জায়গাটিতে জাদু দেখানো হয় না।
কিন্তু সবকিছুই যেন তৈরী হয়েছে কোন আশ্চর্য জাদুকরের ছোঁয়ায়। সেখানে আছে এক মায়াপর্বত, কিছু মায়াহ্রদ আর এক বিশাল মায়াপ্রাসাদ। সেখানে বছরের বারো মাসেই উৎসব, প্রতিদিন। প্রতিরাতেই প্রাসাদে জমে ওঠে আলো ঝলমলে রঙের মেলা, রূপকথার সব চরিত্র স্বপ্নের অস্পষ্ট দেয়াল ভেঙে জ্যান্ত হয়ে ওঠে চোখের সামনে।
একখানা টেবিল ঘিরে চলছে জম্পেশ আড্ডা। উপস্থিত আছেন এজরা পাউন্ড, গ্যারট্রুড স্টেইন, হেনরি মিলার, জেমস জয়েস, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, সিনক্লেয়ার লুইস, স্কট ফিটজেরাল্ড, স্যামুয়েল বেকেট, পল ভ্যালেরি। তুমুল হৈ হট্টগোল, করতালির সমাহার। আড্ডার বিষয়বস্তু- সমকালীন সাহিত্য। নিশ্চয়ই ভাবছেন বিশ্বসাহিত্যের এই রথী-মহারথীরা একাট্টা হয়েছেন এমন কোন আড্ডায়!
মাঝখানে নিষ্ঠুর জীবনের উথাল পাথাল নানান টানাপোড়নে ধারাবাহিক এই লেখায় লম্বা একটা বিরতি পরে গেলো। তাই হয়তো কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছি। সে যাই হোক, আগের পর্বে ‘চলবে’ লিখে ফেলেছি বলে কথা। এখন না লিখলে পরে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে।
ম্যাপ দেখে দিক ঠিক করে বিরতিহীন ক্লান্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি আইফেল টাওয়ারের দিকে। পৃথিবীর সবচাইতে বেশি পরিচিত স্থাপনা। কিছুদূর হাটবার পর দূর থেকেই চোখে পড়ল প্যারিসের আকাশে উদ্ধত এই ধাতব স্তম্ভ। এলোমেলো হেটে সঠিক রাস্তা রেখে আমরা পার্কের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এক সময় পৌঁছলাম যখন সন্ধ্যা হবে হবে করছে। চাইলে লিফটে করে টাওয়ারের চুড়ায় যাওয়া যায়। তার জন্য বড়সড় একটি লাইন ধরতে হয় এবং কিছু ইউরো খরচা করতে হয়। অবশ্য অনলাইনে আগেই টিকেট কেটে আসলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
আগের লেখাটি না পড়লেও ক্ষতি নেই। পড়া থাকলে লেখার মেজাজটা ধরতে সুবিধা হবে। তাই লিঙ্কটি শুরুতেই দিয়ে নিলামঃ অবশেষে প্যারিস যাত্রা