এই লেখাটি মূলত: সুন্দরবনের তেল নি:সরণ নিয়ে আমার এক তরুণ রিমোট সেনসিং গবেষক বন্ধুর সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে প্রায় নিস্ফল ধাক্কাধাক্কির বর্ণনা। আমরা দেখতে চাই যারা আমাদের চেয়ে ভাল মানের স্যাটেলাইট ডেটা নিয়ে কাজ করেন তাদের এ ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলা যায় কিনা।
সুলতানা রহমান জানতে চেষ্টা করেন নি, কোন নদীতে, যেখানে জোয়ার ভাটা খেলে, সেখানে তেল পড়লে সেই তেল কীভাবে ছড়ানোর কথা! নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল কোনো নির্বোধ পরিবেশ সাংবাদিকের লাইভ ক্যামেরায় সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য বসে থাকে না। তেল ছড়ানোর তিনদিনের মাথায় বনের সব গাছ মরে গিয়ে প্রমাণ করার কথা নয় তারা মরে যাচ্ছে। তিনটির বদলে তিনলক্ষ লাল কাঁকড়া সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে এসে মরে থাকাটাও তেল ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব নয়। পরিবেশ সম্পর্কে কাণ্ডজ্ঞানহীন কোনো নির্বোধের চোখে ধরা দেয়ার মত করে পরিবেশের পরিবর্তন হয় না।
[justify]
সুন্দরবনের সৌন্দর্য ঠিক সহজলভ্য না। আপনি শখের ঘুরুঞ্চি হলে সম্ভাবনা অনেক যে সুন্দরবন আপনাকে হতাশ করবে, সকাল থেকে সন্ধ্যা সেই একই রকম খাল, সেই একই রকম গাছপালা। টুপ করে নৌকা থেকে নেমে যে আপনি একটু হেঁটেহুটে বেড়াবেন তার কোন সুযোগ নেই এই ধারালো শ্বাসমূলের ম্যাংগ্রোভ বনে। সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বেঙ্গল টাইগার, কিন্তু সুন্দরবনে পঞ্চাশবার গিয়েও আপনি বাঘমামার সাক্ষাৎ নাও পেতে পারেন। ২০১১ থেকে ১৪ এর মধ
(বড় করে দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন)
দূরে একপাল ছৈঅলা নৌকা দেখা যায়। এই মাঝিদের কাছে অনুরোধ করলাম যেন তারা আমাদের ছৈঅলা নৌকার কাছে পৌঁছে দেয়। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। ছৈঅলা নৌকায় ঘোরাই নিরাপদ। কিন্তু এই চাচারাও চটে মটে জবাব দিলেন, ওগুলো নাকি বেদে নৌকার বহর। ওরা আমাদের নেবে না।
বেদে নৌকা! অবাক হলাম। বেদেদের দেখেছি বহুবার। হাটে-বাজারে সাপ খেলা দেখিয়ে বেড়ায় কিন্তু বেদে নৌকার এমন বহর দেখিনি কখনও। ঢাকায়ও বেদেদের চোখে পড়ে আজও, কিন্তু এরা এখনও নৌকায় বাস করে এ ধারণা ছিল না। এখন ওই বেদেপল্লীই আড়িয়ল বিলের মূল আকর্ষণে পরিণত হল
[তিথীডোরের ভয়ে অনেকবার রিভাইজ করলাম। তাও বানান ভুল থাকলে আলতো করে জানিয়েন। এটি একটি খাঁটি ব্লগরব্লগর। সাথে কিছু ছবি আছে অবশ্য। অন্যকিছুর স্বাদ খুঁজতে গেলে বিফল হতে পারেন। আগেই বলে রাখলাম ]
মার্কিন মুলুকে থ্যাঙ্কসগিভিং বলে একটা উৎসব আছে। যতটা বুঝি এটা আমাদের নবান্ন উৎসবের মতো। সারা দেশে এমনকি দেশের বাইরে এ উৎসব নিয়ে এক বিশাল যজ্ঞ হয় (অন্য দেশে অবস্থানরত সৈন্য সামন্ত) । এ উপলক্ষে অনেক স্টেইটে স্কুল-কলেজ (কলেজ বলতে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় বোঝায়) এক সপ্তাহের বন্ধ দেয়।
ভেরেণ্ডকচাকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে শক্ত করে বেঁধে তৈরি হয় আটোসাটো বেড়া। তবুও মাঝে মাঝে ফোঁকর থেকে যায়। সেটা সাময়িক। এক মাসের মধ্যেই নানা রকম বুনোলতা উঠে ঠাঁস বুনোটের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে কচার বেড়াটাকে। নানা জাতের বুনোলতা। বেশির ভগের নাম জানি না, কিন্তু চিনি সব। কুমারিলতা, গুলষ্ণ, প্যাটেঙ্গার মতো অতিপরিচিত লতা ও যোগ দেয় সেই বুনোলতার মিছিলে। যখন ফুলে-ফলে শোভিত হয় এসব বুনোলতা, তখন সেই মেঠো বেড়ার কাছে কোথায় লাগে বাহারী উদ্যানের সৌন্দর্য।