বাঙালির ধর্মচর্চা যতটা না উপাসনালয় কেন্দ্রীক, তার থেকে অনেক বেশি তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক। যখন কলেজে পড়তাম, সেই ১৯৯৯ - ২০০০ সনের ঘটনা, তখন ইমেইল পেতাম বার্তা সহ। ঐ ইমেইল ফরোয়ার্ড না করলে গজব আসবে, ধ্বংস হয়ে যেতে হবে ইত্যাদি। এর পর মোবাইল ফোন জনপ্রিয় হবার পর একই ধরনের বার্তা আসতে লাগলো এস.এম.এস এর মাধ্যমে। আর এখন স্যোসাল নেটওয়ার্কিং এর যুগে প্রতিদিন সকালে ফেইসবুক খুলে বসলে ওয়ালে ওয়ালে ছড়িয়ে থাকে শত শত বার্তা। যারা ছড়াচ্ছে, তারা জানারও চেষ্টা করছে না যে সত্য ছড়াচ্ছে নাকি মিথ্যা। তার উপর এক শ্রেনীর স্বল্প শিক্ষিত মোল্লা তার অজ্ঞতাকে তথাকথিত শিক্ষিত হবার মোড়কে ঢেকে সাধারণ মানুষদের করছে আরো বিভ্রান্ত। তারই রেশ ধরে আমরা জানতে পারি এপ্রিল ফুলের ইতিহাসের মুসলিম সংস্করণ। মিথ্যে এবং বানোয়াট গল্প দিয়ে গড়া এই ইতিহাস।