যেকোনো নির্বাচনের সঠিক প্রেডিকশন করা সত্যিকার অর্থেই একটা প্রচন্ড দুরূহ কাজ। খোদ আমেরিকাতে, যেখানে পুরো নির্বাচনকালীন সময়ে সারা দেশজুড়ে হাজারখানেক জনমত জরিপ হয়, সেখানেও গত প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রায় সকল জরিপের ফলাফল হিলারির পক্ষেই ছিল। আর বাংলাদেশের এই নির্বাচনের জন্য, যেখানে কোনোই নিরপক্ষীয় সাম্প্রতিক জরিপ নেই, সেখানে যেকোনো প্রেডিকশনই আসলে সার্বিক পরিস্থিতির ব্যক্তিগত ধারণামূলক আন্দাজ ছাড়া
৬ দিনের ভারত ভ্রমণ শেষে ২৫ ডিসেম্বর অপরাহ্নে বাংলাদেশে পা দিয়েই চা-বিক্রেতার মাধ্যমে নির্বাচনী হালচালের প্রথম যে তথ্য কানে এলো তা হলো, নির্বাচনের আগের ৩ দিন সারাদেশে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ঢাকায় এসেও অটো-চালকের কাছে এই কথাই শুনলাম কিছুটা দ্বিধান্বিত কণ্ঠে। যুক্তি, অভিজ্ঞতা, বিশ^াস সবগুলোতেই খটকা লেগে গেল, এমনটি তো কখনও দেখিনি এবং তা অবিশ^াস্যও বটে। প্রাথমিক প্রতিবাদ জানিয়ে
অনেক দিন পর সচলায়তনে লিখছি।
সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং তা থেকে যা উপলব্ধি সেটি নিয়ে একটি লেখা লিখেছি। প্রথম আলো পত্রিকা লেখাটি প্রকাশ করেছে।
লেখাটি দীর্ঘ। কিন্তু সবাইকে, বিশেষ করে প্রবাসে যারা থাকেন তাদেরকে পড়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি।
১
প্রদীপ বিরক্ত মুখে পঞ্চম কাপ চা হাতে নিয়ে বসে আছে চায়ের দোকানে। সকাল থেকে কিছুই পেটে পড়ে নি। চিনি বেশি দিয়ে চা খেলে ক্ষুধা কমে যায়। কিন্তু খালি পেটে চিনি বেশি দিয়ে পরপর পাঁচ কাপ চা খেলে যে বমি ভাব শুরু হয় তা জানা নেই প্রদীপের। এখন তার বমি পাচ্ছে। প্রানপন চেষ্টা করছে বমি আটকানোর। সে বমি বিষয়ক চিন্তা ভাবনা বাদ দেয়ার চেষ্টা করলো। অন্য দিকে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করছে প্রদীপ। উজ্জ্বল আসলে চায়ের দাম তো দেবেই সাথে কিছু টাকাও দেবে।
-কিরে ব্যাটা, কতক্ষন ধইরা তোর ফোন বাজতাছে। ধরস না ক্যান?
=কি বাজতাছে?!? এইডা তো বাজার জিনিস না, ধইরা ঝাকানোর জিনিস। বাজবো ক্যান?
-ধুর হালা, কি কস উলটা পাল্টা। তোর ফোন বাজতাছে, মোবাইল ফোন।
=ও, আইচ্ছা। ফোন শব্দটা একটু ভালোমতো উচ্চারন করবি তো। আমি শুনলাম তুই মানবদেহের কোন অঙ্গ বাজা’র কথা কইতাছস।
ইতিমধ্যে আপনারা পত্রিকান্তরে গত মন্ত্রীসভার অনেক সদস্যেরই সম্পদের পরিমাণ জেনে গেছেন এবং কারও কারও ব্যাপারে খেপে গেছেন। মনে করে দেখুন তো এরকম আর কখনও হয়েছে কিনা? না, কখনও হয়নি। কেন?
নির্বাচন জমছে না বলে ফেসবুকের অলিগলিতে হাহাকার শোনা যাচ্ছে। একতরফা এই নির্বাচন হওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে ত্রয়োদশ সংশোধনী নামক জাদুর কাঠিটি ভেঙে ফেলাকে। বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে এই কাজটি করিয়েছেন। আদালতও নাকি বলেছে ত্রয়োদশ সংশোধনীর অধীনে আরো অন্তত: দুইবার নির্বাচন করা যেতে পারে।
গত দুই দিন ধরে বাজার গরম দুই নেত্রীর ফোনালাপ নিয়ে। এক সময় পাশে বসে ছবি তুলেছেন, রাজপথে এক সাথে আন্দোলন করেছেন, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মিলিটারির ধমক কিংবা বিদেশি শক্তির দাওয়াত ছাড়া কোথাও তাঁদের আলাপ হয়নি। যেটুকু মিথষ্ক্রিয়া হয়েছে, সেটাও হয়েছে মেঠো ভাষণ কিংবা সাংবাদিক সম্মেলনে পূর্বলিখিত বক্তৃতার মাধ্যমে। এই প্রেক্ষাপট বিচারে দীর্ঘ ৩৭ মিনিট ধরে তাঁদের সরাসরি আলাপ তাক লাগানোর মতো ব্যাপার।
তার চাইতেও তাক লাগানোর মতো ব্যাপার হলো দেশবাসীর সেই বক্তব্য শুনতে পাওয়ার সৌভাগ্য হওয়া। যারা এই সুযোগ (?) থেকে বঞ্চিত আছেন, তাদের জন্য রইলো রেকর্ডিং-এর লিংক। জীবন থেকে ৩৭ মিনিট অহেতুক ঝড়ে গেলে আমি দায়ী নই।
'প্রচারেই প্রসার': বাণিজ্যের এই মূলনীতিটি রাজনীতির ক্ষেত্রেও পরিপূর্ণভাবে প্রযোজ্য। আওয়ামী নেতৃত্তাধীন মহাজোট সরকার সমর্থকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ হচ্ছে সরকারে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের প্রচারের হাল অত্যন্ত নাজুক থাকে। নিজেদের দুর্বলতাকে আড়াল করে সাফল্যকে তুলে ধরা তো দুরের কথা, অপরপক্ষের ছুড়ে দেয়া মিথ্যা অভিযোগ খন্ডনেও দলটির ব্যর্থতা চোখে পড়ার মত। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সত্
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ গোটাতে হবে- সরকার তথা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এমন মনোভাবেরই খবর পাওয়া গেছে। মঞ্চ যেন তাদের বাপ দাদার তালুক- ব্যাপারটা এমনই। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কি আওয়ামী লীগের কথায় হয়েছে? নাকী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই “ ক তে কাদের মোল্লা তুই রাজাকার” বলে মঞ্চের খুটিখানা গেড়ে দিয়েছিলো? আওয়ামী লীগ-বিএনপির ডাকে আজকাল কেউ কি আসে?