতিতে আঘাত করায় এক ধরণের সেটা বাক-সন্ত্রাসের পর্যায়ে পড়ে। আমার এই লেখার সুত্রপাত বাক-স্বাধীনতা সংক্রান্ত আইনগুলো এবং যুক্তির আলোকে বাক-স্বাধীনতা এবং বাক-সন্ত্রাস বিষয়দুটো আলোচনা করা।
দেশে কবি বেশী না কাক, এই গুরুতর প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে জানা আছে কিভাবে কবি হওয়া যায়, বিশেষ করে কিভাবে আধুনিক কবিতা লিখা যায়। এসো নিজে করির প্রথম লেখাই ছিল কিভাবে লেখালেখি করবেন। সেটার আবার বড় অংশ জুড়েই ছিল 'কিভাবে কবিতা লিখবেন'। সেখানে এনালগ ও ডিজিটাল উপায়ে কবিতা লেখার উপায় নিয়ে বেশ খানিক আলোচনা করেছিলাম। সফটওয়্যার দিয়ে কাব্য রচনার পদ্ধতি হাতে কলমে করে দেখিয়েছিলাম।প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন পরে এসে
ধানের রসের গল্প পৃথিবীর—পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রূপ, বিশুষ্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না; কলরব করে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তীব্রতায়।
— জীবনানন্দ দাশ, সিন্ধুসারস (মহাপৃথিবী)
আমার গল্প চার, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ি। মোটামুটি স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে বেড়ে উঠছি, এটাই মনে হতো তখন। সারাদিন খেলাধূলো, নতুন নতুন বন্ধু... জীবন অনেক পূর্ণ ছিল।
সময়ের নিয়মেই সময় বয়ে চলে, সেই বয়ে চলাতে ভবিষৎ একসময় বর্তমানে এসে পৌছে আর বর্তমান একদিন অতীত হয়ে স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকে। সেই ফেলে আসা অতীতের ভুল-চুক যেমন আমাদেরকে আগামী দিনের পথ চলাতে আরো সাবধান করে, তেমনি অতীতের অর্জন ভবিষ্যতের অজানা পথে সাহসের প্রদীপ জ্বেলে রাখে। ২০১৪র সেই অর্জনের গল্প, আনন্দ-বেদনার গল্প কিংবা ভুল-চুকের গল্প প্রিয় সচলাতায়নে প্রতিটি দিন উঠে এসেছে অসংখ্য সচল-হাচল আর অতিথিদের হাত ধরে
কেন যেন মনে হচ্ছে এই নামে অন্য একটা লেখা আমি আগেই পড়েছি, তাই অবচেতনে শিরোনামটা রয়ে গেছে। যদি তাই হয়, তাহলে একই নামে আবার লেখার দায়ভার আমি নিচ্ছি, কিন্তু বিষয়টা ইচ্ছাকৃত না। নিজের মায়ের মৃত্যুটা খুব কাছে থেকে দেখার পর ক্যান্সারের প্রতি এই অদ্ভুত ভীতিটা বেড়ে গেছে আরও কয়েক গুণ। কিছুদিন আগে একটা লেখা পড়ছিলাম, একজন ক্যান্সার রোগীর লেখা। লেখাটার সারমর্ম হল এই যে, “যখন আমার মৃত্যু হবে আমার সন্তানদের খুব সহজ ভাষায় বলবে যে আমার মৃত্যু হয়েছে, খুব দুঃখ প্রকাশের দরকার নেই, শুধু আমার কিছু ভাল কথা তাদের বল, আর বল যে আমার যদি ক্ষমতা থাকত আমি কখনো আমার সন্তানদের ছেড়ে যেতাম না। অতএব ওদেরকে কখনো বলবে না যে আমি পৃথিবী ছেড়ে আরো ভাল একটা জায়গায় চলে গিয়েছি। শুধু বল যে আমি বেঁচে ছিলাম, এখন আমার মৃত্যু হয়েছে!” “When I die someday just tell the truth: I lived, I died. The end!”
ছোটোবেলা থেকে শুনে বড় হয়েছি, যে দেশে গুণীর কদর নেই সেই দেশে নাকি গুণী জন্মায় না। কথাটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষজনের কার্যকলাপে বিশ্বাসটুকু ধরে রাখা দুষ্কর। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে ৩০ লক্ষ প্রাণ বিসর্জনে আমাদের যত না ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে হয়তো বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৯৭১-এর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবসে। নয়তো শিক্ষিত, সুশীল, বুদ্ধিজীবি, ইত্যাদি নামধারী কিছু ফাঁকিবাজ ও মেরুদণ্ডহীন মানুষের দৌরাত্ম্য থেকে বেঁচে যেতাম আমরা। এই বিরক্তি এবং বিবমীষার প্রেক্ষাপট হলো বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সমর্থনে প্রায় ৫০ জন বুদ্ধিজীবির যৌথ বিবৃতি।
এই লেখাটি মূলত: সুন্দরবনের তেল নি:সরণ নিয়ে আমার এক তরুণ রিমোট সেনসিং গবেষক বন্ধুর সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে প্রায় নিস্ফল ধাক্কাধাক্কির বর্ণনা। আমরা দেখতে চাই যারা আমাদের চেয়ে ভাল মানের স্যাটেলাইট ডেটা নিয়ে কাজ করেন তাদের এ ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলা যায় কিনা।