১।
শুভ জন্মদিন, প্রিয় সচলায়তন। শুভ জন্মদিন, সচল-হাচল-পাঠক!
২।
মাত্রাবৃত্ত-অক্ষরবৃত্ত-স্বরবৃত্ত ইত্যাদিকে কেতাবের বৃত্তে বন্দী রাখুন।
৩।
সুপ্রাচীন (মধ্যযুগীয়) পুঁথির সুরে পড়ুন। যুগের হাওয়া বলে কথা!
সচল-রসিক পাঠক সমীপেষু,
সম্বোধনের বহর দেখে ঘাবড়ে যাননি আশা করি! যুৎসই শব্দের অভাবে সেই পুরনো দিনে ব্যাকরণ বই-তে পড়া একখানা শব্দ আমদানি করে নিয়ে এলাম- নতুন যুগের মানুষেরা কীভাবে শুরু সেটা জানলেও হত, তাও তো জানি না দেখা যাচ্ছে! দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে- আমরা কিছু দুর্ভাগা পিছিয়ে পড়ছি- কী আর করার!
ওহে সচলায়তন, আমার বদ্ধ ঘরে তুমিই আমার একমাত্র বাতায়ন যেখান থেকে আমি আকাশের জোছনা ছুঁতে পারি। পারি ভোরের স্নিগ্ধ শীতল বাতাশ শরীরে মেখে মনপ্রাণ জুড়িয়ে নিতে।
বদ্ধ ঘরে যখন দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় তখন বাতায়নপাশে প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে যন্ত্রনাটা লাঘব করতে পারি। যখন অন্তরমাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়, তখন পারি সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে মনটাকে হালকা করে নিতে।
[১]
নির্বাক ছবির সাথে সবাক ছবির দেখা হইলে এই-ই ঘটে। গদার বলছে। তখন তার মুখ বরাবর মাত্র একটা ক্রিম-পাই ছুঁড়ে মারছে নোয়েল গডিন (ইংরেজি ধারায় উচ্চারণ করলে)। ৮৫ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে।
( ভূমিকার আগেঃ এই পোষ্টকে যদি কেউ মাতব্বরী পোষ্ট বলে দোষারোপ করতে চান, করতে পারেন। পাকনামী বলে গালমন্দ করতে চান, তাও করতে পারেন। আবুল মকসুদের মতো জাবরকাটা পোষ্ট বলবেন? ঠিক আছে। তবে এসকল অর্ধসত্য মাত্র। আসল সত্য হলো এটি দেখিয়া শুনিয়া ক্ষ্যাপিয়া গিয়া পোষ্ট। কার পোষ্ট? একজন সাধারন, অতিসাধারন সচলের। যে মডারেটর না, যে নীতিনির্ধারক না-কেবলই সচলায়তনের একজন সচল। হ্যাঁ-সচলায়তন শুরুর ...
না, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের তর্জনী নয়, কোনো যুক্তি-তর্ক-রেফারেন্স-বিতর্ক নয়। আমি বেকুব ধরনের আবেগপ্রবণ মানুষ। আর সেই বেকুবি আবেগ থেকেই আমি একটি কথা সকলকে বলতে এসেছি: আমি সচলায়তন থেকে চলে যাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে সকলের কাছে একটি অনুরোধ: দয়া করে কেউ আমাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাবেন না।
সিদ্ধান্তটা আমার জন্য সহজ ছিলো না। কিন্তু গত বেশ কিছুদিনের অস্থিরতা আর কয়েক রাতে...
নিচের কথোপকথনে 'ক' লেখক নিজেই এবং 'অ' অদৃশ্য অন্ধকার।
ক : চিনলাম না, আপনার পরিচয়টা ?
অ: আমি অদৃশ্য অন্ধকার, তোমাকে আমি চিনি না, তাই বলে কি তোমার বন্ধু হতে পারবো না?
অ: আমার কথা একটু বলি, আমি শিক্ষিত চাকুরিজীবী মেয়ে, কবিতা ভালবাসি, এক-আধটুকু কবিতা লিখতে চেষ্টা করি, আকাশ দেখতে ভাল লাগে, আজ পূর্ণিমা রাত- মিরপুরে আমিই হয়তো হব আজ সারারাত চাঁদের সাথী,ভালো লাগে পাহাড়ের নীরবতা আর খালি পায়ে ...
[justify]মানসিক প্রস্তুতি ছিল "নিয়মিত লেখা আর ব্লগের লেখা" নামে আমার প্রাগৌতিহাসিক একটা খেলাপি সিরিজকে শ্মশাণ থেকে টেনে তুলবার। পরে মনে হলো আরো কিছু কথা বিশেষ করে সচলায়তন নিয়ে কিছু কথা বলতে পারলে ভালো হয়, মানে আমার ভালো লাগে আর কি। ব্লগের একটা খুব বড়ো সুবিধা হচ্ছে কেন লিখছি কার জন্য লিখছি'র বিবেচনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফটাশ করে ইচ্ছে মতন কোন কথা নামিয়ে ফেলা যায়। কোন প্লাটফর্মে লিখছি ...
[ নিচের লেখায় অনেক সাহিত্য-আইন লঙ্ঘন হতে পারে, বানান ভুল হতে পারে, দাঁড়ি-কমার ভুল থাকতে পারে, সাধু-চলিতের মিশ্রন থাকতে পারে। আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম। ]
অনেক ভয় আর শঙ্কা নিয়ে লিখতে বসেছি। গত কয়েকদিন ‘অতিথি লেখক’দের নিয়ে যে কাঁটাছেড়া চলছে, ভয়ই লাগে যদি আনাড়ীলেখক,জামান সাহেব বা দলছুট এর সাথে আমার নামটাও জড়িয়ে যায়। তবে আমার ‘পরিবর্তনশীল’ বন্ধু মহিবকে বলে রেখেছি...দেখ্ ভাই, লেখা যদি...
আমি সেই ভাগ্যবানদের দলে নই যারা জীবনের যে কোন কিছু ঘটনাকে, কথামালার রঙ দিয়ে যে কোন গল্প বা কবিতা লিখে ফেলতে পারেন। তাই আমাকে লেখার জন্য ভরসা করতে হয় বিভিন্ন বইয়ের পড়াশুনালব্ধ জ্ঞান থেকে। আর সংসারী হয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার কাজে লিপ্ত থেকে, বাড়তি পড়াশুনা বা লেখার জন্য সময় বের করা হয়ে উঠে একটি দুরহ ব্যাপার। তারপরেও লেখালেখির প্রতি ভালবাসা এবং অজানাকে জানার চেষ্টা থেকে জোর ...