পরীবাগ স্থপতি মজলিষ (উরফে পস্থম) হতে কিছুদিন আগে
ফোন দিয়া ডেকেছিল মোরে
স্থপতি বন্ধু মুলফাজ পেন্ডেলবন্দি, বলেছিল, খেলায়েত পস্থমে আয়।
স্বরচিত কবিতা কিসু যা শুনিয়ে। ...টাকা কি বিরিক্ষে ধরে? চা-সমুচা
-চানাচুর পাবি।
খুশি মনে বাছা বাছা বনেদি কবিতা কিছু ফল্ডারে ভরে
চলে যাই পরীবাগে। ছুটকালে একটি স্থপতিনী হাবিবি মম কানে
কানে কয়েছিল, স্থপতির মোন
পাখি শিকার এবং জীবিত পাখি সংগ্রহ অনেক বছর ধরেই সারা পৃথিবীতে ধনীদের নেশা ছিল, সেটা মিশরের ফারাও, ইনকা সরদার অথবা শুরুর দিককার আধুনিক ইউরোপিয়ান যেমন Ole Worm বা Francis Willughby, যারা তাদের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলতেন কৌতুহল থেকে। ১৮০০ এবং ১৯০০ সালের দিকে এই রীতি আরও ছড়িয়ে পড়ে কারণ সেই সময়ের মধ্যে ইউরোপের অনেকেরই সেই পরিমাণ অর্থ এবং সময় ছিল পাখি সংগ্রহের জন্য এবং শুধু সেই সময় নয় বর্তমানেও এই
অধিক কী বলি আর
পাখটিভিস্ট বন্ধু ওয়াছিম কাগমারির কথা।
হলে গেনু পরস্ত্রীক, 'হাওয়া' সিনামাটি অবলোকিনু
বাইর হইতে না হইতে কুথা হতে আসিয়া সে ঠাসিল কলার মম।
হুঙ্কারিয়া শুধাল কুশল, খেলায়েত কবি! শালিকের মাংস দিয়া ভাতভুত খেয়ে
খুব মুটাগাটা হয়েছস দেহি! তারপর সে দৃষ্টি হানে হাওয়াসাথী পরস্ত্রীর দিকে,
হাসে কিটিকিটি।
আমি পড়ি মহা মুশকিলে। শালিকের মাংস আমি কেন খাব? পাবই বা কুথা?
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদে সালীম আলীর বহুল পঠিত আত্মজীবনীটি পড়ে যেন অন্য রকমের স্বাদ পেলাম, উনি যেহেতু ইংরেজিতে লিখেছিলেন এবং সেই ভাষাতেই পড়েছিলাম একাধিকবার উদ্দেশ্যে অনেক আগে কিন্তু সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অনুবাদ যেন অসাধারণ ভাবানুবাদের এক উজ্জ্বল নিদর্শন হয়ে রইল, এত সুন্দর কাব্যিক ভাষা ও উপমা তিনি বাঙালি পাঠকের জন্য প্রয়োগ করেছেন যে মন্ত্রমুগ্ধের মতো একটানা বইটি পড়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উ
২০০০ সালের জানুয়ারি যেমন ছিল একটি নতুন শতাব্দীর সূচনা তেমনই বাংলাদেশের পাখি দেখার জগতে এটাও ছিল এক নতুন পর্বের শুরু। গ্রিমেট এবং ইনস্কিপের দক্ষিণ এশিয়ার পাখি নিয়ে প্রকাশিত প্রথম আধুনিক ফিল্ডগাইড আমাদের ব্যাকপ্যাকে ঠাঁই পেয়েছিল বছর দুই আগে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাখিদের নিয়ে রবসনের যুগান্তকারী কাজটি কেবল আমাদের হাতে পৌঁছে ছিল। বাংলাদেশের পাহাড়ে শান্তি ঘোষিত হয়েছিল এবং বিদেশীরা সেখানে যাবার
টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যেকোনো ভ্রমণই শহুরে ব্যস্ত জীবনের কোলাহল ও পাঁশুটে আবহাওয়া থেকে দূরে একটা অসাধারণ পরিবেশে পাখি দেখার চমৎকার সব অভিজ্ঞতা এনে দেয়। কিন্তু জলচর পাখিশুমারির জন্য সেখানে ২০২০ সালে যাবার পরে আমার এখানে প্রথমদিকের ভ্রমণের কথা মনে আসলো। তাই আমি এখানে চেষ্টা করব আশির দশকের টাঙ্গুয়াতে যে তিনটি ভ্রমণ আমরা করেছিলাম সেগুলো নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে। প্রতিটি ভ্রমণেই যেন এই বিশেষ জায়গাটি নিজেকে
১৯৮৬ সালে শ্রীমঙ্গলে পাখি দেখা
-পল থমসন
১৯৮৬র শুরুর দিকে আমি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এসেছিলাম। যদিও আমার অধিকাংশ সময়ই পিএইচডি গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের পিছনে যাচ্ছিল তবুও সেই সময় আমি শ্রীমঙ্গলে প্রথম পাখি দেখার জন্য যেতে সক্ষম হই যা সেখানে পরবর্তীতে অসংখ্য ভ্রমণের প্রথমটি হিসেবে মনে আছে।
১৮৭৭ সালে স্ট্যাটিসটিক্যাল একাউন্ট অফ বেঙ্গলে লেখা হয়েছিল - পাবনা জেলার বড় প্রাণীদের মধ্যে মহিষ এবং হরিণ বিরল তবে বাঘ, চিতাবাঘ এবং বুনো শুয়োর সবখানে প্রচুর পরিমাণে আছে। পাবনা অঞ্চলের বুনো শুয়োরেরা সংখ্যায় অনেক বেশি এবং আকারে বড় ছিল যে কারণে এখানে বসবাসকারী এবং ঘুরতে আসা ইউরোপিয়ানদের মাঝে শুয়োর শিকার অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল।
বড় প্রাণীদের মধ্যে বাঘ একসময় এখানে অসংখ্য ছিল অথচ এখন একেবারেই নেই। এটা অবিশ্বাস্য যে ১৮৬৪ সালের ডিসেম্বরে শিকারিদের একটি দল ২৫৭টি বাঘ এবং চিতাবাঘের খুলি নিয়ে এসে পুরস্কার হিসেবে ৭০০ টাকা নিয়ে গিয়েছিল।
বন্যপ্রাণী-
বড় আকারের শিকারি প্রাণীরা এখন অত্যন্ত বিরল কিন্তু মাঝে মাঝে ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে বাঘ এবং চিতাবাঘেরা নেমে আসে, জেলার পূর্ব সীমান্তের গ্রামগুলোতে আক্রমন করে তারা গরু এবং ছাগল ধরে নিয়ে যায়। চিত্রল হরিণ এবং হগ ডিয়ার (Hog Deer) একই এলাকার শস্যক্ষেত্রে ব্যাপক বিচরণ করে।