[justify]কমরেডের কোন কাজ নেই। জগতে তাঁর গোত্র কমতে কমতে এখন বিলীনপ্রায়। আজকাল মৃত্যু ছাড়া তাঁদের নাম কখনো পত্রিকায় আসে না। সাম্যবাদ কোকাকোলার বুদবুদের মত উবে গেছে। ব্লু-ব্লাড, প্রতিভাবান, কর্পোরেট একে অন্যের পিঠ চুলকিয়ে লাল করে ফেলে। কমরেড অবলীলায় দেখেন। শিল্পবিকাশ ঘটাতে গিয়ে কর্পোরেটরা হতদরিদ্রদের চিন্তাহীন শ্রমমেশিন বানায়। দরিদ্র কৃষক প্রান্তিক জন হতে হতে একসময় আত্মহননে না...
[justify]হঠাৎ কি ভেবে রাজন একটা গল্প লিখে ফেলেন। তারপর একটা প্রধান জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক বরাবর পাঠিয়ে দেন। মজার ব্যাপার কিছুদিন পরে গল্পটা ছাপাও হয়। গল্পে কাহিনী প্রায় কিছুই ছিল না। ঠিক গল্প কিনা সেই নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। তবে পাঠক এই লেখার মধ্যে নানা কিছু পাচ্ছেন। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিক্রিয়ার পর প্রতিক্রিয়া সাহিত্য সম্পাদক ছেপে যাচ্ছেন। সাহিত্য পাতায় নতুন লেখা ছাপ...
প্রাণোবন্ধু ফেলাট কিনছে নগর বাগানে। মোরে কয় আয় দোস্ত দেইখা যা; ডাইলভাত দুগগা খাইয়া যা। মুই কই আমুনে কিন্তু আর যাওনের দিশা পাই না। দিনে দিনে বাপে মিসকল দেয়। ব্যাককল করলে কয় টেকা পাডা অসুধ খামু গায়ে মটমটি করে। মুই কই বয়সের লগে কিছু মটমটি হইবই। গরম পানি দিয়া গোসল দেও দেখবা সাইরা গেছে। বাপে কয় শ্বাস নিতারি না বুকে ধড়ফড় করে। মুই কই সকালে উইঠা ফেরেশ বাতাস খাও দেখবা শ্বাসের নালি পরিষ্ক...
মায়ের সাত সন্তান আজ সারারাত ঝগড়া করলাম কখনও একসাথে কখনও আলাদা। কখনও ঝগড়ার জন্য ঝগড়া। কখনও ঝগড়া থামানোর জন্য ঝগড়া। ভাই-বোন। বোন-বোন। ভাই-ভাই। মা-ছেলে। মেয়ে-মা...
সবাই সবাইরে দোষে। সবার সবারে অসহ্য লাগে। সবাই সবাইরে বলে তোর সাথে এই শেষ মুখ দেখা জীবনে আমার...
শুধু একজন সারাজীবনের মতো আজকেও আগাগোড়া নিশ্চুপ আর নির্লিপ্ত ঘুমে এইসব হৈচৈয়ের ভেতর। তিনি বাবা
আর একজন অনেক চেষ্টাতেও ঘুমান...
[justify]ভূতের গলি নিয়ে যা বলার শহীদুল জহির বলে ফেলেছেন। আমি নিজে ভূতের গলিতে থাকি। মহল্লার দোকানে ডালপুরি কি আলুপুরিতে কামড় দিতে গেলে আব্দুল আজিজ ব্যাপারি কি আব্দুল করিমের কথা মনে পড়ে। খাটে শুলে ভূতের গলির অদেখা বান্দরগুলো আমার জানালায় ফুচি মারে ভেবে নিই। আমি পড়ি। শহীদুল জহিররে বারবার পড়ি। পড়ে আমার নিজের কথা কি ভাষা প্যাঁচগোচ খেয়ে উনার পথ ধরে।
আমার সাথে লীনার কথা, লীনারে নিয়ে আমা...
