এই লেখাটি লিখতে গিয়ে কঠিন যন্ত্রণায় ভুগলাম কয়েকদিন। যেহেতু বিষয়টা দরকারী হলেও বেশ কাঠ খোট্টা, তাই একবার লিখলাম গল্পের ছলে, নিজের কাছেই ভালো লাগেনি, মুছে দিয়ে আবার সিরিয়াস টোনে লিখলাম টমাস আলভা এডিসনের উদ্ধৃতি দিয়ে- এটাও দুই এক প্যারা পরেই কেমন যেন বিস্বাদ লাগতে লাগল। অলেখক বা কুলেখকের রাইটার্স ব্লকেজ কথাটা বড়ই হাস্যকর শোনায়, তাই কাদায় গেড়ে যাওয়া মহিষের গাড়ির চাক্কা ঘোড়াতে প্র...
এক
গতকাল ছিলো জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে সঙ্গীতানুষ্ঠান। মুক্তিযোদ্ধা এস এম খালেদ-এর চিকিৎসার্থে অর্থ সংগ্রহের অনেক উদ্যোগের একটি হিসেবে। জাদুঘরের সামনে যেতেই বাহিরে লোহার দেয়ালে ছোট পোস্টার দেখতে পাই। "যিনি লড়েছেন দেশের জন্য আমরা লড়ছি তাঁর জন্য।"
জানতাম ভেতরে ঢুকলেই অনেক ব্লগারের সাথে প্রথমবারের মতো দেখা হবে। এই অভিজ্ঞতার একটা আলাদা আবেদন আছে। তাই একটু সময় নিয়েই, সবাইকে...
এক
প্রচন্ড গরম। যাকেই এ কথা বলি সেই খ্যা-খ্যা করে হাসে। বলে, "মামা, আর কদ্দিন আগে আইলে গরম কী ও কতো প্রকার বুঝতা!" আমার বোঝার তেমন আগ্রহ হয় না। এমনিতেই বাইরে গেলে জামা ঘামে ভিজে শরীরে লেপ্টে থাকে; শরীর চিটচিটে হয়ে আসে।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা এসেছিলাম। এই দেড় বছরে ঢাকার চকচকে ভাবটা কেমন যেনো মলিন হয়ে গেছে বলে মনে হয়। রাস্তা-ঘাট ভাঙা। দেয়াল ভর্তি আজে বাজে বিজ্ঞাপন। হাঁটা রাস্তা...
বাংলাদেশে কোনো বিকল্প শক্তির সৌরবিদ্যুতের মত সম্ভাবনা তাত্বিকভাবে অন্তত নেই। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ২৫০-৩০০ দিন সূর্যালোক আসে, বর্ষার তিনমাস বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সূর্যালোক যথেষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রখর। প্রতিদিনে গড়ে ৫ কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটার জমিতে আছড়ে পড়ে।(সূত্র) ভূপতিত এই সৌরশক্তির মাত্র ০.০৭% বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই বা...
গতকাল ফোনে মেয়ে বলছিল, "বাংলাদেশটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে। খুব ময়লা। ক্লিন করতে হবে।"
(এটি দ্রোহী-টাইপের মাইক্রো ব্লগ।)
চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়ানোর সেই রাত্রে বাবা শহর হতে ফিরলেন । ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। ঢেউগুলো বার-বার এসে আছড়ে পড়ছিলো রান্নাঘরের পেছনের নারিকেল গাছগুলোর গোড়ায় ।
রান্নাঘরে খেতে বসে বাবা বললেন দু-একদিনের মধ্যে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে যাবেন। পরদিন থেকেই টের পেলাম আসলেই আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
বাই...
প্রকাণ্ড চর- ধূ ধূ করছে- কোথাও শেষ দেখা যায় না-...। হঠাৎ পশ্চিমে মুখ ফেরাবামাত্র দেখা যায় স্রোতোহীন ছোটো নদীর কোল, ও পারে উঁচু পাড়, গাছপালা, কুটির, সন্ধ্যাসূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো।
================================
বাঙালি যা চিরকাল দেখে এসেছে তাই দিয়ে শুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বইখানি! রবীন্দ্রনাথ তখন বন্দোরা সমুদ্রের তীরে : “ভারি বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে...
পাতা নং-০৬
ধর্ম পুড়তে পুড়তে বেগুনি হয়ে যাচ্ছ যাচ্ছেতাই, আর মরে যাওয়া সিগন্যালের মত এক বিষন্ন বিস্তারিত আতাগাছের তলায় পুলিশেরা টাকা কেড়ে নিয়ে ডাইলের বোতল দেয়। সবাই খুশি তাই নদী হয় কেউ, রাত বাড়লে ঢেউ।
পাতা নং-৫৮
আমি পায়ে টের পাচ্ছি অদৃশ্য ঘুঙুরের, আমার মুখময় রঙ। আমার যেন আতাগাছ হওয়ার কথা ছিল আজ রাতে। যেভাবে পানি সামান্য আলোয় চিকচিক করে ওঠে অপর...
একদেশে এক রাজা ছিল। তার ধারণা ছিল তিনি খুব সুখি। সেইমত প্রচার করতেন। প্রচুর মানুষ সুখ দেখতে আসত, দূর দূরান্ত থেকে। কড়া প্রহরায় সুখ তারা হাতে তুলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখত। তারপর সময় শেষ হলে বেল বেজে উঠত। সুখ তাদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কাঁচের বোয়ামে ঢুকিয়ে ফেলত রাজ কর্মচারীরা। বর্ডার গার্ডরা ছিল খুব কড়া, সুখ কিছুতেই দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হত ন...