সাধ সাধ্যের বর্ডার লাইনে যাদের বসবাস তাদের জন্য কোন শখই সহজপাচ্য থাকে না। বইকেনা ব্যাপারটাও আমার জন্য সহজ ছিল না।
সাধারণতঃ হাইস্কুল/ইন্টার বয়স থেকে বইপত্রের রোমাঞ্চকর জগত ব্যাকুল হয়ে ডাকতে থাকে স্থায়ী আসন গাড়ার জন্য। স্থায়ী আসন মানে বই কিনে একের পর এক ভাঁজ করে বুক শেলফে সাজিয়ে রাখা। হাইস্কুল থেকে বই পড়ার নেশা চাপলেও সংগ্রহে রাখার মতো বই সাজিয়ে রাখার শখটা আমাকে তীব্রভাবে ডাক দিতে শুরু করেছিল ভার্সিটির শুরুতে যখন পরিবারের সাধ আর সাধ্যের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধটা সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। ফলে বাবা-মার হোটেলে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা সহ সব মৌলিক অধিকারের বন্দোবস্ত থাকলেও 'আউট বই' কেনার কোন বাজেট ছিল না। বই কেনার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হতো। যেভাবে দিন মজুরেরা এক দিনের আয় দিয়ে আজকের খাবারটুকু ম্যানেজ করে সেভাবে বই কেনার ব্যবস্থা হতো কয়েকদিনের রিকশা ভাড়া কিংবা বাজার খরচ থেকে বাঁচিয়ে।
যাচ্ছিলাম আম কিনতে। খবর পেয়েছি ফরমালিন মুক্ত আম এসেছে এক জায়গায়। যেতে যেতে ভয় পাচ্ছিলাম এতদিন বিষযুক্ত আম খেয়েছি, এখন বিষমুক্ত আম খেলে বদ হজম হবে কিনা। কিন্তু গিয়ে আমের দাম শুনে মস্তিষ্কে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হলো। বিবেকের কাছ থেকে সমাধান এলো ওই দামের বিষমুক্ত আম খাওয়ার চেয়ে খানিকটা বিষ সয়ে নেয়া ভালো। শরীরের নাম মহাশয়, যতটুকু সওয়ানো যায়, ততটাই .....।