[justify]আমার ভাষাপ্রীতির ইতিহাস নিয়ে অযথা প্যাঁচাবো না ভেবেছিলাম, কিন্তু একটু বলতে হচ্ছেই। মাতৃভাষা বাদে অন্য ভাষার প্রতি আমার একটা সহজাত টান সবসময় কাজ করে। ইংরেজি ভাষাটা লেখাপড়ার মধ্যে এত বিশ্রীভাবে গুঁজে দেয়া যে টিনটিন না থাকলে হয়তো আমি ভাষাটার প্রতি একটা বিতৃষ্ণা আরো দীর্ঘদিন অনুভব করতাম। বিটিভির চমৎকার সব সিরিয়াল আর বৃহস্পতিবারের মুভি অব দ্য উইকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ক...
[justify]
জার্মানির বাড়িঘরগুলি কমবেশি একই রকম। টালির ছাদ, চারতালা বা পাঁচতালা বাড়ি, বেসমেন্টে কাপড় ধোয়াশুকানোর জায়গা। ছাত্রাবাসগুলিতে গড়ে বর্গমিটার পিছু সবশুদ্ধু ভাড়া পড়ে তেরো ইউরোর কিছু বেশি।
পরে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন খুঁটিয়ে দেখলাম। কয়েকজন মিলে একসাথে বাস করার ব্যাপারটা এখানে ভেগে (ভোওনগেমাইনশাফট) নামে পরিচিত। কোন অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিলে আগে থেকে জানিয়ে দিতে হয় যে ভেগে হি...
[justify]
কাসেলে এখন হের্বস্ট, শরৎহেমন্তের সংকর ঋতু যাকে বলে। টিপটিপ থেকে শুরু করে বেশ পৃথুলা বৃষ্টি হচ্ছে, আবার ঝকঝকে মিষ্টি রোদও উঠছে। তাপমাত্রা ভোরে আর রাতে নয়দশে নেমে আসে, দিনের বেলা ষোলর আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। তাপমাত্রা ষোড়শী থাকলে হাঁটাহাঁটির একটা জোশ পাওয়া যায়, আর ছুটির দিনে এমন আবহাওয়া পেলে এক পশলা ক্রিকেট হয়ে যায়। কাসেলে বাঙালিরাই ক্রিকেটার, নম্রভাষী দুয়েকজন ভারতীয় মাঝে মা...
[justify]
কাসেলে এসে লোডশেডিং ব্যাপারটিকে মিস করছি। বোধ হবার পর থেকেই লোডশেডিং আমার নিত্যসঙ্গী। গত পরশু বাইরে থেকে ফিরে এসে দেখি আমার ভোওনহাইমের দরজায় একটি নোটিশ সাঁটানো। সেখানে কাসেল শহরের পাবলিক ওয়ার্কসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা থেকে দু'টো পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ থাকবে না। কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নাগরিকের সদয় বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্...
[justify]
বাংলাদেশ থেকে জার্মানীর কোন শহরে গেলে শহরের নতুন যে ব্যাপারটা চোখে পড়বে তা হচ্ছে প্লাৎস। বড়সড় চত্বর। ঢাকায় এমন চত্বর বলতে শহীদ মিনার আর মুক্তমঞ্চ ছাড়া আর কিছু এ মূহুর্তে মনে পড়ছে না। ইঁট বা পাথর দিয়ে বাঁধাই করা এ চত্বরগুলোতে পায়ে হেঁটে বা বাইসাইকেল নিয়ে ঘোরাফেরা করা যায়। বিভিন্ন ছুটির দিনে এ চত্বরগুলিতে সমাবেশ বা মেলা বসে। বড়সড় চত্বরগুলি সাধারণত রাজাগজাদের নামে হয়ে থাকে...
১.
ধরা যাক, এয়ারলাইন্সের নাম "ল যাইগা"। একটু অশ্লীল, তবে ঠিকাছে।
তাঁরা আমাকে আমার গোদা স্যুটকেস আর রুকস্যাক ওজন মাপার বেল্টে রাখতে বললেন। আমি আমার সুদূর অতীতের বোঝা কাঁধে পাহাড় বাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আন্দাজ করেছিলাম, সব মিলিয়ে ওজন আটাশ কেজির বেশি হবে না। আমার পেহলওয়ান ভাই কিছুক্ষণ স্যুটকেস নিয়ে লোফালুফি করে বলেছিলেন সব মিলিয়ে চব্বিশ কেজির বেশি হতেই পারে না। কিন্তু দেখা গেলো চৌত...