Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

জীববিজ্ঞান

বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৪৭ : দাঁতরাঙা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৮/২০১৫ - ১২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC00458
ফুলটা, গাছটা ছোট বেলায় হঠাৎ হঠাৎ দেখেছি পতিত ঘেসো জমিতে। তবে খুব বেশি দেখিনি। যেখানে সেখানে এখন আর দেখা মেলে না। খুব ভালো করে দেখার সুযোগ পেলাম ২০১৪ সালে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রজাপতি আর পাখির পেছনে ছুটতে ছুটতে পুকুর পাড়ে পেয়ে গেলাম তেজপাতার মতো দেখতে এই উদ্ভিদকে। পটাপট বেশকিছু ছবিও তুলে নিলাম।
তারপর আবার প্রজাপতি-ফড়িংয়ের পেছনে ছোটা। হঠাৎ দেখতে পেলাম ত্যাজপাতার মতো পাতাওয়ালা ওই ছোট ছোট গাছগুলোতে দারুণ সুন্দর একটা ফুল। এত সুন্দর ফুল বনে-জঙ্গলে বাসই দেখা যায়। সুতরাং আবারও ক্যামেরা তাক করতে হলো দাঁতরাঙ্গা নামের এই বুনোফুলের দিকে। দাঁতরাঙ্গা নামটা জানলাম বৃক্ষকথা গ্রুপে ফুলের একটা ছবি পোস্ট করে। পরে অবশ্য নওয়াজেশ আহমদ-এর ‘বাংলার বনফুল’ নামের বইটিতেও পেলাম ফুলটির বর্ণনা।


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৪৬: চোরকাঁটা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৭/২০১৫ - ১২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC00448
আষাড়ে ঝমঝম বৃষ্টি নামে। মাঝে মাঝে মেঘের পর্দা সরিয়ে উঁকি মারার চেষ্টা করে সূয্যিমামা। কখনও চেষ্টা ব্যর্থ, কখনওবা সফল। টানা বৃষ্টিতে মজাই লাগত আমাদের। স্কুল কামাই করার জন্য বৃষ্টি বিশাল এক ছুতো। কিন্তু প্রকৃতিও বোধহয় মা-বাবার পক্ষে থাকত। ঠিক দশটা বাজার আগে থেমে যেত বৃষ্টি। ছাতা হাতে ধরিয়ে স্কুলে ঠেলে পাঠাতেন মা। বৃষ্টিকে গালিগালাজ করতে করতে পথে জমা পানিতে পা ডুবিয়ে স্কুলে যেতাম। স্কুলের খেলার মাঠে পা দেওয়ার সাথে সাথে বৃষ্টির প্রতি সেই ক্ষোভ অভিমান কোথায় ধুয়ে মুছে যেত! আমাদের মতো শিক্ষকেদেরও তো আলস্য আছে। তাছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষকই ভিনগাঁয়ের। তাঁদের আসতে দেরি হত। হয়তো বা সেদিন আর আসতেনই না। আমরা তখন ফুটবল নিয়ে নেমে পড়তাম মাঠে। বৃষ্টিধোয়া মাঠে তখন চোরকাঁটার বান ডেকেছে। গোটা মাঠটাই ভরে উঠেছে গ্রামীণ এই ঘাসফুলের গালিচায়।


বাংলার তরু লতা গুল্ম-৪৫ : কালোকেশি

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০১৫ - ২:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC01091
ঘাসফুল নিয়ে মানুষের মাতামাতি কম। তবে কিছু কিছু ফুল সত্যিই দেখার মতো। আর কিছু ঘাসফুল মানুষের দৃষ্টিই কাড়তে পারে না। তবে কিছু ঘাসফুল আবার একেবারেই আলাদা। চেহারা দিয়ে নয়, গুণ দিয়ে মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়। কেশড়ের ফুলের আলাদা সৌন্দর্য নেই। আবার একেবারে অবহেলিত সে নয়। সব মানুষ তাকে চেনে তার গুণের জন্য। অবশ্য সেই গুণ এখন আর তেমন কাজে লাগায় না। ছোটবেলায় রোদে ঘোরাঘুরি করতাম খুব। চুল লাল হয়ে যেত রোদে পুড়ে। সবাই বলে, চুলকটা হয়ে গেছে। শুধু আমার নয় বন্ধুদেরও একই অবস্থা।


