[পর্ব 1]
[justify]
আমার পাশের গ্রাম ঢোলসমুদ্র। গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নে অবস্থিত ঢোলসমুদ্র গ্রাম। এই গ্রামের রয়েছে অসংখ্য পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন। ঢোলসমুদ্র দিঘি তাদের একটি। স্থানীয় লোকজন এই দিঘিকে বড়পুকুর বলেও ডাকে। এই দিঘির নামানুসারে গ্রামের নামকরন হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।
ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের কোন ছবি কোন রকম পোস্ট প্রসেসিং করা হয়নাই।
পায়ের তলায় সর্ষে অলা এক পর্যটকের ভয়ে আজকাল সচলে ভ্রমণ ব্লগ দিতে কলিজা লাগে, ডুপ্লিকেট পোস্ট হয়ে যায় কিনা এই আশংকায়। অনেকদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে ধারণা হইল, উনার পাসপোর্টে সীল ছাপ্পরের বহর দেখে আম্রিকান সরকার নির্ঘাৎ তেনারে সন্ত্রাসী ঠাউরেছে, এখনো এই ভু-খন্ডে পা দিতে পারেন নাই। উনি পোস্ট দেবার সুযোগ পাবার আগেই তাই একখানা পোস্ট ঠুকে দেই এই বেলা ভেবে লেখার সাহস করলাম।
ভোরে কুয়াশায় চাদরে ঘুমিয়ে থাকা পাহাড়গুলো, যেন অদ্ভুত ধোঁয়াটে রহস্যময়তায় ঢেকে রাখতে চায় পুরো জগৎ!
১৩. নুনখাওয়া ইউনিয়নে ঢোকার রাস্তাটা বেশ সরু। মাঝখানে আবার একটি কালভার্ট ভেঙ্গে আছে। কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়েছে, রাস্তার অবস্থা যাচ্ছেতাই। এক ভ্যানওয়ালাকে অনেক অনুরোধ করলাম, পাত্তাই দিলো না! আগেরদিন এরকম রাস্তায় বাটার জুতা পায়ে দিয়ে বেড়াতে গিয়ে নাকাল হয়েছি, রাতে কুড়িগ্রাম ফিরে ২৯০ টাকায় জুতা কিনলাম-বাটা, রবারের জুতা! তারপরও কয়েকবার মনে হলো আছাড় খেতে খেতে বেঁচে গিয়েছি; অথচ ছোটবেলায় এর চেয়েও কঠিন রাস্তা দাবড়াতাম খালি পায়ে! শহর আর গ্রামের মানুষের ফারাকগুলো এরকম ছোট ছোট, কিন্তু পরিমাণে অনেক।
১. কুড়িগ্রামে ছিলাম বেশ ক’দিন। গত মাসের শেষ দিকে হঠাৎ করে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। মাঝখানে কয়েকটা দিন বিরতি দিয়ে এ মাসের মাঝামাঝি আবার নতুন করে বন্যার প্রকোপ বাড়ে। যে কাজে গিয়েছিলাম সেটি বন্যা-পরবর্তী-পুনর্বাসন বা ত্রাণ-সম্পর্কিত কাজ না হলেও আমার কাজের সাথে বন্যার একটি সরাসরি সম্পর্ক আছে। ফলে বন্যাপ্রকোপ এলাকাগুলোতে প্রচুর ঘুরাঘুরি করতে হচ্ছে। এর আগে রাজশাহী ও চাঁপাই নবাবগঞ্জের চরে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। ওই এলাকাগুলোতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজকর্ম কীভাবে চলে তা দেখতে গিয়েছিলাম একবার। ভোর ছয়টায় রওনা দিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে যখন বিদ্যালয়ে পৌঁছতাম, অধিকাংশ দিনই গিয়ে দেখতাম বিদ্যালয়ের কাজকর্ম শেষ হয়ে গেছে। এভাবে দিনে ২৫ মাইলের বেশি হাঁটার অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু এখানকার অভিজ্ঞতা একেবারেই বিপরীত।