যন্ত্রপাখিটার পেটের ভেতরে একবার ঢুকেছ কি আর কারও কথা শুনতে পাবে না। সারাক্ষণ এমনই একঘেঁয়ে চিৎকার করে যাবে যে সে মাথা ধরে যাবে তোমার। কানে আমি তাই হেডফোন গুঁজে রাখি। আন্ধি ফিল্মটার গান শুনি। মাঝে মাঝে নীচে তাকাই। নজরে আসে আদিগন্ত বিস্তৃত বন। ঘন অরণ্যের মাথাটা সূর্য্যস্নান সেরে নিচ্ছে এবেলা। তারাও জানে ওবেলা নেমে আসবে বাদল। কয়েকটা গাছ জ্বালিয়ে দেবে ক্রুর বাজগুলো। এই বৃষ্টি-অরণ্যের নীচটা কেমন এত উঁচু
আমাদের ছোটোবেলাতেও (মানে বেশিদিন আগে না) শহরেই একটু নিরিবিলির দিকে দিব্যি জোনাকিদের দেখা মিলত। এখন নগরায়ণের ঠেলায় তারা সব উধাও। তা কেউ যদি প্রশ্ন করে, জোনাকিদের ‘কনজার্ভেশন’ প্রয়োজন কেন, তাদের আদৌ দরকারটা কী, তাহলে কী উত্তর দেবেন?
আমি বলব, গত দুই সপ্তাহে যে একগুচ্ছ ছানাপোনার প্রেজেন্টেশনের পরীক্ষক হয়ে এলাম, অ্যালঝাইমার্স (স্মৃতিভ্রম) আর বার্ধক্যের উপর, সেগুলোর প্রতিটা – প্রতিটাই – কাজ করা গেছে কেবলমাত্র সামুদ্রিক জোনাকিদের জ্যোতি ধার করে!
শ্রীমঙ্গল এবং সিলেটে থাকার এবং যাতায়াতের বেশ সুব্যবস্থা ছিল। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমরা শুধু গিয়েছি, থেকেছি আর ঘুরেছি। সেদিক থেকে সুনামগঞ্জ আমাদের ঘোরাঘুরিটা বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস হবে বলে ধরে নিয়েছিলাম। ওখানে আগে থেকে কিছুই ঠিক করা ছিল না। কথা ছিল আমরা গিয়ে একটা হোটেলে উঠবো এবং যেভাবে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেভাবেই যাবো। বান্ধবী সুচেতার বাবা-মা কিছুদিনই আগেই হাওড় থেক
দুটি যুগের সন্ধিক্ষণে আমার বেড়ে ওঠা। দুটি যুগ বলি কেন, দুটি শতাব্দীরও। বিংশ শতাব্দীর কঠিন পৃথিবী পার করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জের দ্বারপ্রান্তে তখন আমাদের বিশ্ব, আমাদের দেশ। চোখের সামনে আমূলে বদলে যেতে দেখেছি আমাদের শত শত বছরের ঐতিহ্যকে। জীবনের প্রথম ছয়টা বছর বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাতায়াতের দুটি মাত্র বাহন ছিল। গরুর আর ঘোড়ার গাড়ি। আর আজ, পৃথিবী কোথায় দাঁড়িয়ে!