ষাটের দশকে মুক্তবাজার অর্থনীতি বিশ্বময় ছড়িয়ে যাবার ফলে ব্রিটেনে ভারতীয় খাবার জনপ্রিয় হবার পথ আরো সুগম হয়। একদিকে দেখা গেল এশিয়াতে নতুন সৃষ্ট কিছু দেশে প্রচুর পরিমাণ গরীব মানুষের যেকোন উপায়ে টাকা রোজগারের ধান্দা... তারা কাজের পরিবেশ, কঘন্টা খাটতে হবে, গতর খাটাতে হবে কিনা ইত্যাদি উপেক্ষা করে টাকা কামাতেই উৎসুক ছিল। এর সাথে যুক্ত হল ব্রিটেনের শিল্পখাতের সম্প্রসারন, তাদের প্রচুর লেবার দরকার ছিল। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ এর মাঝে ব্রিটেনের ইমিগ্রেশন আইনে পরিবর্তন আনা হয়। বাংলাদেশীরা এর ফলে ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্যে আবেদন করতে পারল, আর ইউকে তে প্রতিষ্ঠিত লোকেদের তাদের পরিবারকে উড়িয়ে আনার অনুমতি মিলল।
ব্রিটেন ও আমেরিকায় পয়লা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট খোলে সিলেটীরা। সিলেট ছোট জেলা, মুসলিমপ্রধান। জঙ্গলে ঘেরা, চা উৎপাদনের উপযোগী ছোট টিলায় ভরা জায়গা সিলেট, উত্তরপূর্বে আসাম। মোগল আমলে আওরঙ্গজেব লক্ষ্য করেন “সিলেট প্রদেশে, যা কিনা সুবা বাংলার অন্তর্ভুক্ত, রেওয়াজ ছিল পরিবারের কয়টি ছেলেকে খোজা বানিয়ে গভর্নরের কাছে ভেট পাঠানো হত খাজনার বদলে”। ইংরেজ আমলে সিলেট বিখ্যাত ছিল সুমিষ্ট কমলালেবুর জন্যে, কিন্তু রান্নাবান্নায় এদের তেমন তেলেসমাতির খবর পাওয়া যায়না। একটি খাবার নজর কেড়ে নেবার মত, তা হল পচানো পুঁটি মাছ।