ইট-পাথর ঘেরা ঢাকা শহর নাভিশ্বাস তুলে দেয় মাঝে মাঝে। মন ছুটে যেতে ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলিতে। যেখানে স্মৃতির ওপারে আছ তেপান্তরের মাঠ, আমার খুব প্রিয় ফুলের একটা মোরগফুল।
চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে
ভোরের দোয়েল পাখি—চারিদিকে চেয়ে দেখি পল্লবের স্তূপ
--জীবনানন্দ দাশ
যাদের জন্ম কমপক্ষে আশির দশকের শুরুতে বা তারও আগে এবং গাঁয়ে--তাঁরা নিশ্চয় ‘ক্যাচর ম্যাচর’ শব্দের সাথে পরিচিত। এই শব্দটার উৎস দুটো বস্তুতে। একটা গরুর গাড়ির চাকায় আরেকটা ভাঁড়ার ঘরে রাজত্ব করা ঢেঁকিতে। পাঠক বলুন তো, ঢেঁকি কিংবা গরুর গাড়ির চাকা কী দিয়ে তৈরি?
পৌষ বা পৌষের কাছাকাছি কোনো সকাল। গ্রাম-বাংলার বধূরা বটি আর কাঁচা হলুদের ডাঁই নিয়ে বসে। সকালভর চলে হলুদ চেরার কাজ। হলুদ চিরতে হয়, চিরলে শুকায় তাড়াতাড়ি। না শুকালে গুঁড়ো হবে কী করে?