ভারতের এলাহাবাদের এক ছোট শহরের বাসিন্দারা প্রতি সকালেই মুখে টিপে হাসে জজ সাহেবের ছেলেকে দেখে, আর সব দিনের মতই পোষা বাদর শাহনাজ খানকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে সে, এই বয়সী আর দশটি ছেলের মত খেলায় মেতে বা হিন্দি সিনেমা দেখা দিন কাটায় না সে, বরং এলাকার যত পশু-পাখি সব যেন তাঁর প্রাণের দোসর, নতুন কোন প্রাণী দেখার মাঝেই যেন তাঁর জীবনের সকল আনন্দ।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ইহা ছহীহ ভ্রমণব্লগ নহে
বর্ণনা খুঁজিয়া লজ্জা দিবেন না
মাঘ মাসে হাড়কাঁপানো শীতের ভয়ে এখন সকালে ঘর ছেড়ে বেরোতেই মন চায় না। অথচ শীতের সকালের সৌন্দর্যের তুলনাই হয় না। সাধারণত ডিসেম্বরের শুরুতেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যেত। পড়াশোনা আর স্কুলের ভূত ঘাড়ে চেপে বসা তো দূরে কথা, ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে সাহস পেত না। তখন দিন গুণতাম, আশায় থাকতাম, কবে নানাবাড়ির পথ ধরব। কারণ শীতের তাতরস আর গরম গুড়ের লোভ। আমাদের গ্রামে অবশ্য রস-গুড়ের চল ছিল না বললেই চলে। কিন্তু আমার নানা বাড়িতে-- রস-গুড়ই তাদের প্রধান চাষাবাদ।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ
ইহা ছহীহ ভ্রমণব্লগ নহে
বর্ণনা খুঁজিয়া লজ্জা দিবেন না
ডিসেম্বরের শুরুতেই হাড় কাঁপনো শীত জেঁকে বসছে। আয়েসি মানুষগুলো দশটার আগে লেপ-কাঁথা ছাড়ে না। কিন্তু নজীর আহমেদ-এর মতো দিন মজুরদের অতবেলা করলে চলে না। সাত সকালে উঠেই মাঠের পথ ধরতে হয় রাতের বাসি পানি-পান্তা খেয়ে। শীত-গ্রীষ্মের সাথে নিত্য যাদের বসবাস, শীত তাদের কাবু করতে পারবে কেন। তাই কার কাছে উপহার পাওয়া ছেঁড়া ট্রাক-স্যুট পরে তিনি বেরিয়ে পড়েন মাঠের উদ্দেশে। কিন্তু মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারলেন না। অতিকায় একটা পাখি পড়ে আছে ক্ষেতে মাঝখানে। নজীর আহমেদ ছুটে গেলেন পাখিটার কাছে। না, মরেনি পাখিটা। জীবন্ত। অসুস্থ্। উড়তে পারছে না। এতবড় পাখি কখনও দেখেননি নজীর। শুধু নজীর কেন, গাঁয়ের কেউ কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না। কাজ ফেলে পাখিটাকে নিয়ে বাসায় ফিরলেন নজীর। ডাকলেন ডাক্তার। পশু ডাক্তার নয়। মানুষের ডাক্তার। তাও আবার হাতুড়ে। নাপা-টাপা মিলিয়ে কয়েকটা মানুষের ওষুধ খাইয়ে দিলেন ডাক্তার। দিলেন কয়েকটা ইনজেকশনও। অবাক ব্যাপার তাতেই কিছুটা সুস্থ্ হয়ে উঠল পাখিটা
[The Magic of Reality by Richard Dawkins এর তৃতীয় অধ্যায় Why are there are so many animals? এর প্রথম অংশের অনুবাদ]