(আগের পর্ব- লিংক)
কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে সবচেয়ে অসাধারন যে বিষয়টি ঘটেছিল সেটি হলো- রান্নার উদ্ভাবন।
ইউভাল নোয়া হারারি ইতিহাস পড়ান হিব্রু ইউভার্সিটি অব জেরুজালেমে। তাঁর রচিত বেস্টসেলার Sapiens: A Brief History of Humankind সম্প্রতি বেশ আলোড়ন তুলেছে। এরই মধ্যে এই বইটি প্রায় ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটিতে লেখক মানব জাতির বিবর্তন থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপ্লবের নানা বিষয় অত্যন্ত দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার হলো, বিভিন্ন বিশ্লেষণে তিনি ব্যবহার করেছেন বিবর্তনীয় জীববিদ্যার নানা সিদ্ধান্ত। বইটির বাংলা অনুবাদ শুরু করার দুঃসাহস দেখিয়েছি। অনুবাদ নিয়ে সকলের মতামত কামনা করছি। যে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
সামনে কিছুদূর এগুতেই অন্য ধরনের একটা পাখি উড়ে গেল দূরে একটা শিমুল গাছের দিকে। ওড়াটা অন্যরকম। শাহেদ-সোহানও দেখেছে। ওরাও চিনতে পারল না। ও পাখির আশা বাদ দিয়ে একটা আম বাগান লক্ষ করে এগুতে শুরু করলাম। হঠাৎ বাঁধা এলো সোহানের কাছ থেকে, ‘ভাইয়া কী পাখি দেখেন?’
চোখে পড়তে সময় লাগল, শাহেদ অনেকটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কলা পাতায় বসে আছে অদ্ভুত সুন্দর নীল রংয়ের পাখি। আগে কখনওই দেখিনি এ পাখি। ওরাও দেখেনি। ট্রাইপড নামিয়ে ক্যামেরা ফোকাস করতে করতে পাখি উড়ে গেল ক্রাক ক্রাক ডাকতে ডাকতে। আফসোসের অন্তত নেই! একেবারে অচেনা পাখি। আছিই বা আর কদিন! এর মধ্যে পাবো কিনা তার ভরসা কোথায়।
১ এপ্রিল ২০১৫। বিকেল তখনও হয়নি। আকাশে মেঘের ঘনঘটা কয়েকদিন ধরেই। ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় নিয়ে চললাম গাঁয়ের একেবারে পশ্চিম প্রান্তে। সকালে সেখানে একটা শাহবুলবুলি পাখি দেখে এসেছি। কিন্তু ছবি নিতে পারিনি। আজকাল এই পাখিটা বড় দুর্লভ হয়ে উঠেছে। তাই আবার ওই মাঠে অভিযান। এদিকটাই বড় বড় বাগান আছে, আছে শিমুল গাছ। হরিয়ালেরও বড় আড্ডা নাকি এদিকে। তাই একবারে অনেকগুলো ছবি নেওয়া যাবে। আমার সাথে আছে খালাতো ভাই শাহেদ।
ইছামতীর পাড়ে বড় বাগানটায় এসে শাহেদ চেঁচিয়ে উঠল, ‘ভাইয়া শিয়াল!’
কফির কাপটা হাতে নিয়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। শহরের উদ্বাস্তু সব কংক্রিটের মাঝে এমন মলিন সকাল পাওয়াই যায় না। আমার বুদ্ধিজীবি বন্ধুটি খালি গলায় ছেড়ে রবীন্দ্রসংগীত গাইতে পারে। “প্রথম(0) আলোর চরণধ্বনি”র হাল্কা গুনগুনানিটা আমার কানে আসছিল ফিরেফিরে। বারবার মনে হচ্ছিল গানটার সাথে সকালটা কেমন আশ্চর্যভাবে সাত পাকে বাঁধা পরেছে।
আমি ভালো নাকি মন্দ জানিনা। কেউ তার নিজের ভালো মন্দের সার্টিফিকেট দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। কিন্ত এ মুহুর্তে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সত্য হচ্ছে আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে অনেক অনেক ভালো লাগে এ কথা আমি ছাড়া সম্ভবত আর আকাশ জানে।
বিল জোনস বাংলাদেশের পাখি গবেষকদের কাছে এক অতি চেনা নাম। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের আমন্ত্রণে ২০১০ সাল থেকে ৪ বার বাংলাদেশে এসেছেন এই ৬০ পেরোনো এই ইংরেজ পক্ষীবিদ, আমাদের পাখি রিং করা শেখাতে, এবং আসেন নিজের টাকায়। উল্লেখ্য, সারা পৃথিবী জ়ুড়ে সারা জীবনই এই কাজ করেছেন তিনি, পাখির মন বুঝে জাল পাততে তার জুড়ি নেই, আর জুড়ি নেই পরিশ্রমে, সব সময়ই হয় নেট রাইডের জন্য গাছ সাফ করছেন, জাল টানাচ্ছেন, বাঁশ নিয়ে যাচ্ছে
পাহাড়ের প্রতি আমার আজন্ম ভালবাসা। পাহাড়ের সবুজ উপত্যকা আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে । সেটা দেশেই হোক আর বিদেশেই হোক। বছর দুই আগে, দেশে সবচেয়ে প্রিয় জায়গা রাঙ্গামাটিতে গেলাম ৩য় বারের মত, বলা যায় এক আড়াই দিনের ঝটিকা সফর। ১ম বার যখন রাঙ্গামাটি যাই তখন ক্লাস টেনের প্রি টেস্ট হওয়ার আগে আগে। সে যাই হোক, অনেক দিন ধরে ছবিগুলো আজকে মোবাইল হার্ড ডিস্কে খুঁজে পেলাম। আমি জানি সচলে আমার চেয়ে অনেক ভাল আলোক