সোনালী ঝর্ণা থেকে রবিন যখন আলোর সংকেত দিচ্ছে ঠিক তক্ষুণি কলিং বেল বেজে উঠলো। বই বন্ধ করে চাবি হাতে নিচে গিয়ে দেখি আব্বু এসেছেন। ঘরে ঢুকে আব্বু হাতে নীল পলিথিন এর ব্যাগটা হাতে দিয়ে বললেন গামছাটা নিয়ে আসো তো বাপ। ব্যাগের বাইরে থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে ভেতরে কমলা। আব্বুর হাতেও আর কিছু নাই। আব্বু কি ভুলে গেছেন?
দেশ থেকে ফেরত আসার একদিন পরেই মাঝরাতে বরের সাথে ঝগড়া হয়ে গেলো। ভুক্তভোগী মাত্রই জিজ্ঞাসা করবেন না কেন। ১৮-১৯ দিন বাবা-মা আত্নীয়স্বজনের সামনে আদর্শ দম্পতির মূর্ত প্রতীক হিসেবে অভিনয় করার পর এইটা অপ্রতিরোধ্য কন্সিকোয়েন্স। এতো দীর্ঘ সময় ঝগড়া না করে থাকা দাম্পত্যজীবনের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। আসল প্রশ্ন হল মাঝরাতে কেন?
বৃষ্টি পড়তে পড়তে পড়তে পড়তে বিলের পানি বাড়ির পেছনের টিন ছুঁয়েছে। বৃষ্টির অবিরত ফোঁটায় বাঁকা টিনের গায়ে নাচছে পানি। আমার পাঁচ বছর বয়সী বুবু খুব হিসাবনিকাশ করে অ্যালুমিনিয়ামের খেলনা হাড়িপাতিলগুলো ছুঁড়ে মারছে পানিতে। দুলতে দুলতে হাড়িগুলো সারি বেঁধে চলে যাচ্ছে অজানার দিকে। আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে একবার বুবুকে দেখছি একবার খেলনা গুলোকে।
আমার খুব কাছের বন্ধুদের মিস করছি কয়েকদিন ধরে। কারো সাথেই আমার এখনকার পার্থিব দূরুত্ব হাজার কিলোমিটারের কম না। লেখাটা তাদের জন্য। আজকাল চিঠি লেখার চল উঠেই গেছে। তবু আমার মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে ইচ্ছা হয়। সেই ইচ্ছাটাও একটা অনুঘটক।
কল্যাণীয়াসু,
[justify]ঠিক দুপুর দুটো সতেরো মিনিটে অফিস জুতোর ভেতরে পায়ের আঙ্গুল গুলো আচমকা নেচে উঠলো। মাথা ঘুরিয়ে চারপাশ পরীক্ষা করতে করতে আবার কন্ট্রোল+এফ৫ চেপে কম্পাইল করতে দিলাম। বড় বস দেখি খুব মন দিয়ে অবিশ্বাস্য গতিতে একটার পর একটা কলা খেয়ে যাচ্ছে। ছোটবস খুবই আন্তরিকতার সাথে আরেক টিমমেট কে রিটেইল বিজনেস লজিক বুঝাচ্ছে। পৃথিবীতে একমাত্র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারদেরই মনে হয় আদার বেপারী হয়েও জাহাজের খবর রাখত