Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

প্রকৃতি

নগরে নিসর্গ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি
লিখেছেন প্রকৃতিপ্রেমিক (তারিখ: শুক্র, ০৩/১০/২০১৪ - ৯:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

। এক ।

মধ্য দুপুরে জানালায় ভারী পর্দা দিয়ে অন্ধকার ঘরে দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে যখন দিবানিদ্রায় যাওয়ার সময় হল ঠিক তখনই খুব কাছে থেকে একটা ঘুঘু ডেকে উঠল। একবার, দুইবার। এর পর থেমে থেমে আরো কয়েকবার।


ছবিব্লগঃ হুট করেই সাঙ্গু ভ্রমণ

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: সোম, ২৯/০৯/২০১৪ - ৭:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ একটা দিন কাটালাম সাঙ্গুর বুকে চড়ে, সেই ভোর থেকে প্রায় রাত অব্দি। দেখা পেলাম নীল পাহাড়ের বন্ধুত্বপূর্ণ কতগুলো মানুষের। আর স্বর্গের মতো সুন্দর এক পাহাড়ী গ্রাম, হাসি-খুশি ভরা মানুষের ছোট্ট একটা মেলা। এইতো আমার দেশ, এইতো আমার মাটির পরিচয়, এর আলো-হাওয়া'ই তো প্রকৃতীকে ভালোবেসে আমার হয়ে উঠা দুরন্ত দস্যু!]


আশ্চর্য বটবৃক্ষের খোঁজে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২২/০৯/২০১৪ - ৩:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমাকে অবাক করে দিয়ে মোস্তাফিজুর ঝুরি ধরে ঝুলে পড়ল বাঁদরের মতো । তারপর টারজানের মতো তর তর করে উঠে গেল ঝুরি বেয়ে প্রায় ৬০ ফুট উচুঁতে।তখনই খেয়াল করলাম, এটাই সবচেয়ে লম্বা ঝুরি। মাটি ছুঁতে খুব দেরি নেই এটার।


পুরোনো দিনের গাঁয়ে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০৯/২০১৪ - ৫:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


৩০ জুলাই ২০১৪। সকাল ন’টার দিকে বেরিয়ে পড়লাম। মাঠে নয়। আমাদের গ্রামের সাথেই এক গ্রাম আছে। নাম মালো শ্রিনাথপুর। ইছামতীর ওপারে। এইখানেই আমার আকর্ষণ। আমাদের এলাকার পুরো সীমান্ত জুড়ে ইছামতী সীমান্তরেখা। তাই ইছামতীর ওপারের বাংলাদেশের কোনও গ্রাম থাকতে পারে--এই বিষয়টা এলাকার জন্য অদ্ভুত। তখনও ভাবিনি আরও কত বিস্ময়ের পসরা সাজিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে গ্রামটা।


স্মৃতিময় টাঙ্গুয়ার হাওড়ে (১ম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১৬/০৯/২০১৪ - ৭:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]১৬ই আগষ্ট, ২০১৩: দিনের শুরুটা ভালই মনে হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ কোথা থেকে একদল মেঘের আগমন। তারপর মুষল ধারায় বৃষ্টি। এখন পর্যন্ত পুরো ট্রীপ জুড়ে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে বার বার। আমরা “ভ্রমণ বাংলাদেশের” ৩৫ জন সদস্য আটকে আছি হোটেলে। একপর্যায়ে বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই আমরা যাত্রা শুরু করি। সুরমা নদীর ঘাটে এসে নদী পার হয়ে শুরু হল লেগুনার জন্য


বাংলার বনফুল-২

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৩/০৯/২০১৪ - ৫:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একজোড়া কাকের গল্প

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০১/০৯/২০১৪ - ৫:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সৈয়দ মুস্তফা সিরাজের কর্নেল সিরিজের একটা বইয়ে কাক সম্পর্কে দারুণ এক তথ্য পেয়েছিলাম। কাক নাকি তার বাসায় নানা ধরনের টুকিটাকি জিনিস জড়ো করে। যেমন-- ভাঙা চুড়ি, কাঁচের টুকরো, ছোট-খাটো নাট-বল্টু। বইটা যখন পড়ছি তার কিছু দিন আগে খুব কাছ থেকে কাকের বাসার কিছু ছবি তুলেছিলাম। বইটা পড়ার সময় মনে হলো, দেখি না আমার ছবিতে এমন কিছু আছে কিনা। ছবি দেখে তাজ্জব! সত্যিই আমার এই প্রতিবেশী কাক মামারও তাদের বাসায় আজব একটা জিনিস সংগ্রহ করেছেন। পাঠক ছবিতে চোখ বুলিয়ে দেখুন, একটা পেঁচানো ইলেট্রিক তার অবহেলায় পড়ে রয়েছে কাকের বাসায়।


