[আজকে শুধুই সিরিজটির ভূমিকা]
সীমান্তরখা-১, সীমান্তরখা-২, সীমান্তরখা-৩
ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন না মোজাম দেড়ে। বিরক্ত হলেন বিডিআরদের ওপর। তবু দরজা খুলতে হলো।
‘কী ব্যাপার, এতো রাতি দরোজা খুইলে নিলে কেনো গা?’ বিরক্তি উগরে দিলেন খাকি পোশাকের বিডিআর জওয়ানদের ওপর।
‘চাচা,’ মুখ খুলল এক জওয়ান। ‘সারগর্তটা কি আপনার?’
‘হ্যাঁ, আমার বৈকি।’ মোজাম দেড়ের দ্বিধাহীন জবাব। ‘তা...?’
‘মানে, আপনার সারগর্তে খুঁড়ে আমরা ছ’বস্তা চিনি পেয়েছি। ওগুলো বোধহয় আপনার।’
রাগে লাল হয়ে উঠল মোজাম দেড়ের কৃষ্ণবরণ মুখমণ্ডল। কোনোমতে নিজেকে সামলে বললেন, ‘আমার বাড়ির চাকর-বাকরাও বিলাক করে না, এ কথা মুখ থেইকে ছাড়ার আগে একবার আমার সম্পক্যে খোঁজ-খবর করা উচিৎ ছিল তুমাদের।’
মাস কয়েক আগে মা কিছুটা অভিযোগের সুরেই মুঠোফোনে বললে- তোমার সব বন্ধুরাই সেটল হয়ে গেছে, বুঝলা!
এক।
আলুবাজ
কবি বড় বাজে
বড় বাজে কবি
শব্দের পর্দাটা সরালেই আ-কথা কু-কথা
বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা শহরের বহুতল ভবনগুলো যেনো এই বৃষ্টিকে উপহাস করে। বড় বড় হাসপাতালগুলোর ভিতর থেকে তা আরো অনুভব করা যায় না। কেবিনে রোগী দেখতে এসে জানালা দিয়ে শুধু বৃষ্টির অঝোর ধারাই দেখা যাচ্ছে, শব্দগুলো অণুরনিত আর হচ্ছে না। কিন্তু এই অঝোর ধারা দেখেই দিপু কেমন উতলা হয়ে উঠলো। পালস দেখার জন্য রোগীর হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে, পালস বিট দূরে কোথাও হারিয়ে গেছে, সেখানে জায়গা দখল করেছে টাপুর টুপুর শব্দ।
ইদানিং কিছু ছেলেপেলে দেখা যায় বড় ভাইয়া বলে সম্বোধন করে। কেমন যেন বিব্রত বোধ করি।বিব্রত হবার মত যথেষ্ট কারনও আছে। এইট-নাইন পড়ু্য়া ছেলেগুলোর সাইজ হাতির মত,লাল লাল চোখ,মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়ি-গোঁফ ,গড় গড় করে হিন্দী বলে,রাস্তায় দেখলে মোটা মোটা দুই হাত বাড়িয়ে গর্জন করতে করতে ছুটে আসে !! কি ভয়ংকর ! দেখতে দেখতে আমিও বড় ভাই হয়ে গেলুম.. ছোটবেলায় ভাবতাম কখন বড় হব্,কখন বড় হব.. আর এখন ?? আফসুস ,গাধার মত বড় হয়েই যাচ্ছি..
কবরস্থান ,কাফনের কাপড় , কবর শব্দ গুলো আসলে কেমন ? অনেক ছোট বেলায় নানা-নানীর কবর দেখেছি , একটু বড় হয়ে দাদা-দাদী , আরেকটু বড় হয়ে মামা র কবর দেখেছি ।
*
তুমি বাড়ীর পথে ছিলে, যখন তুমি মারা যাও।
গাড়ীতে ছিলে, ভেঙ্গেচূড়ে পড়েছিলো তোমাকে নিয়ে। তোমার স্ত্রী আর দুই সন্তান রয়ে গেলো। মারা গেলে। সাদা এপ্রনের ওরা সব করেছিলো, যা কিছু করা যায়- কিন্তু। খুব করে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলে তুমি, যেমন তোমার গাড়ীর সব কাঁচ, কিংবা সব স্বপ্ন তোমার। বিশ্বাস করো তোমার চলে যাওয়াই ভালো ছিলো সব থেকে।
তারপর, আমাকে দেখলে তুমি। আমি, তুমি।
“মানুষের মস্তিষ্ক প্রচন্ড ক্ষমতার অধিকারী। একটি মানুষ বহুপ্রতিভার অধিকারী হতে পারে। একটি উদহারন দিতে চাই। মার্কিন বিজ্ঞানী অ্যাডলম্যান একুশ শতকের কম্পিউটার জগতে চূড়ান্ত চমক আনতে চলেছেন। বিজ্ঞানর সব শাখাতেই ডঃ অ্যাডেলম্যান এক বিস্ময়। জীববিজ্ঞান থেকে গণিত শাস্ত্র,কম্পিউটার, রসায়ন, সবখানেই তার গবেষণার চমক। অ্যাডলম্যানের প্রিয় বিষয় হচ্ছে ভাবনা। তিনি ভাবতে খুব ভালবাসেন ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
মিষ্টি শৈশব আর দুরন্ত কৈশোর পার হয়ে
যৌবনের দুর্বিনীত চোরাবালিতে পা রেখেছি অনেক কাল হলো।
ঠিক গন্তব্য ও লক্ষ্য জানা নেই
শুধু জানি সামনে যেতে হবে
পথ যত বন্ধুর আর কন্টকাকীর্ণ হোক না কেন
এ চলার শেষ নেই!
সুলতানের চিত্রকর্মের মতো কাদা-পানিতে আটকে যায়
জীবন গাড়ির চাকা;
তবু ইচ্ছের পেশী ফুলিয়ে
দাঁতে দাঁত চেপে
ঠেলে যেতে হয় ঠেলাগাড়ি জীবন!
কতো সাধের স্বেদ বিন্দু যে অ...