[justify]রানিমাতা গোত্র নিয়ে ভাবেন। অনেক ভাবেন। ভাবনাগুলো গোত্রের লোকের মঙ্গলের জন্য ইদানীং কাজে আসে না। গতকাল পাশের গোত্রের গোত্রপিতার সাথে সফল বৈঠক শেষ করে আসার সময় রাস্তায় বিশাল শো-ডাউন নিয়ে কিছু পেপার যাচ্ছেতাই লিখেছে। রানিমাতা এগুলো পড়ে হাসেন। কারণ পেপারগুলোর মালিকের সাথে কাল রাতেই ডিনার ছিল। শো-ডাউনের ব্যাপারটা সাধারণ জনতা বোঝে না। কারণ তাদের শো করার কিছু নাই। রানিমাতা্র ...
মেলায় যাবো। আমি বইমেলায় যেতে চাই। কেন? জানিনা।
মেলা আসলে মনে হয় যেন বইগুলো এইভাবেই আমাদেরকে ডাকে। বলে "আমি আছি!!" নইলে সারাবছর কয়টা বই কিনি? কে মনে রাখে বইয়ের কথা? কতকিছু কেনাকাটা করার জন্যে পুরান ঢাকার হকার মার্কেট থেকে গুলশানের হোল-সেইলের দোকান পর্যন্ত ঘুরে বেড়াই সারাবছর। কিন্তু বই??
এবার শীতে গেলাম বাপের বাড়ি, একমাস থাকলাম। আমার বাবার বাড়িতে দুই আলমারি ভর্তি বই। সেই ছোটবেলার ম...
[justify]পুরানো একজন মানুষ মারা গেছেন। আমাদের শহরে পুরানো মানুষদের কোন কবরস্থান নেই। তাদের মৃতদেহ রেখে দেয়া হয় নগরের একটা আটতলা উঁচু বিল্ডিং-এর ছাদে। শকুনেরা কাকেরা খুবলে খায়। জোয়ান কেউ মারা গেলে কেবল তাদের কবর হয়। পুরানোরা মরার পর মাংস বিলোয়।
লোকটার অনেক বয়েস। নব্বই হবে প্রায়। তার ছেলে বৌমা ছটফটে নাতি অতুল এক দিন সকালে এসে দেখে বুড়ো টেঁসে পড়ে আছে। পরে শব সমিতি দেহটাকে রেখে আসে সে...
[justify]রিপনের ঘুম আসতে দেরি লাগে। সারাদিন ধরে রিয়াজুদ্দিন বাজারের ঘড়ির দোকানে ঘড়ি সারাই করতে করতে চোখে আজকাল কেমন জানি বেসামাল লাগে। রাত বাড়ে। চোখে সূচের মত ব্যথা বাড়তে থাকে। ঘুম পালায় অনেক দূরে। ফুলু এদিকে মরার মতো নাক ডেকে যায়। বেটি মানুষের গায়ে গন্ধ থাকলে সাথে নিয়ে শুতে মন চায় না। ছেলে আমিনের বয়স ছয়। মায়ের গায়ের ওপর পা তুলে গভীর ঘুমে। রিপনের নানা কিছু মনে পড়ে। ছোটবেলার কথা। গ্র...
মাঝ রাত্তিরে কিছু লোক ঘুমের মধ্যে হাঁটে। দরজা-মরজা খুলে বাইরে চলে যায়। গোয়াল থেকে গরু খুলে রওয়ানা দেয় মাঠে অথবা পুকুরে পানিতে ডুবে মরে কিংবা গাছে উঠে পিপড়ার কামড়ে হুশ ফিরে পেলে চিক্কুর দেয়- মাইওগো... মুই কনে?...
নাগরিক শহরে এরা নাইটগার্ডের ধাক্কায় জেগে উঠে ভদ্রতা বজায় রেখে একটা চাপা গোঙানি দেয়-ঞ্যাঁ...?
তারপর কেউ হার্টমার্ট এ্যাটাক করে না হয় গার্ডদের কাছে মাতাল বনে গিয়ে বাসায় ফিরে ...