তারপর ঝুম ঝুম করে মেঘ নেমে আসে। আমাদের ঘিরে ধরে। পর্দার পর পর্দা পড়তে থাকে। চোখের সীমানা ছোট হয়ে আসে। একটা হালকা স্বচ্ছ চাদরে ঢাকা পড়ে আমাদের চারপাশ। মেঘবাড়ির মানুষ আমরা, মেঘেতে হই মশগুল...
তারও আগে, ভোর হবার আগে আকাশ ভেঙে পড়ে বাড়ির ছাদে, পাশের টিলায়, ঝুম ঝুম শব্দ হয়। বারান্দায় দাড়িয়ে রাতের আলোয় দেখি সেই জলধারা। জঙ্গলযাত্রা শুরু করবো, অপেক্ষা।
বাংলাদেশের জীববৈচিত্র শুধু ব্যাঙের প্রজাতিগুলির বৈচিত্র দেখলেই বোঝা যায়। সম্প্রতি ব্যাঙ নিয়ে অল্পস্বল্প পড়তে গিয়ে মনে হল আমি দেশি ব্যাঙ কোনটা কেমন দেখতে সেটাই জানিনা। তাই দেশি ব্যাঙের একটি লিস্টের সহায়তায় প্রায় সবগুলির ছবি খুঁজে বের করে ফেললাম।
অনেক দিন লেখা হয়না। কারণটা মূলত সময়াভাব। তার উপর আমি যেসব বিষয় নিয়ে লিখি তার জন্য দরকার উপযুক্ত পরিবেশ। শতশত মৃত্যু, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আবারো মৃত্যু, পিটিয়ে হত্যা, গুলি করে হত্যা, আগুন দিয়ে হত্যা ইত্যাকার ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম-ট্রেম মানুষ খুব একটা পছন্দ করে না। তার উপর আমি দিনকে দিন মানসিক ভাবে দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। এত মৃত্যু আর হতাহতের ছবি কিংবা খবর সবই সযতনে এড়িয়ে চলি। নিজেকে ফাঁ
হাঁসুলী বাঁকে বাঁশবনের তলায় পৃথিবীর আদিম কালের অন্ধকার বাসা বেঁধে থাকে। সুযোগ পেলেই দ্রুত গতিতে ধেয়ে ঘনিয়ে আসে সে অন্ধকার বাঁশবন থেকে বসতির মধ্যে।
...হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
তারপর সে ভয়ে ভয়ে বনের মধ্যকার সুঁড়িপথ দিয়ে বিছুটি লতার কর্কশ স্পর্শ গায়ে মেখে, সেঁয়াকুল কাঁটায় শাড়ির প্রান্ত ছিঁড়ে অতিকষ্টে এসে গ্রাম-প্রান্তের কাওয়ার পাড়ায় পা দিলে।
—ইছামতী, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আমি তখন অনেক ছোট। স্কুলে পড়ি কি পড়ি না আমি ঠিক জানি না। একদিন খুব সকালে মা আমাকে ঘুম থেকে টেনে তুলল। তারপর আমার ইজেরে হাত দিয়ে পরখ করে দেখল আমি হিসি করেছি কিনা। মার মুখটা বরাবরের মতোই গম্ভীর হয়ে গেল। তারমানে আমার মাজায় কালো সূতা দিয়ে বাঁধা তাবিজটা কোনও কাজ করছে না। অথচ এই তাবিজটা মাকে প্রায় জোর করে ধরিয়ে দিয়েছিল আমার নানী হায়েতুন্নেসা। তার ধারণা ছিল, এতে আমার বিছানায় মূত্রত্যাগের রোগ চিরতরে সেরে