শরতের শুভ্রতায় কাপ্তাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৮/২০১৪ - ৩:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সচলায়তনে এবার হাজির হলাম আমার দ্বিতীয় পোষ্ট নিয়ে। যথারীতি ভ্রমণ বিষয়ক পোষ্ট। আজ লিখছি রাঙামাটি জেলার অন্তর্গত ‘কাপ্তাই’ উপজেলা নিয়ে। প্রতিবছর প্রচুর সংখ্যক পর্যটক রাঙামাটি গেলেও কাপ্তাইকে কেন যেন অনেকেই অবহেলার চোখে দেখেন। তাই কাপ্তাই না দেখেই তারা বাড়ির পথ ধরেন। যদিও কাপ্তাইয়ে ছোট বড় বেশ কিছু ট্যুরিষ্ট স্পট গড়ে উঠেছে আগেই। যা সৌন্দর্যের দিক থেকে বেশ সমৃদ্ধশালী। এমনকি এ স্পটগুলো সারাদিন


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩৫ : রাখালিয়া/বুনো ঝুমকোলতা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/০৮/২০১৪ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ছোট্ট বেলায় দাদি আমাকে শুনিয়েছিলেন এক আশ্চর্য ফলের কথা। বাড়িতে বাগানে ও ফল হয় না, হয় বনে জঙ্গলে, মেঠোপথের ধারে। রাখালদের তো মাঠেই কারবার। বিছুটি-লতায় আচ্ছাদিত ঝোপে ঝাড়ের কোন কোনায় কি ফুল ফুল ফুটেছে, কী ফল পেকে লাল হয়েছে--সব তাদের নখদর্পনে। ঘনঘোর বর্ষার দিন নেহাত ছোট নয়। আর গরু-বাছুরের যেন এসময় খিদেটা বাড়ে। মাঠ ভর্তি সজীব-সবুজ ঘাস ডগমগ করে। গরু-বাছুরের তো জিভে জল আসবেই। তাই গরু নিয়ে রাখালকে দীর্ঘসময় মাঠে কাটাতে।


ভালোবাসা কারে কয়-২ : চম্পাবতীর গাঁয়ে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৪/০৮/২০১৪ - ১১:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৬ বছরের তরুণ তখন। মনে যৌবনের বান ডেকেছে। যা দেখি চারপাশে, সব ভাল লাগে। ছয় ঋতু যেন পরস্পরে লীন হয়ে চির বসন্তে রূপ নিয়েছে। পথ ঘাট, ভাল লাগে, ভাল লাগে পথের দুপাশের সৌন্দর্যও। ঘাস গুল্ম-লতা, ফুল পাখি--সব সব ভাল লাগে। সেই ভালোলাগার অনুভূতির সাথে আরও একটা অনুভূতি জেগে ওঠে--চম্পা। সে কী আমাকে চিনতে পারবে? সেই ছড়া কি ওর মনে আছে? মুখোমুখি হলে আমিই বা ওকে কী বলব? আচ্ছা, এই একযুগে কেন ওর সাথে দেখা হলো না? কত মানুষের সাথেই দেখা হয়? ওর মামার বাড়ি, যেটা আমার বাবার ফুফুর বাড়ি, সেখানে বছরে দু-তিনবার পা পড়ে আমার? ও কি একবারও আসে না মামার বাড়ি? নাকি ও যখন আসে আমি তখন যাই না? ভ্যানে চলতে চলতে কোথা থেকে একরাশ অভিমান এসে আচ্ছন্ন করল আমাকে? কিন্তু অভিমান তখনই মূল্যবান, যার ওপর অভিমান করছি তার কাছে এর কিঞ্চিত মূল্য যদি থাকে। নইলে ঝরাপাতার সমান মূল্যটিও তার নেই।