'খুসখুসে কাশি ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর।'
এমনিতে আমার বেশি অসুখবিসুখ হয় না। কিন্তু অল্প যা কিছু হয় সেইটা বেশ ভালই ভোগায়। একটা সময় আমার সুতীব্র ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো, নাকেমুখে মুখোশ এঁটে ঘর থেকে বের হতে হইতো। আজকাল ঢাকা শহরের বেশিরভাগ যানবাহনই সিএনজিতেও চলায় শহরের বাতাস মোটামুটি পরিষ্কার, তারপরেও বসন্তকালটা আমার কাছে সবসময়েই একটা আতঙ্ক নিয়ে এসে উপস্থিত হয়।
অনেক বছর আগে বিজ্ঞান যখন ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ করছিলো সেই মধ্যযুগে বা তারও আগে কোন এক সময়ে পেরুর জেলেরা লক্ষ্য করেছিলো কোন কোন বছর তাদের জালে বেশি মাছ ধরা পড়ছে, আবার কোন কোন বছর মাছ একেবারেই কম। তারা আরো খেয়াল করলো- যে বছরগুলোতে জালে মাছ কম আসছে সে সময় প্রশান্ত মহাসাগরের পানিও থাকে খুব উষ্ণ, বৃষ্টিপাত হয় বেশি আর এই ব্যাপারটা শুরু হয় ঠিক যখন তারা ‘ক্রিসমাস’ বা যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব পালনে মেতে ওঠে ত
শীতকালে কার্পাস তুলাকে ঘিরে আমাদের গ্রাম যেন উৎসবে মেতে উঠত। গরিব চাষিরা বাঁচত হাঁপ ছেড়ে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা অনেকটাই প্রশমিত করে দিত তুলো নামের এই ফসল।
কিছুদিন আগে এক অগ্রজ জানালেন বাগান করার জন্য বেশ বড়সড় একটা জায়গা তিনি পেয়েছেন। সেখানে সব ধরনের দেশী গাছ লাগানোতে তাঁর আগ্রহ। সাথে তিনি এটাও চান যেন তাঁর বাগানে সারা বছরই কোন না কোন ফুল ফুটে থাকে। আমাকে অনুরোধ করলেন গাছের এমন একটা তালিকা তৈরি করে দিতে যাতে তাঁর ইচ্ছে পূরণ হয়। আমি সানন্দে তাঁকে তালিকাটা তৈরি করে দিলাম।
মাঝে মাঝে স্মৃতিরা ভিড় করে। বিষণ্ন হয়ে হয়ে ওঠে মন। শৈশব-কৈশোরের রঙিন জীবন হাতছানি দেয়। কিন্তু সময়কে তো আর পেছনো যায় না। তাই বর্তমানে বসেই অতীতকে খোঁজার মধ্যেও আলাদা সুখ। আর এই সুখের আশাই আমি সেলফোনটা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াই গাঁয়ের মাঠে, নদীর ঘাটে, ঝোপে-জঙ্গলে। কিশোর বেলার বন্ধুদের কারও সাথে দেখা হয়ে গেলেই ক্যামেরা বন্দি করে ফেলি।
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৩, শুক্রবার
ল্যাটিচিউড ২১ ডিগ্রী ০১ মিনিট নর্থ, লংগিচিউড ৯১ ডিগ্রী ২০ মিনিট ইস্ট
ইট-পাথর ঘেরা ঢাকা শহর নাভিশ্বাস তুলে দেয় মাঝে মাঝে। মন ছুটে যেতে ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলিতে। যেখানে স্মৃতির ওপারে আছ তেপান্তরের মাঠ, আমার খুব প্রিয় ফুলের একটা মোরগফুল।