এলোমেলো টুকরো কথা
অলৌকিক বৃষ্টিকণা
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শনি, ২৬/০১/২০১৩ - ৯:২৭পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
নীল একটা বৃষ্টিকণা, আকাশ থেকে তাকে দিঘিতে পড়তে দেখেই আমিও ঝাঁপ দিই। আস্তে আস্তে ডুব দিতে থাকি দিঘির ভিতরে, টুপটুপে নীল বৃষ্টিকণাটার সঙ্গে ডুবতে থাকি, ওটা মিলিয়ে যায় নি, অদ্ভুত একটা নীল রত্নের মতন আমার সামনে সামনে ঝিলিক দিতে দিতে ডুবছে, কোথা থেকে আলো পড়ছে ওর উপরে যে এত ঝিকমিক?
রাত-যাদুকর
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২৩/০১/২০১৩ - ৯:৪৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
একটুকরো কাগজ উড়ে যাচ্ছে,
তাতে ছিলো না জন্মানো কবিতার কয়েকটা পংক্তি,
সেই মৃত ভ্রূণটিকে বুকে নিয়ে চলে
যাচ্ছে ধাত্রী, ওদের পিছনে সূর্যাস্তের লাল আকাশ।
সেদিকে চেয়ে থাকি জ্বরঝাপসা চোখে,
অন্য এক পৃথিবীর স্বাদ লাগে জিভে।
স্পন্দন
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ০৪/০১/২০১৩ - ৯:৪৮পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মনে করো তুমি চলেছ নদীর উপর দিয়ে, তোমার নৌকা আস্তে আস্তে হেলতে দুলতে এগিয়ে চলেছে। তুমি দেখছ নদীর পাড়ে বসে আছে একটা অদ্ভুতদর্শন দীর্ঘচঞ্চু পাখি, চুপ করে দেখছে তোমায়। তুমি এগিয়ে চলেছ দু'পাড়ে সবুজ দেখতে দেখতে, এ নদীতে জোয়ার ভাঁটা খেলে, মোহনার খুব কাছে কিনা! তুমি শুনছ বাতাসের শব্দ, এখন শান্ত, কিন্তু কেজানে কখন ঝড় আসে? তুমি চলেছ সমুদ্রের দিকে।
বর্ণমালাহীন
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/১১/২০১২ - ৯:০৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
লিখনের ভাষা চুপ করে গেছে, সমস্ত বর্ণমালা মিলিয়ে গেছে তৃণে তৃণে। মিলিয়ে গেছে নিভে আসা দিনের আলোয়, মেঘাবৃত আকাশে। বৃষ্টির প্রতিটি বিন্দু এখন বাঙ্ময়, ঝড়ের মেঘে সমুদ্রের উড়ন্ত নাভি।এখানে মুক্তির খোঁজে কোন্দিকে যাবো? দিকদিশাহারা দিগন্তবিসারী মৃত্যুর দিকেই? নাকি তমিশ্রা পার হয়ে পুনর্জন্মের দিকে?
অনেক দূরে
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ২৩/০৯/২০১২ - ১১:২২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
অনেক দূরে আমার দেশে এখন প্রথম শরৎ, মেঘের ভিতর থেকে হঠাৎ হঠাৎ এখন সেখানে উঁকি দেয় আশ্বিনের নীলখুশী দিন। বৃষ্টিধোয়া নীলকান্তমণির মতন নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় কাশফুলের মতন শুভ্র মেঘের দল। হয়তো শিউলিরা একটু একটু করে মেলছে চোখ, হয়তো কাশফুল নদীতীরে লাজুক ডানা মেলেছে কোথাও। এবারও আমার সেইসব সঙ্গীতময় শিউলিভোর দেখা হবে না, সেইসব উৎসবময়ী সপ্তমীসন্ধ্যা অষ্টমীরাত্রি আর "নবমী নিশি গো পোহায়ো না ধরি পায়, তুই চলে গেল
ঝিনুক-বেলা
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/০৯/২০১২ - ৩:৩৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
১।
ঘরের ভিতরে স্নিগ্ধ অন্ধকার। শোঁ শোঁ করে ফ্যান ঘুরছে। বাইরে তপতপে গ্রীষ্ম দুপুর। ইস্কুলে গরমের ছুটি। পুবের ঘরের খাটে মা ঘুমায় ছোটো ভাইটাকে বুকের কাছে নিয়ে, এই মাঝের ঘরে ঠাকুমার পাশে আমি, মাঝের খোলা দরজা দিয়ে ওঘরের হাওয়া এঘরে আসে, এঘরের হাওয়া ওঘরে যায়। কোণের বন্ধ জানালার সরু সরু সূক্ষ্ম রেখা ধরে কেমন আলোছায়ার জাফরি পড়েছে!
ইচ্ছাফড়িং
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ১৩/১১/২০১১ - ৮:৩৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
হেমন্তের দিন গুলোকে বিষাদবিধুর বলেন জ্ঞানীগুণীরা অনেকে। দিন ছোটো হয়ে যায়, আলো পাওয়ার সময়টুকু কমতে কমতে কমতে কমতে কেমন একটা মনকেমন রেখে যায়, বিরাট বিরাট গাছেদের সব সবুজ পাতাগুলো দেখতে দেখতে বাদামী লাল কমলা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে যেতে থাকে, ন্যাড়া গাছেরা নাঙ্গা সন্ন্যাসীর মতন স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকে উদাসীন নীল আকাশের নিচে। এমন সব দিনে মানুষের মন ও নাকি কেমন বিষাদনীল হয়ে যায়।
- তুলিরেখা এর ব্লগ
- ২৪টি মন্তব্য
- বিস্তারিত...
- ৩২৭বার পঠিত
দিনমোহনা
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৯/২০১১ - ৭:৪৬পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
বিনা সুতোর মালা গাঁথার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু গাঁথতে পারলাম না। একটা একটা করে পুঁতি তুলে নিই, পরপর সাজাই। সেই বর্ষাবিকেলের নীল পুঁতি যার ভিতরে কেমন একটা মায়াবী আলো ঝিলমিল করতো, সেইটার গায়ে হাত বুলিয়ে চুপটি করে নামিয়ে রাখি। পাশে রাখি ঝকমকে লাল আর সাদা দুটি পুঁতি, ওরা বৈশাখের সন্ধ্যা, ওরা জয়জয়ন্তী।
- তুলিরেখা এর ব্লগ
- ২৭টি মন্তব্য
- বিস্তারিত...
- ৪২৭বার পঠিত
নৈঃশব্দের বাগান
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ০৭/০৮/২০১১ - ১১:৩৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
নৈঃশব্দের বাগানে ঘুরে ঘুরে যায় রৌদ্রদিন ও জ্যোৎস্নারাত। কখনো তারা-ফুটফুট অমানিশা। কখনও বা ঝরোঝরো বাদলপ্রহর এসে আশিরবক্ষচরণ স্নান করিয়ে যায় এই বাগানকে।
- তুলিরেখা এর ব্লগ
- ৪৬টি মন্তব্য
- বিস্তারিত...
- ৪৫৭বার পঠিত