Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

প্রকৃতি

কুসুম ভরা বসন্তে-১

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২১/০৩/২০১৪ - ১০:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গ্রীক মিথলজি ২৮ (এপোলোর গল্পকথা- ডাফনি এবং মারপেসসার ভালোবাসা)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৬/০৩/২০১৪ - ২:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“দেবতার এই কথার পরে আমি আর কি চাইতে পারি? আর কিইবা দেবার জন্য তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে পারি? তবুও এটি যেহেতু প্রবল ভালোবাসার নারীর ব্যাপার, একেবারে চুপ থাকার চেয়ে কিছু কথা বলাই যেতে পারে। আমি তোমাকে ভালোবাসি- শুধুমাত্র তোমার শরীরে পৃথিবীর সব মিষ্ট গন্ধের ঘ্রাণ পাই বলে নয়, যাতে মনে হয় রক্তবসনা ঘড়া থেকে গ্লাসে শরাব নিয়ে উদ্বেলভাবে পান করছি। কিংবা এই জন্য নয় যে, তোমাকে দেবতা প্রেমিক তন্দ্রাচ্ছন্নের মতো ঘিরে আছে, অথবা তোমার মোহনীয় কেশরাজির জন্যও নয়। আমি তোমাকে ভালোবাসি- তোমার সেই চন্দ্রমুখের জন্য নয়, যে চন্দ্রমুখের জন্য আমি কোনো শহরও আক্রমণ করে বসতে পারি, কিংবা যা দেখে আমি এক অদ্ভুত তন্দ্রায় আবিষ্ট হয়ে পড়ি। আমি তোমাকে ভালোবাসি- তোমার সেই অসাধারণ সুমিষ্ট কন্ঠের জন্য নয়, যেটা শুনে আমি মাতাল হাওয়ায় উদ্বেলিত হয়ে পড়ি, গভীর সাগরের অতলে তলিয়ে যেতে পারি। কারণ আমি জানি –তোমার এই মিষ্ট গন্ধের শরীর, মোহনীয় কেশরাজি, চন্দ্রমুখ কিংবা সুমিষ্ট কন্ঠ- কিছুই আজীবন থাকবে না, এক সময় তা ক্ষয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে এই নশ্বর পৃথিবীর মতোই। তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি- সেই দিনের জন্য, যেদিন তোমার পাশে তোমার হাত ধরে চুপ করে বসে থেকে নিজেকে আর তোমাকে অনুভব করতে পারবো, বুঝতে পারবো ভালোবাসা মানে শুধু শরীর নয়, ভালোবাসা মানে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নয়, ভালোবাসা মানে দুটি মনের, দুটি আত্মার আত্মিক মিলন!”


বাংলাদেশের সুন্দরতম দ্বীপ

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৩/২০১৪ - ৬:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

IMG_0838


ছবিব্লগ: জিপসির গৃহত্যাগ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০৩/২০১৪ - ৩:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রীষ্মকালে আমায় যখন কেউ প্রশ্ন করে, পাহাড়ে ক্যান যাস? জবাবে হাসিমুখে ভারিক্কি চালে বলে দিই “আমাকে জিজ্ঞেস করলে এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই পাবিনা”। উক্তিটা আমার না, বিশ্বখ্যাত মার্কিন পর্বতারোহী এডমুণ্ড ভিশ্চাসের। শীতকালে পাবলিক যখন মুচকি হেসে শুধায় “কিরে ঘরে বসে আছিস ক্যান, পাহাড়ে উঠবি না?” তখন মুখ লুকিয়ে বলতে হয় মা’র পিটুনি আর বউর বকুনির ভয় ছাড়াও স্বীকার করতে হবে ওই তুষারআবৃত শৃঙ্গ জয়ের সাহস আমার নেই। এই বয়সে পিছলে পড়ে হাড়গোড় ভাঙার হুটকো ঝামেলায় নিজেকে জড়াতে চাইনা।


বিগত চারশ বছরে ঢাকার বন্যপ্রাণী ( ১৬০৮ – ২০০৮)

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: সোম, ১০/০৩/২০১৪ - ২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিগত চার শতাব্দী ধরে ঢাকা নগরীর অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নানা ধরনের বুনো প্রাণীর অস্তিত্বের জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে, যার মাঝে কিছু প্রাণী মানববিশ্বে ভয়াবহ বিপদজনক বলেই পরিচিত। যদিও কয়েক শত বছরে ক্রমবর্ধমান শহর তাকে ঘিরে থাকা বুনোজগতের অস্তিত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছে ক্রমাগত। বুড়িগঙ্গার তীরে অল্প কয়েকজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে স্থাপিত ঢাকা নগরী সতের শতকেও বিশাল অরণ্যে পরিপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে শহর


