কিছু দিন আগে (গত ১০ অক্টোবর) ছিল জগজিত সিং-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল তাঁর চলে যাবার।
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি খুব সম্ভবত তার শোক সামলে ওঠার ক্ষমতাটা।
যত বড় শোক আসুক না কেন--- কালে কালে আমরা ঠিকই সেরে উঠি। আমাদের মাঝে যারা ভাগ্যবান তারা হয়ত ভুলেও যাই।
আমি খুব ভাগ্যবান কেউ নই। কিছু কিছু জিনিস আমার কিছুতেই ভোলা হয় না। কিছু কিছু ক্ষত আমার কিছুতেই সারে না।
আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি তাদের মন সাধারনতঃ যেকোন উৎসব পার্বণে খুব খারাপ থাকে। প্রিয়জনদের সব সময়েই মিস করি। কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিন গুলো যেমন, পহেলা বৈশাখে, পৌষ সংক্রান্তিতে, ঈদে-পুজোয়-পার্বণে--মনটা অতিরিক্ত খারাপ হয়। আমি দেশের বাইরে ঈদ করছি আজ এগারো বছর হয় প্রায়। মাঝ খানে একবার দেশে গিয়েছিলাম এবং ভাগ্যের ফেরে একটা ঈদ পেয়েও গিয়েছিলাম। বহুদিন পর আমি ছোটবেলার মতন খুশি হয়েছিলাম সেদিন। ঐ একটি উজ্জ্বল
চট্টগ্রামের বিখ্যাত কবিয়াল রমেশ শীলের কথা অনেকেই হয়ত জানেন। আঠেরোশ শতকে জন্ম নেয়া এই স্বভাব-কবি অজস্র গানের জন্ম দিয়েছেন। মাইজভান্ডারির গান তার হাত ধরে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। শুধু কি তাই? তদানিন্তন সমাজ-ব্যবস্থা, গ্রাম-বাংলার রূপ-বৈচিত্র্য, অর্থনৈতিক সঙ্কট হতে শুরু করে স্বদেশী আন্দোলন, আমাদের ভাষা আন্দোলন সবকিছুই তার কাব্যে গানে স্থান পেয়েছিল।