[justify]
আমার ডিপ ফ্রিজ নাই। ভোনহাইমে একটা ছোট রেফ্রিজারেটর আছে, সেটা আমি আর আমার ফ্ল্যাটমেট সৈয়দ ব্যবহার করি। ডিপ ফ্রিজ নাই বলে আমাকে প্রায়ই দিন আনি দিন খাই বেসিসে দিন গুজরান করতে হয়। বড় মাছ খেতে হলে কয়েকজন মিলে ঝটিকা দাওয়াতের ব্যবস্থা করি, মাংস খেতে চাইলেও তাই। আমি অত্যন্ত অসামাজিক বলে দেশে প্রায় সবরকম নিমন্ত্রণ এড়িয়ে চলতাম, প্রবাসে এসে নিমন্ত্রণের গন্ধ পাওয়া মাত্রই উড়ে চলে যাই। ...
[justify]কয়েক মাস ধরেই জগৎসংসারকে একটা খটকা নিয়ে দেখছিলাম। ক্ষণে ক্ষণেই মনে ঘাই দিয়ে উঠতো সেই সংশয়াকূল প্রশ্ন, পৃথিবীটা এমন কেনু কেনু কেনু?
একদিন বাস থেকে নেমে ট্রাম ধরতে গিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর মিললো। মাউয়ারষ্ট্রাসে থেকে বাঁয়ে ঘুরে কোয়নিগ্সপ্লাৎসের দিকে এগোচ্ছি, সোঁ সোঁ করে একটা ট্রাম এসে হাজির। দূর থেকে নাম্বারটা পড়ার চেষ্টা করতে গিয়েই বুঝলাম, চশমার পাওয়ার আর চোখের পাওয়ারে য...
[justify]১.
আমি ভোজনরসিক নই। খাওয়াকে আমার একটা রুটিন ঝামেলা বলেই মনে হয়। তারিয়ে তারিয়ে, রসিয়ে রসিয়ে, উপভোগ করে খাওয়ার ব্যাপারটা আমি রপ্ত করতে পারিনি। নেহায়েত হাগতে হবে বলেই খাই।
কিন্তু তারপরও দেখলাম, আমি আসলে ভোজনবেরসিকও নই। যেমন, একটা কিছু হলেই আমার চলে না। খেতে বসে এটা দেখি, সেটা নাড়ি, ওটা শুঁকি। যা খুশি তাই আমাকে খেতে দিয়ে হাগতে বলা হলে, আমি আপত্তি জানাবো। নো স্যার!
খেতে বসে নানা খ...
[justify]
১.
বহুদিন ধরে লিখি না আমার প্রবাসজীবনের এই একঘেয়ে অণূপাখ্যান [অণু + উপাখ্যান]। লেখার মতো অনেক কিছু ঘটলেও হয়তো সেগুলো সব লেখার মতো নয়, কিংবা খুব দৌড়ের উপর ছিলাম, কিংবা ভেবেছি, লিখে কী হবে। সবকিছুই শেষ পর্যন্ত জলের ওপর দাগ কাটার মতো অর্থহীন, একটা অন্তহীন রসিকতার মাঝপর্যায়ে থাকা, যার পাঞ্চ লাইন মাঝে মাঝে বেল্টের নিচে হিট করে জানান দেয়, সে আছে আশেপাশেই।
২.
আমার ফ্ল্যাটমেট পাঠান স...
[justify]১.
ইয়োরোপের মূল ভূখন্ডে সচলদের উপস্থিতি সরব নেদারল্যান্ডস আর জার্মানিতেই। বহু দূরে ইউক্রেইনে থাকেন সন্ন্যাসী। ঘুরে ঘুরে এর আগে কাসেলের সচলরা দেখা করে এসেছেন জার্মানির কয়েকজন সচলের সাথে, তাই মে মাসে কয়কেনহোফের টিউলিপ মেলাকে কেন্দ্র করে সীমান্তের ওপারে তানবীরা তালুকদারের কাছ থেকে একরকম জবরদস্তি নিমন্ত্রণ আদায় করেই ছাড়া হলো।
জার্মানির ভেতরে, আগেই বলেছি, ট্রেনযাত্রার ব...