বাংলা ভাষায় বাংলাদেশের পাখির ফিল্ডগাইড

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৭/২০১৫ - ৬:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

Print


বাংলার তরু লতা গুল্ম ৪৩ : গোবুরা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/০৬/২০১৫ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

DSC01218
বর্ষায় বান ডাকে প্রকৃতিতে। ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ শব্দের সাথে তাল মিলিয়ে অঝরে ঝরে বৃষ্টি। সবুজে সবুজে ছেয়ে যায় প্রকৃতি। ভাঁট-আশশ্যাওড়ার দাপট পথের দুধারে। আকন্দ তো সারা বছরই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে বেগুনি সাদা ফুলের গয়নায় সেজে। বনওকড়ার চারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সবুজের মিছিলে। কিন্তু কিছু উদ্ভিদ একেবারে নীরবে-নিভৃতে চুপটি করে মাথা তুলে দাঁড়ায় সবুজের কোন্ গহীন কোণে। অনাদর অবহেলায় কখন বেড়ে ওঠে তার হদিস রাখে না কেউ। কিন্তু প্রয়োজন হলেই খোঁজ পড়ে। ওষুধ বানাতে হবে না! এখন তো ওদের বড্ড কদর।


মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়ঃ ১ (২/২)

নিটোল এর ছবি
লিখেছেন নিটোল [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৬/০৪/২০১৫ - ৯:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আগের পর্ব- লিংক)

রাঁধুনে প্রজাতি

শীর্ষে উঠার পথে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ধাপ ছিল আগুনের নিয়ন্ত্রণ। অল্প কিছু মানব প্রজাতি ৮ লক্ষ বছর পূর্বে মাঝে মধ্যে আগুন ব্যবহার করতো। তবে ৩ লক্ষ বছর আগে থেকে, হোমো ইরেক্টাস, নিয়ান্ডারথাল এবং হোমো সেপিয়েন্সের পূর্বপুরুষেরা নিয়মিতভাবে আগুন ব্যবহার করা শুরু করে। ফলে মানুষ পেল আলো ও উষ্ণতার একটি নির্ভরযোগ্য উৎস, এবং শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ানো সিংহ থেকে বাঁচার জন্য পেল মারাত্মক একটি অস্ত্র। নাতি-দীর্ঘকাল পরেই, মানুষেরা ইচ্ছে করেই প্রতিবেশের বন-জঙ্গল জ্বালিয়ে দেওয়া শুরু করে। খুব সতর্কভাবে পরিচালিত অগ্নিকাণ্ড দিয়ে একটি অনুর্বর জঙ্গলকে তৃণভূমিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব ছিল যেটি থাকবে শিকারে পরিপূর্ণ। তদুপরি, আগুন নিভে আসলে, উদ্যোগী মানুষেরা পোড়া বনভূমি ঘুরে দগ্ধ পশুপাখি, বাদাম আর কন্দ-মূল তুলে আনতে পারত।

কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ফলে সবচেয়ে অসাধারন যে বিষয়টি ঘটেছিল সেটি হলো- রান্নার উদ্ভাবন।


মনুষ্যজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়ঃ ১ (১/২)

নিটোল এর ছবি
লিখেছেন নিটোল [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০১৫ - ৭:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইউভাল নোয়া হারারি ইতিহাস পড়ান হিব্রু ইউভার্সিটি অব জেরুজালেমে। তাঁর রচিত বেস্টসেলার Sapiens: A Brief History of Humankind সম্প্রতি বেশ আলোড়ন তুলেছে। এরই মধ্যে এই বইটি প্রায় ৩০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটিতে লেখক মানব জাতির বিবর্তন থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিপ্লবের নানা বিষয় অত্যন্ত দারুণভাবে বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক ব্যাপার হলো, বিভিন্ন বিশ্লেষণে তিনি ব্যবহার করেছেন বিবর্তনীয় জীববিদ্যার নানা সিদ্ধান্ত। বইটির বাংলা অনুবাদ শুরু করার দুঃসাহস দেখিয়েছি। অনুবাদ নিয়ে সকলের মতামত কামনা করছি। যে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি শুধরে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।


নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৬/০৪/২০১৫ - ৭:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

