দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল যখন পরিনতির দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে যাচ্ছে তখনই খবর পাওয়া যাচ্ছিল ইউরোপের জামার্নি অধিকৃত এলাকা গুলোয় অসংখ্য কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বহু ক্ষুধার্ত, বুভুক্ষু মানুষ বন্দি অবস্থায় মৃত্যুর দিন গুনছে, অনাহারে তখনই মৃত্যুর কোলে যারা ঢলে পড়েছে সেই সংখ্যাটিও কম নয়। নেদারল্যাণ্ডস, গ্রিস, পূর্ব ইউরোপ, সোভিয়েত রাশিয়ায় অসংখ্য মানুষ অনহারে মৃত্যু বরন করছিল। ড.
হালের গরু বিকিয়ে গেছে, হাত ফসকে বেরিয়ে গেছে ধান ফলাবার এক টুকরো জমিটাও। শত্রুসৈন্যের হাতে পড়বে এই ভয়ে জেলেদের নৌকা গুলো পর্যন্ত নিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্রামে কাজ নেই, ভাতও নেই। ভিটে মাটিটা পর্যন্ত বিক্রি করেও চাল জোটানো দুস্কর। গেরস্থালীর বিগ্রহ গুলো পর্যন্ত অভুক্ত, দেবতার ভোগে দেবার মতও কিছু নেই। বাজারে চালের দাম চড়ে যাচ্ছে। উধাও হয়ে যাচ্ছে ধানের সঞ্চয়। কেউ বলছে সরকার সরিয়ে নিয়েছে জাপানীদের হাতে পড়বে
সতর্কীকরণঃ পোস্টের সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু ও আলোচনা দুর্বল স্নায়ুর মানুষের জন্য অসহনীয় হতে পারে। অনুগ্রহ করে নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন!
প্রিয় পাঠক আজ মনখারাপের গল্প। দুখিনী ভারতবর্ষ যুগে যুগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি, তার মধ্যে একটি দুর্ভিক্ষ। ভিক্ষার অভাব। এই অভাব আমাদের অনেকদিন ধরেই, বাংলার ঐশ্বর্যে চোখ ঝলমল করা বর্ণনা আমরা যে পাই বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে তার মুদ্রার অপর পিঠের অন্ধকার নিয়ে লিখা আছে অল্পই। শায়েস্তা খাঁ এর টাকায় আট মণ চালের গল্পে উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করার আগে যাচাই করে নেয়া জরুরী, কয়টা লোকের পকেটে টাকাটা ছিল। পর্যাপ্ত ফসলের অভাব নয় বরং ক্রয়ক্ষমতার অভাবকেই দুর্ভিক্ষের মূল কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন অমর্ত্য সেন।