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটিকেট দিয়ে বিনাপয়সায় একটা বড়সড় জায়গা জুড়ে চলাফেরা করা যায়। সাম্প্রতিক সেমেস্টারে সেই জায়গার সীমা আরেকটু বেড়েছে। উত্তরে পাডারবর্ন শহর পর্যন্ত ট্রেনে এখন এই টিকেট দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারবো।
পাডারবর্নে আগেও গিয়েছি, শহরটা ঘুরেও দেখেছি, তবে ততক্ষণে আলো কমে এসেছিলো। এবার ঠিক করলাম, ক্যামেরা নিয়ে শুধু ছবি তোলার জন্যেই চক্কর দেবো ওখানে। ইরিনাকে জিজ্ঞেস করত...
রেড মীট খেলে নাকি মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। গরু, ভেড়া, খাসির মাংস তাই বিষবৎ পরিত্যাজ্য।
এ বিষয়ে বিশদ তথ্য পাই হের চৌধুরীর কাছ থেকে। পেঁয়াজ কাটতে কাটতে। চৌধুরী কথাগুলি বলেন সদ্য কেনা গরুর গোস্ত সাইজ করতে করতে।
পাতিলে তেল গরম করে কাটা পেঁয়াজ বসিয়ে চৌধুরী মাংসকে আদা-রসুন-পেঁয়াজ-মরিচের পেস্ট আর দই দিয়ে মাখাতে মাখাতে আবার রেড মীটের গল্প শুরু করেন। কোথায় এক গবেষণায় নাকি দেখা গে...
প্রচন্ড, বর্ণণাতীত অস্থির ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে। হাতে পড়ে ধূলো খাচ্ছে অসমাপ্ত কাজের তালিকা লেখা চিরকুট, তার সবক'টি বামের চারকোনা বাক্সগুলোতে ক্রস পড়তে হবে এ বছরের মধ্যে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে হতাশ করে চলছি মানুষকে, নিজের ওপর নিজের রাগ বাড়ছে। ইদানীং ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ একটা ইস্যু হয়ে যাচ্ছে ।
তারপরও একটি কাজ করবো আগামীকাল, ১৬ই ডিসেম্বর। আমার ফ্ল্যাটমেট, পাকিস্তানের নাগরিক, বেলু...
কাজের লোড ঘাড়ে চাপতে পেরেছে আমারই ফাঁকিবাজির কারণে। মাঝখানে কিছুদিন ঢিল দেবার কারণে একটু একটু করে কাজের স্তুপ জমছে মাথার ওপর, সেদিকে আড়চোখে তাকিয়ে আবার অকাজে তনোমনোধনোনিবেশ করেছি। শেষমেশ ব্যাপারটা দাঁড়ালো খাটো কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমানোর মতো, মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যায়, আর পা ঢাকতে গেলে মাথা। সমাধান হচ্ছে কুন্ডলী পাকিয়ে শোয়া, তাই অবদমিত কাজের চাপে আমিও কুন্ডলী পাকিয়ে ছিলাম ...
১.
কী যে অসম্ভব উদ্বিগ্ন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে গেলো ক'টা হপ্তা! আক্ষরিক অর্থেই নাওয়াখাওয়া ভুলে কাজে ডুবে ছিলাম, হাওয়াখাওয়া তো দূরের কথা।
ক্যালেন্ডারে কাজের ডেডলাইন টুকতে টুকতে খেয়াল হলো, এক বিশাল ইয়েমারার সামনে আমি জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে। লিডল থেকে প্রচুর খাবারদাবার কিনে এনে ফ্রিজ বোঝাই করে বসলাম কাজে। তারপর ডুব।
এরপর দাড়ি কামানো হয় না, গোসল করা হয় না। কাজ-খাওয়া-হাগা-ঘুম-কাজ। অ্...