[justify]
গত তিন বছর ধরে প্ল্যান করছি শিব চর্তুদশীর মেলার সময় চন্দ্রনাথ যাব। কিন্তু নানান ঝামেলার কারনে যাওয়া হয়ে উঠেনি। অবশেষে ঈদের পরের দিন চন্দ্রনাথ ধাম দর্শন করে আসলাম। সাথে বোনাস হিসাবে সীতাকুন্ড ইকোপার্ক। আমরা ছয়জন ঈদের দিন সন্ধ্যায় ফেনীতে এক বন্ধুর বাসায় উঠলাম। পরদিন ভোর ৬.৩০ টায় আমরা ৭ জন সীতাকুন্ডের উদ্দ্যেশে যাত্রা করলাম।
লেদ্রো হ্রদের নাম আমার পরিচিত অনেকে শুনে থাকলেও যায়নি বা যেতে পারেনি কোনদিন। যাবার একমাত্র রাস্তাটা অনেকেই চিনে …… ইতালির বিখ্যাত গারদা হ্রদকে না ছুঁয়ে বা না দেখে লেদ্রো উপত্যকায় পা ফেলার কোনও উপায় নেই। ঝামেলাটা ওখানেই, গারদা লেকের(lago di garda) বিশালতা আর এর চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠা পর্যটন শিল্পের অত্যাধুনিক অবকাঠামো আটকিয়ে দিবে ছুটির আনন্দ অন্বেষণে ঘরছাড়া টুরিস্টকে। কে যাবে বলুন ৩৭০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গারদা লেক ছেড়ে ওই ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পুঁচকে লেদ্রো লেকে? আমি কিন্তু যাই, আমার মত যারা পাহাড় ঘেরা এক শান্ত উপত্যকায় একটু আপন করে পেতে চায় প্রকৃতিকে তারা গরমের ছুটিতে ভিড় করে লেদ্রো উপত্যকায়। শখের ট্র্যাকিং জুতোজোড়া আর কাঁধের ঝোলা ছাড়াও এবার সাথে থাকছে DIANA।
প্রতি বছর চেয়ার ভেঙ্গে পড়ে যেয়ে ২৫ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।
প্রতি বছর রুটি গরমের টোস্টার বিস্ফোরিত হয়ে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।
কাম্পোফনতানা(campofontana)এক পাহাড়ি জনপদ যেখানে একাধিক গুচ্ছগ্রাম(contrada)মিলিয়ে সর্বমোট ১১২ জন মানুষের বসবাস। পাহাড়ের ঢালে ৫/৬টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠে এক গুচ্ছগ্রাম। জীবিকার তাগিদে এই পরিবারগুলি বংশ পরস্পরায় করে আসছে পশুপালন আর কৃষিকাজ। আদিম এই পেশায় নেই কোনও ধরাবাঁধা ঘণ্টাসূচী, শহুরে মানুষদের মতন উইকএন্ডের সকালে লেপমুড়ি দিয়ে বিছানায় একটু আড়মোড়া দেয়ার অবকাশ নেই কাম্পোফনতানাবাসির। দুধ ধোয়াতে উঠতে হবে বছরের প্রতিটি দিন ভোরের আলো না ফুটতেই।
অসময়ের বর্ষায় ঘাসের বুকে সমুদ্রের জন্ম হলো। আদি-অন্ত:হীন দিকচক্রবালের কুহক মেশানো বৃষ্টিতে- রহস্যময়তার অনুপস্থিতি, চোখে লাগে।ঝির ঝির জলপতনের মৃদু-মন্দ শব্দ টিনের ধাতব পিঠ ঘেষে, প্রতিধ্বণিত হচ্ছে সিংহনাদে-একটানা সুরেলা। জন্মোন্মুখ বিটপীর অর্ধমৃত শেকড়গুলোর সর্বাঙ্গে হোলি উতসবের দামামা-শুষে নেই জীবনরস; অযাচিত পাওয়া দাক্ষিণ্যে অকৃতি অধমের দৃপ্ত শৃঙ্গার অঙ্গীকারাবদ্ধ তব পারিপার্শ্বিক মায়াময় আবেশ সৃষ্টি
[justify]
দুই দশক আগের কথা। বাসায় নিয়মিত রাখা হতো সাপ্তাহিক/পাক্ষিক বাংলা পত্রিকা। মেয়েদের জন্য আসতো সানন্দা। আমার রহস্য পত্রিকা আর বাবার বিচিত্রা পড়া শেষ হয়ে গেলে একটু চোখ বুলিয়ে নিতাম সানন্দার পাতায়। শেষ পৃষ্ঠায় থাকত কোনও বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার গোছের এক নিয়মিত আয়োজন। এক লাইনের গৎবাঁধা প্রশ্নের মধ্যে একটির উত্তর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম; ‘কি ভালো লাগে?পাহাড় না সমুদ্র?’ উত্তরটা পাহাড় হলে ভালো করে আবার দেখতাম সেই বিশিষ্টজনের ছবি, বড্ড আপন মনে হতো তাকে। তখনও তো পাহাড় বা সমুদ্র কোনটিই স্বচক্ষে দেখেনি কিন্তু এক দুর্দান্ত আকর্ষণ অনুভব করতাম গগনভেদী পাহাড়-পর্বতের ছবি দেখলে।