অণুগল্প বা ফ্ল্যাশ-ফিকশন অধুনা সাহিত্যের জনপ্রিয় শাখা হয়ে উঠছে। গত বেশ ক'বছর ধরে ব্রিটেনে ন্যাশনাল ফ্ল্যাশ-ফিকশন ডে উদযাপিত হয়। অণুগল্পে বেঁধে দেওয়া কোন আকার না থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন এটি ১০০ শব্দের মধ্যে শেষ হওয়া চাই, আবার কেউ হাজার শব্দের নীচে যে কোন গল্প কে অণুগল্প বলে মনে করেন।
কাচের জানালার পাশে উদ্বিগ্নমুখে দাঁড়িয়ে আছেন ডা আশরাফ। কিছুক্ষণ আগেই জ্ঞান ফিরে এসেছে বিশিষ্ট শিল্পপতি মাহমুদুর রহমানের। চুপচাপ শুয়ে থেকে চোখ পিটপিট করছেন তিনি।
ভেতরে ভেতরে আনন্দে ফেটে পড়ছেন ডা আশরাফ। কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক মাহমুদুর রহমান আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে বিশাল অংকের টাকা পুরস্কার দেবেন।
‘স্যার, ওনার জ্ঞান ফিরেছে।’ নার্স এসে জানাল,‘চাইলেই এখন কথা বলা যায়।’
‘হ্যালো, জিমি ভাই লেখাগুলো মেইল করেছিলাম, পেয়েছিলেন?’
‘হ্যাঁ নিলয়, কী অবস্থা আপনার? কালকেই চাইলাম আর আজকেই পাঁচটা গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলেন?’
‘হ্যাঁ, এই তো লেখা হয়ে গেল।’
‘এত তাড়াতাড়ি কীভাবে লেখেন আপনি বুঝি না। কারো কাছ থেকে কপি-টপি করেন নি তো?’
‘আরে না, কার লেখা থেকে কপি করব আর?’
‘আমার কিন্তু ডাউট হচ্ছে বুঝলেন, সত্যি কথা বলেন মিয়া- কেসটা কী?’
‘বলব? ইয়ে...কাউকে বলবেন না তো?’