21
সামনে কিছুদূর এগুতেই অন্য ধরনের একটা পাখি উড়ে গেল দূরে একটা শিমুল গাছের দিকে। ওড়াটা অন্যরকম। শাহেদ-সোহানও দেখেছে। ওরাও চিনতে পারল না। ও পাখির আশা বাদ দিয়ে একটা আম বাগান লক্ষ করে এগুতে শুরু করলাম। হঠাৎ বাঁধা এলো সোহানের কাছ থেকে, ‘ভাইয়া কী পাখি দেখেন?’
চোখে পড়তে সময় লাগল, শাহেদ অনেকটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কলা পাতায় বসে আছে অদ্ভুত সুন্দর নীল রংয়ের পাখি। আগে কখনওই দেখিনি এ পাখি। ওরাও দেখেনি। ট্রাইপড নামিয়ে ক্যামেরা ফোকাস করতে করতে পাখি উড়ে গেল ক্রাক ক্রাক ডাকতে ডাকতে। আফসোসের অন্তত নেই! একেবারে অচেনা পাখি। আছিই বা আর কদিন! এর মধ্যে পাবো কিনা তার ভরসা কোথায়।


ছবি-ব্লগঃ ছদ্মবেশী মাকড়শা এন্ট মিমিকিং জাম্পিং স্পাইডার

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি
লিখেছেন অনুপম ত্রিবেদি (তারিখ: সোম, ১৬/০৩/২০১৫ - ৬:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রকৃতী বড় হেয়ালী আর খেয়ালী, এখানে ঘটে যায় কতো কিছু! কখনও বা সেটা আনন্দের, কখনও কষ্টের আবার কখনও বড়ই অদ্ভুত। প্রকৃতী আমাদের শুধু 'মানুষ' হয়েই চলতে শিখিয়েছে। তাই পাখির মতো উড়তে গেলে, মাছের মতো পানির নীচে চলতে গেলে আমাদের 'টেকনোলজি'র সহায়তা নিতে হয়। তো যাই হোক, ব্যাপার সেটা না। ব্যাপার হলো প্রকৃতীতে ক্যামোফ্লেজ করে পরিবেশের সাথে মিশে থাকার পাশাপাশি আরো একটা মজার ঘটনা আছে আর তা হলো ডিসগাইজ বা ছদ্মবেশ ধারণ। এন্ট মিমিকিং জাম্পিং স্পাইডার হলো এমনই একটি ছদ্মবেশী মাকড়শা যে দৃশ্যত পিপড়ার মতো বেশ ধারন করে তার শিকারকে বোকা বানায় এবং সেই সাথে নিজেও শিকার করে।


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৪২ : বনওকড়া

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৭/০৩/২০১৫ - ৭:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনভোলানো ফুলের নেশায়
DSC00024
আকাশটা কালো করে মেঘেরা আসে। ঝমঝম বৃষ্টি নামে গাঁয়ে। প্রকৃতিতে সবুজের প্রলেপ বুলিয়ে দেয় বর্ষা। মাঠে, জঙ্গলে, বাগানে। আম-কাঠালের বনে শুধু নয়। শীত আর গ্রীষ্মের অত্যাচারে এতদিন পর্যদুস্তু হয়ে হয়ে ছিল নাম-পরিচয়হীন গুল্মলতারা। এখন তাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সময়। ভাট-আশ্যাড়ার শরীরে আগেই বান ডেকেছে। কিন্তু কিছু গুল্মের বীজেরা মাটির গভীরে শুয়েছিল। অপেক্ষায় ছিল বর্ষার রিমঝিম শব্দের। এখন তারা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসবে আলোকের আহবানে। দুটি লকলকে কচি পাতা মাটি ভেদ করে বেরিয়ে আসবে প্রবল বিক্রমে। তারপর কয়েকদিনের অপেক্ষামাত্র। দুটি-চারটি-ছয়টি করে চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়াবে তার পাতার সংখ্যা। বাড়বে ডাল-পালা। সবুজে সবুজে ছয়লাব হয়ে যাবে আম-কাঠালের বন, ফসল ক্ষেতের বেড়া, নদী-খাল-বিলের কিনারগুলো। সবুজের সেই রাহাজানিতে যোগ দেবে আমাদের বনওকড়া। তারপর শীতের শেষ পর্যন্ত তাদের রাজত্ব।