সাতই মার্চ।

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৩/২০১৪ - ৫:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি এক কথার মানুষ। আমার এক মেয়ে। এক বউ। টাকা পয়সা থাকলে আরো কয়েকজন বউয়ে আমার আপত্তি ছিল না। কিন্তু উপায় নেই। একটা বাচ্চা মানুষ করতে এই দেশে দুই লাখ ইউরু লাগে। জার্মানরা হিসাবে খুব পাকা। বেহিসেবী হতেও পারে না। বাচ্চাও হয় না। আমার হিসাবের ব্যপার নাই। সমস্যা হল বাচ্চা গুলো লালন পালন নিয়ে। ছেলে হোক মেয়ে হোক, একটি সন্তানই যথেষ্ট। আমার এক কথা।


চমৎকার চ্যাটানুগা

মেঘলা মানুষ এর ছবি
লিখেছেন মেঘলা মানুষ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৫/০৩/২০১৪ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা থাকি বেশ গ্রাম গ্রাম টাইপের জায়গায়। দশতলা একটা স্টুডেন্ট হোস্টেল আছে আমাদের শহরে, যেটা আমদের এখানে সবচেয়ে উচু বিল্ডিং। ১২-১৩ তলা বিল্ডিংও কোন শহরে দেখলেই আমরা চোখ ট্যারা বানিয়ে তাকিয়ে থাকি। দূরে গেলে বড় শহর আটলান্টা যাওয়া যায়, তবে সেখানে বেশি গ্যাঞ্জাম, সেটা বাদ। এরপর, লুইজিয়ানার নিউ অর্লিন্স যাওয়া যায়, সেটা আরও অনেক বেশি দূর। মাঝারি আকারের একটা শহর আর দেখার মত কিছু টুকটাক আছে এমন একটা জায়গার খোঁজাখুজি করে জলপ্রপাত বের করে ফেলল টেনেসি রাজ্যের চ্যাটানুগা'র (Chattanooga) নাম। নামটা নিয়ে আমার নিজেরই সমস্যা বেঁধে গেল, অনেকটা চাটগাঁর মত নাম। তার উপর, এর উচ্চারণ চাট্টানুগা, না চাত্তানুগা, এটা নিয়ে কনফিউজড। যাই হোক, আপাতত, চ্যাটানুগা চলুক। চ্যাটানুগার আশে পাশের লুক আউট মাউন্টেনের রুবি ফল, হেলানো রেললাইন আর রক সিটিকে সিলবাসে ভরে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।


বাংলাদেশে "জিটি" বেগুন- “জিটি” খাবারকে না বলুন!

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: সোম, ০৩/০৩/২০১৪ - ৬:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্রিটেনের বৈজ্ঞানিক মহলে খাদ্য-বিষয়ক গবেষণায় খুব নামডাক ড: আরপাদ পুজতাই এর। ছোট্ট একটি সাক্ষাতকার দিলেন ব্রিটিশ টেলিভিশনে। বললেন, “জিটি-খাদ্যের কার্যকরীতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই আমার। কিন্তু এটি বৈধ করার আগে অবশ্যই সুদূরপ্রসারী পরীক্ষা নিরীক্ষার দরকার। বর্তমান এই অবস্থায় এই প্রযুক্তির কোনো ধরণের খাদ্য গ্রহণ করতে রাজি নই আমি”। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে নিজের কিছু পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরলেন তিনি। কয়েকট


মারমোত্তার গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০২/২০১৪ - ১১:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“কোথায় হাঁটতে বেড়িয়েছিলে বাবা?”। সেপ্টেম্বরের এক ছুটির দিনে ভোর সকালের ট্র্যাকিং থেকে বাসায় ফিরে এসে দেখি সোফায় বসে ব্রেকফাস্ট করছে আমার পাঁচ বছরের ছেলে। জবাবে ‘কাম্পোফন্তানা’ বলতেই জিজ্ঞেস করল মারমোত্তা(marmotta) দেখেছি কিনা? উত্তরে ‘না’ জানাতেই অবাক হয়ে বলল “গত সপ্তাহেই না মারমোত্তার ছবি আমাকে দেখালে, আজকে কোথায় গেল ওরা?” দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলাম “মারমোত্তার দল ঘুমুতে গেছে, সে এক দীর্ঘ ঘুম………… ঘুম ভাঙবে বসন্তে, এখন শুধুই অপেক্ষার পালা”। সন্তানের বিস্মিত চেহারা দেখে শুরু করলাম মারমোত্তার গল্প, হাতের কাছে উইকিপিডিয়া তো আছেই।