হালুম হুলুম হালুম হুলুম
ঐ এলো রে মামা
পরেছে সে কালোর সাথে
হলদে ডোরার জামা।
শুরুতেই সাইক্লোন সিডর (২০০৭) ও সাইক্লোন নার্গিসের (২০০৮) মাত্রা ও ক্ষয়ক্ষতির তুলুনামূলক চিত্রটিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিন পাঠক।
কোনও এ্যাকাডেমিক কথাবার্তা নয়, নয় কোনও বিশেষজ্ঞ মতামত। তবে বাংলাদেশে দুটো সাইক্লোন রেসপন্স করেছি- কিছু ধারনা পেয়েছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যাতে আপনারা এগুলো উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত আপনাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং পরিচিত মহলে জানাতে পারেন। একটুখানি সতর্কতা কিন্তু অনেক জীবন বাঁচাতে পারে এবং সম্পদও রক্ষা করতে পারে।
চুষবে তুমি রক্তচোষা-
রক্ত তুমি চুষবে সস্তা দামে?
ঠোট-জিহ্বা, গালের কশা
টকটকে লাল রক্ত এবং ঘামে।
যদি তুমি বড়োসড় আকারে মিথ্যা বলতে পারো এবং সেটা চালিয়ে যেতে পারো, শেষে এসে জনতা তোমার কথা বিশ্বাস করতে শুরু করবে।
একদিনের জার্মান চ্যাঞ্চেলর এবং হিটলারের প্রচারমন্ত্রী পল জোসেফ গোয়েবলসের বলা এই কথাটি আজ অবধি সত্যি হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক গণজাগরন নিয়ে আমাদের সাইবার প্রচারজগতে গোয়েবলসের কথার সত্যতা চোখে পড়ার মত।
প্রাচীনকালে নাকি আঙ্গুলে ব্যাথা হলে গোটা হাতই কেটে ফেলা হতো। আর এই সেদিনও একটা দুষ্টু লিঙ্কের জন্য গোটা ফেসবুক ব্লক করা হতো। সম্প্রতি ইউটিউবের জন্যে একই ধরণের চিকিতসা নেওয়া হয়েছে। তবে আজকে একটা খবর পড়ে একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। সরকার এখন গোটা হাত না কেটে গ্যাংগ্রীন আক্রান্ত আঙ্গুল্টাই কাটতে পারছে। এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে এটা করাই সমিচীন। ইন্টারনেট অতি সামান্য কিছু মানুষের কাছে দুষ্টুমির উপকরণ হলেও এর ব্যবহার গোটা বিশ্বের কাছে যোগাযোগের এবং তথ্যপ্রবাহের দিগন্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অকল্যাণকর বা দুষ্টুমিতে এর এক ট্রিলিয়ন ভাগের এক ভাগও বোধকরি ব্যবহার হয়না।
তুমি হেঁটে গেছো রক্ত চাদরে মোড়া
রাজপথ ধরে। আর বেশি নেই যেতে।
টগবগ করে ছুটেছে কালের ঘোড়া,
অবিরাম ছোটা, কিসের হদিস পেতে?