১৮৬৩ সালে চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালিটির জন্মলগ্নে নগরবাসীর পয়ঃপ্রণালীতে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য নগরীর চার কোনায় দশটি করে চল্লিশটি বাঁশের তৈরী পাবলিক টয়লেট বানানো হয়েছিল এবং ঘোষণা করা হয়েছিল নগরবাসী এসব নির্দিষ্ট স্থান বাদ দিয়ে যত্রতত্র প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবে না। তার প্রতিবাদ আন্দোলনে একদল নগরবাসী পাবলিক টয়লেটগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃটিশদের পাল্টা অ্যাকশানে শহর থেকে অর্ধে
আপডেট: এই মাত্র ইস্টিশন ব্লগের এই লেখাটি পড়ে মনে হল আসলেই রাহী আর উল্লাসের বাবা-মা'র পরিচয় আর ঠিকানা প্রকাশ পেলে ওদের পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। ধর্মীয় অনুভূতি বলে কথা! তাই আমি সবগুলো ছবি থেকে বাবা-মা'র নাম আর ঠিকানা মুছে দিচ্ছি।
অভিজাত এলাকার এক ধনকুবের গেছেন নগরের সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকানে। দোকানটা বিশাল একটা হলরুম যেন। প্রথমে ঢুকতে মনে হয় না বইয়ের দোকান, মনে হয় কোন প্রাচীন মিউজিয়াম।
শহরে বইপত্র বেচার এমন একটা জায়গা আছে তিনি কল্পনাই করেননি। নিউইয়র্কের বার্নস এণ্ড নোবলে একবার ঢুকেছিলেন। এক কাপ কফি খেয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ইতালীর বন্ধুর সাথে।
চাটগাঁও জিলা কয়েকশো বছর ধরে বাংলার মুসলিম শাসক আর আরাকানের মঙ্গোল শাসকদের টানাটানির বস্তু ছিল। পঞ্চদশ শতাব্দীতে এক পলাতক আরাকানরাজ বাংলায় আশ্রয় পান, পরে ১৪৩০ সালে গৌড়ের মিলিটারির সাহায্যে তিনি গদি ফিরে পান। কৃতজ্ঞতাস্বরুপ তিনি হুকুম জারি করেন তার বংশের লোক বার্মিজ পালি নামের সাথে আলি খান, সিকান্দার শা বা সেলিম শা এইরকম মুসলিম টাইটেল যুক্ত করবেন। ঐ নামে কয়েনও ইস্যু করা হয়। কিন্তু পরের প্রজন্মের আরাকানেরা বাংলার সাথে ভাই বেরাদরি তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় আর ১৪৫৯ সালে পুরো চাটগাঁও জিলা বাংলার সুলতান বুরবক শা এর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়।
টাইগারপাসে তিনটা বাঘমামা কিংবা মামীকে কে রাস্তার আশেপাশে সেট করে দেয়া হয়েছে। যদিও এই বাঘ চট্টগ্রামে কখনো দেখা যায়নি। চট্টগ্রামের বাঘ চিতাবাঘ। এই বাঘ সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। হোক ভিন্ন জেলার বাঘ। বাংলাদেশেরই তো। তবে যিনি এই বাঘের শিল্পী তিনি সম্ভবতঃ সুলতানের ধারা অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন ভাস্কর্য তৈরীতে। শিল্পী সুলতানের চিত্রকর্মে মোটাসোটা পেশীবহুল নরনারীর প্রাচুর্য লক্ষনীয়।
বেড়ানোর সুশীল জায়গাগুলোতে অরুচি ধরে গেছে। কক্সবাজার, রাঙামাটি বান্দরবান, সেন্টমার্টিনের কথা শুনলেই গা গুলায়। এত এত মানুষের ভীড় যেন বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যুতসই জায়গা খোঁজার জন্য গুগল আর্থের সহায়তা নিলাম। চট্টগ্রামের আশেপাশে হাতের নাগালে মানুষ যেখানে যায় না সেরকম অজনপ্রিয় একটা গন্তব্যের জন্য খোঁজ দ্য সার্চ লাগিয়ে প্রায় ঘরের কাছেই ৫০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে পছন্দ করে ফেললাম ...
প্রশ্ন:
আজ চট্টগ্রাম শহরটা কেমন আছে?
ছাত্ররা কি বেশী দুষ্টুমী করেছে?
ডাক পিয়ন কি আজও ভুল করে পাশের বাসার চিঠি দিলো?
ছাদের কার্নিশে কি এখনও বিকেলের রোদ পরে?
ভয় পেলে কি আমার প্রিয় ঐ কালো বেড়ালটা দেখে?
তোমাদের গলিটা-
সেই চায়ের দোকানটা, এখনও কি বাকী দেবে আমাকে?
আর তুমি- মিথ্যে করেও দিলে না একটু আশ্রয়।
উত্তর:
শহর-টা আজ সবুজের ঘ্রানে আনমনে,
ইস্কুল- দিয়েছি সব তালা ঝুলিয়ে-
ডাক পিয়...
সকালেই ফিরে এলাম চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রাম। আমার জন্মভূমি। আমার প্রিয় শহর। তেইশ বছরের জীবন, যার বাইশখানাই কেঁটেছে সেই সমুদ্রের কোল ঘেঁষে। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই যে জন্ম নিয়েছিলাম চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালে, এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি চট্টগ্রামের স্মৃতি, যদিও অবসরপ্রাপ্ত বাবার সুবাদেই এখন আমাদের বর্তমান ঠিকানা রাজধানী ঢাকা। বাইশ বছরের আনন্দময় জীবন আজ স্মৃতি হয়ে চোখ দুটো শ...
আমার জন্ম পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। এ তথ্যটি ছাড়া আমার প্রথম জীবনে ঢাকার আর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্ভবত এ কারণে ঢাকার প্রতি আমার তেমন কোন টানও নেই। আমার জন্মের পরপরই আব্বা বদলী হয়ে চট্টগ্রাম আসেন। অনেকে খুব ছোটবেলার স্মৃতি মনে করতে পারে না। আমি মোটামুটি তিন বছর বয়স থেকে আবছাভাবে অনেক কিছু মনে করতে পারি। তিন বছর নির্দিষ্ট করে বললাম, কারণ এ বয়সেই আমি প্রথম স্কুলে যাই। আমার প্রথম স্কু...
বন্ধুমহল এবং সুহৃদমহলের সবাই জানে, ঢাকার বাইরে যেতে হলে কতোটা খুশি হই, কতোটা উদ্বেল হই। সময়-সুযোগ গুঁতো দিলেই তাই বেরিয়ে পড়ি। এবার যাচ্ছি চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামে অবশ্য এর আগে কয়েকবার গিয়েছি। প্রথম প্রথম খুব ভালো লাগতো। যানজট নেই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটা শহর। কিন্তু যতো দিন যাচ্ছে, শহরটি এই স্বকীয়তাটা হারাচ্ছে। শেষবার যখন গিয়েছি, তখন ক্ষেত্রবিশেষে যানজট ছিলো ঢাকার চেয়েও বেশি।...